ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

‘নিজেদের স্বার্থে সংগঠনকে নিলামে তুলে ফেলি’ : ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইতিহাস কখনো কাউকে ক্ষমা করে না বলে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেছেন, ‘আমরা অনেকেই নিজেদের স্বার্থের জন্য সংগঠনকে নিলামে তুলে ফেলি। কিন্তু ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস। মনে রাখতে হবে— আমাদের জীবনের কর্ম আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
গতকার বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। পাঠকদের জন্য ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
তিনি লিখেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির কাজ কেন্দ্রীয় বিষায়াদি সম্পাদন করা, সারাদেশের ইউনিটগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন করা, কর্মসূচি প্রণয়ন করা ও শৃঙ্খলা-গঠনতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা। এর বাইরে ৩০০ জন কেন্দ্রীয় নেতা দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে ৫ জন কর্মী সংগঠন করা বর্তমান কাঠামোতে সম্ভব না। ছাত্রলীগের প্রাণ হলো তৃণমূল তথা বিভিন্ন ইউনিট; যারা মাত্র কয়েকদিন আগেই সম্মিলিতভাবে লাখো কর্মীর সমাগম করে দেখিয়েছে। এরাই সংগঠনের প্রাণ। এরা দামি ফ্ল্যাটে থাকে না, দামি গাড়িতে ঘুরে না। এরা নিজের পরিবারকে ঠকিয়ে, পেটে ক্ষুধা রেখে, টিউশনির টাকা জমিয়ে, ছেড়া স্যান্ডেল-ঘার্মাক্ত জামা পড়ে রাজপথে জীবন উৎসর্গ করার ব্রত নিয়ে সংগঠনকে টিকিয়ে রাখে।’ তিনি আরও লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু তনয়া, আমাদের আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। আমি নিশ্চিত বঙ্গবন্ধু তনয়ার হাতে সময় থাকলে সারা বাংলাদেশের সকল জেলা-উপজেলা কমিটি নিজ হাতে গঠন করতেন। ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদ থেকে তৃণমূলের সর্বশেষ কর্মীর এই বিষয়টি অনুধাবন করা উচিৎ। আমরা অনেকেই প্রায়শ নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সংগঠনকে নিলামে তুলে ফেলি। আমাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের জীবনের কর্ম আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইতিহাস কখনো কাউকে ক্ষমা করেনা।’

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘নিজেদের স্বার্থে সংগঠনকে নিলামে তুলে ফেলি’ : ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি

আপডেট সময় : ০২:১৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইতিহাস কখনো কাউকে ক্ষমা করে না বলে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেছেন, ‘আমরা অনেকেই নিজেদের স্বার্থের জন্য সংগঠনকে নিলামে তুলে ফেলি। কিন্তু ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস। মনে রাখতে হবে— আমাদের জীবনের কর্ম আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
গতকার বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। পাঠকদের জন্য ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
তিনি লিখেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির কাজ কেন্দ্রীয় বিষায়াদি সম্পাদন করা, সারাদেশের ইউনিটগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন করা, কর্মসূচি প্রণয়ন করা ও শৃঙ্খলা-গঠনতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা। এর বাইরে ৩০০ জন কেন্দ্রীয় নেতা দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে ৫ জন কর্মী সংগঠন করা বর্তমান কাঠামোতে সম্ভব না। ছাত্রলীগের প্রাণ হলো তৃণমূল তথা বিভিন্ন ইউনিট; যারা মাত্র কয়েকদিন আগেই সম্মিলিতভাবে লাখো কর্মীর সমাগম করে দেখিয়েছে। এরাই সংগঠনের প্রাণ। এরা দামি ফ্ল্যাটে থাকে না, দামি গাড়িতে ঘুরে না। এরা নিজের পরিবারকে ঠকিয়ে, পেটে ক্ষুধা রেখে, টিউশনির টাকা জমিয়ে, ছেড়া স্যান্ডেল-ঘার্মাক্ত জামা পড়ে রাজপথে জীবন উৎসর্গ করার ব্রত নিয়ে সংগঠনকে টিকিয়ে রাখে।’ তিনি আরও লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু তনয়া, আমাদের আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। আমি নিশ্চিত বঙ্গবন্ধু তনয়ার হাতে সময় থাকলে সারা বাংলাদেশের সকল জেলা-উপজেলা কমিটি নিজ হাতে গঠন করতেন। ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদ থেকে তৃণমূলের সর্বশেষ কর্মীর এই বিষয়টি অনুধাবন করা উচিৎ। আমরা অনেকেই প্রায়শ নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সংগঠনকে নিলামে তুলে ফেলি। আমাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের জীবনের কর্ম আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইতিহাস কখনো কাউকে ক্ষমা করেনা।’