ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা ১৪ কেজি সোনাসহ গ্রেপ্তার ২

  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : অভিযানের সময় ভারতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিজয়পুর গ্রাম থেকে রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ নামের দুই চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ১০৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। প্রায় সাড়ে ১৪ কেজি সোনা পাচারের এই ঘটনার সাথে জড়িত দুই সন্দেহভাজনকেও গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।
গত শনিবার বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ৩২ ব্যাটালিয়ন ও দেশটির রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (ডিআরআই) একটি দল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় যৌথ অভিযান চালিয়ে সোনা চোরাচালানের এই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। নদীয়ার বিজয়পুর গ্রামের একটি বাড়িতে সোনা লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের কাছে গোপন সংবাদ আসার পর অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসএফ ও রাজস্ব গোয়েন্দাদের একটি যৌথ দল বিজয়পুর গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এ সময় ওই গ্রামের একটি বাড়ির আবর্জনার স্তুপ থেকে কাপড়ে মোড়ানো দুটি সোনার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে বলছে, বিভিন্ন আকারের ১০৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার বিস্কুটগুলোর মোট ওজন ১৪ কেজি ২৯৬ গ্রাম। ভারতীয় বাজার দর হিসেবে এই সোনার বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে ৮ কোটি রুপি। অভিযানের সময় ভারতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিজয়পুর গ্রাম থেকে রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ নামের দুই চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই চোরাকারবারী বিএসএফ ও ডিআরআই কর্মকর্তাদের বলেছেন, তারা মাসুদ ও নাসিফ নামের দুই বাংলাদেশির কাছ থেকে সোনার বিস্কুটগুলো নিয়েছেন। পরে সেগুলো নদীয়ার বাসিন্দা সন্তোষ হালদারের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ওই এলাকায় বিএসএফের টহল বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সোনার বিস্কুটগুলো বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। অভিযুক্ত দুই চোরাকারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিআরআইয়ের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সূত্র: ইন্ডিয়া ট্যুডে, পিটিআই।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা ১৪ কেজি সোনাসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেট সময় : ০২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : অভিযানের সময় ভারতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিজয়পুর গ্রাম থেকে রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ নামের দুই চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ১০৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। প্রায় সাড়ে ১৪ কেজি সোনা পাচারের এই ঘটনার সাথে জড়িত দুই সন্দেহভাজনকেও গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।
গত শনিবার বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ৩২ ব্যাটালিয়ন ও দেশটির রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (ডিআরআই) একটি দল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় যৌথ অভিযান চালিয়ে সোনা চোরাচালানের এই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। নদীয়ার বিজয়পুর গ্রামের একটি বাড়িতে সোনা লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের কাছে গোপন সংবাদ আসার পর অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসএফ ও রাজস্ব গোয়েন্দাদের একটি যৌথ দল বিজয়পুর গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এ সময় ওই গ্রামের একটি বাড়ির আবর্জনার স্তুপ থেকে কাপড়ে মোড়ানো দুটি সোনার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে বলছে, বিভিন্ন আকারের ১০৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার বিস্কুটগুলোর মোট ওজন ১৪ কেজি ২৯৬ গ্রাম। ভারতীয় বাজার দর হিসেবে এই সোনার বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে ৮ কোটি রুপি। অভিযানের সময় ভারতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিজয়পুর গ্রাম থেকে রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ নামের দুই চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই চোরাকারবারী বিএসএফ ও ডিআরআই কর্মকর্তাদের বলেছেন, তারা মাসুদ ও নাসিফ নামের দুই বাংলাদেশির কাছ থেকে সোনার বিস্কুটগুলো নিয়েছেন। পরে সেগুলো নদীয়ার বাসিন্দা সন্তোষ হালদারের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ওই এলাকায় বিএসএফের টহল বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সোনার বিস্কুটগুলো বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। অভিযুক্ত দুই চোরাকারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিআরআইয়ের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সূত্র: ইন্ডিয়া ট্যুডে, পিটিআই।