ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সপ্তাহখানেক পর এবার দেশটির পুলিশ বাহিনী ও এর দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
ক্যারিবীয় দেশটিতে চলতি মাসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগে গত শুক্রবার ওয়াশিংটন এ নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিউবান-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাভানার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, ১১ জুলাই কিউবায় শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ, গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ চাপা দিতে নেওয়া পদক্ষেপের পাল্টায় তাদের এ নিষেধাজ্ঞা।
কিউবার পুলিশ ও এর কর্মকর্তাদের উপর এ নিষেধাজ্ঞা খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারণে একে ‘প্রতীকী’ নিষেধাজ্ঞা বলা হচ্ছে।
এবারের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ন্যাশনাল পুলিশ বাহিনী ও এর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা, বলেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়।
“আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যদি না কিউবায় নাটকীয় কোনো পরিবর্তন আসে। তবে মনে হচ্ছে না তেমনটা (পরিবর্তন) হবে,” হোয়াইট হাউসে কিউবান-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই বলেছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিউবায় কী উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠালে সেখান থেকে হাভানা সরকার লাভ করতে পারবে না, তা এক মাসের মধ্যে জানাতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। মহামারী ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সোভিয়েত পতনের পর সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা কিউবা চলতি মাসেই কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখেছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল এই বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছন, বিক্ষোভকারীদের অনেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান আন্তরিকভাবে চাইলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছেন।
কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত দেশটিতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখা দিলেও, কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
দেশটির সরকারপন্থিরা পরে হাভানাসহ একাধিক শহরে ‘যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে সমাবেশও করে। সপ্তাহখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কিউবায় বিক্ষোভ দমন ও কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে আটকের ঘটনায় ক্যারিবীয় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
ওয়াশিংটনের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে অনেক দেশ কিউবার পাশে এসেও দাঁড়িয়েছে। ক্যারিবীয় দেশটিতে খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে মেক্সিকো, রাশিয়া ও বলিভিয়া। ভিয়েতনাম জানিয়েছে, তারাও শিগগিরই কিউবায় ১২ হাজার টন চাল পাঠাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ১১:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সপ্তাহখানেক পর এবার দেশটির পুলিশ বাহিনী ও এর দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
ক্যারিবীয় দেশটিতে চলতি মাসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগে গত শুক্রবার ওয়াশিংটন এ নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিউবান-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাভানার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, ১১ জুলাই কিউবায় শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ, গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ চাপা দিতে নেওয়া পদক্ষেপের পাল্টায় তাদের এ নিষেধাজ্ঞা।
কিউবার পুলিশ ও এর কর্মকর্তাদের উপর এ নিষেধাজ্ঞা খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারণে একে ‘প্রতীকী’ নিষেধাজ্ঞা বলা হচ্ছে।
এবারের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ন্যাশনাল পুলিশ বাহিনী ও এর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা, বলেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়।
“আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যদি না কিউবায় নাটকীয় কোনো পরিবর্তন আসে। তবে মনে হচ্ছে না তেমনটা (পরিবর্তন) হবে,” হোয়াইট হাউসে কিউবান-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই বলেছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিউবায় কী উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠালে সেখান থেকে হাভানা সরকার লাভ করতে পারবে না, তা এক মাসের মধ্যে জানাতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। মহামারী ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সোভিয়েত পতনের পর সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা কিউবা চলতি মাসেই কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখেছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল এই বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছন, বিক্ষোভকারীদের অনেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান আন্তরিকভাবে চাইলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছেন।
কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত দেশটিতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখা দিলেও, কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
দেশটির সরকারপন্থিরা পরে হাভানাসহ একাধিক শহরে ‘যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে সমাবেশও করে। সপ্তাহখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কিউবায় বিক্ষোভ দমন ও কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে আটকের ঘটনায় ক্যারিবীয় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
ওয়াশিংটনের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে অনেক দেশ কিউবার পাশে এসেও দাঁড়িয়েছে। ক্যারিবীয় দেশটিতে খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে মেক্সিকো, রাশিয়া ও বলিভিয়া। ভিয়েতনাম জানিয়েছে, তারাও শিগগিরই কিউবায় ১২ হাজার টন চাল পাঠাবে।