ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

আইডিয়াল ছাত্রীকে বিয়ে: গভর্নিং বডি সদস্য সেই মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, অধ্যক্ষও আসামি

  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলামের করা প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে গেল ১ আগস্ট মামলাটি দায়ের করা হয় বলে বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নিশ্চিত করেছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। ডিএমপির গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, ‘ওনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম নামে একজন মামলাটি করেছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনত এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করত। একপর্যায়ে আসামি মুশতাক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। মামলার বাদীর আরও অভিযোগ, ভুক্তভোগী মুশতাকের এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আসামি মুশতাককে তার কক্ষে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি এবং অধ্যক্ষ আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন বলে অভিযোগ মামলার বাদী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে সেখান থেকে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি একেক দিন একেক স্থানে রেখে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি, গোয়েন্দা তথ্য প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের

আইডিয়াল ছাত্রীকে বিয়ে: গভর্নিং বডি সদস্য সেই মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, অধ্যক্ষও আসামি

আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলামের করা প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে গেল ১ আগস্ট মামলাটি দায়ের করা হয় বলে বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নিশ্চিত করেছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। ডিএমপির গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, ‘ওনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম নামে একজন মামলাটি করেছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনত এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করত। একপর্যায়ে আসামি মুশতাক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। মামলার বাদীর আরও অভিযোগ, ভুক্তভোগী মুশতাকের এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আসামি মুশতাককে তার কক্ষে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি এবং অধ্যক্ষ আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন বলে অভিযোগ মামলার বাদী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে সেখান থেকে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি একেক দিন একেক স্থানে রেখে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।