ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর: ফের সংঘবদ্ধ হচ্ছে জঙ্গিরা

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশকে অস্থিতিশীল করতে পুরোনো জঙ্গিরা নতুন করে সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আজ ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জঙ্গিরা দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের মূল ম্যান্ডেট হলো জঙ্গি গ্রেপ্তার করা। এখন পর্যন্ত দেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াসহ মোট ৯টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি, তখন হরকাতুল জিহাদও তৎপর ছিল। এই সংগঠনগুলোর তৎপরতা অসেক বছর ধরে কিছুটা কম ছিল। গত বছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময়ে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তিনি বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম, জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদের মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল। এই পুরোনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর আছে, তারা এক সঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যুক্ত হয়েছিল। এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এই সংগঠনের আমিরসহ নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, আগে জঙ্গিবাদে যারা জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের ধরতে র‌্যাবের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। র‌্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। তবে তারা দেশে হামলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করছে কি না সেটি নিয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর: ফের সংঘবদ্ধ হচ্ছে জঙ্গিরা

আপডেট সময় : ০২:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশকে অস্থিতিশীল করতে পুরোনো জঙ্গিরা নতুন করে সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আজ ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জঙ্গিরা দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের মূল ম্যান্ডেট হলো জঙ্গি গ্রেপ্তার করা। এখন পর্যন্ত দেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াসহ মোট ৯টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি, তখন হরকাতুল জিহাদও তৎপর ছিল। এই সংগঠনগুলোর তৎপরতা অসেক বছর ধরে কিছুটা কম ছিল। গত বছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময়ে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তিনি বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম, জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদের মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল। এই পুরোনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর আছে, তারা এক সঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যুক্ত হয়েছিল। এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এই সংগঠনের আমিরসহ নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, আগে জঙ্গিবাদে যারা জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের ধরতে র‌্যাবের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। র‌্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। তবে তারা দেশে হামলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করছে কি না সেটি নিয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।