ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধিতে মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একই সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর গৃহীত ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় মনে করছে সংস্থাটি।
গতকাল সোমবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদের সই করা এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। মানবাধিকার কমিশন জানায়, সম্প্রতি ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগের। প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। ৭ আগস্ট সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এ বছর একদিনের সর্বোচ্চ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩০৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। চিকিৎসকরা বলছেন- গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি অবনতি হচ্ছে। এছাড়া এবার এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। কমিশন মনে করে, এমন অবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর গৃহীত ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ আর এই রোগের ভাইরাস আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার পরও সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার ডেঙ্গু মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কমিশন মনে করে, পুরো দেশে এডিস মশা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই স্থানীয় সরকারের প্রতিটি ইউনিটকে কাজে লাগিয়ে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। রাজধানীসহ যেসব হটস্পট চিহ্নিত হয়েছে, সেসব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে মশার আবাসস্থল ধ্বংস করার জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সক্রিয় সম্পৃক্ততায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসমূহকে আরও পরিপূর্ণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়লেও সরকার সামাল দিতে পারবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গুরোগী বাড়ার বিবেচনায় মৃত্যু বাড়ছে। স্যালাইনের প্রয়োজনও বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন লাগছে। হাসপাতালগুলো হিমশিম খেলেও চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি পড়ছে না। ডেঙ্গু মৌসুমে ঝুঁকি বাড়লেও আশা করা যায় সরকার সামাল দিতে পারবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এই কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গুর টিকা এখনও প্রক্রিয়াধীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পরপরই ডেঙ্গুর টিকা আনার চেষ্টা করা হবে।
জরায়ুর ক্যান্সার রোধে টিকা: নারীদের জরায়ুর ক্যান্সার রোধে হিউম্যান পেপিলোমা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এই টিকাদান কর্মসূচি। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের টিকা দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত সাড়ে ২৩ লাখ ডোজ এসেছে। নভেম্বর থেকে আরও আসবে।
কলেরার টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, আগামী পাঁচ বছরে ১০ কোটি কলেরা টিকা পাবে বাংলাদেশ। এতে সরকারের খরচ হবে ৬০০ কোটি টাকা। তবে জনগণ পাবে বিনামূল্যে।
চিকিৎসক ভাতা: মন্ত্রী জানান, ইন্টার্ন ডাক্তারদের ভাতা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। পোস্ট গ্রাজুয়েট ডাক্তারদের ভাতা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে খরচ হবে ৬৪ কোটি টাকা। এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধিতে মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একই সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর গৃহীত ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় মনে করছে সংস্থাটি।
গতকাল সোমবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদের সই করা এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। মানবাধিকার কমিশন জানায়, সম্প্রতি ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগের। প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। ৭ আগস্ট সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এ বছর একদিনের সর্বোচ্চ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩০৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। চিকিৎসকরা বলছেন- গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি অবনতি হচ্ছে। এছাড়া এবার এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। কমিশন মনে করে, এমন অবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর গৃহীত ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ আর এই রোগের ভাইরাস আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার পরও সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার ডেঙ্গু মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কমিশন মনে করে, পুরো দেশে এডিস মশা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই স্থানীয় সরকারের প্রতিটি ইউনিটকে কাজে লাগিয়ে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। রাজধানীসহ যেসব হটস্পট চিহ্নিত হয়েছে, সেসব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে মশার আবাসস্থল ধ্বংস করার জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সক্রিয় সম্পৃক্ততায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসমূহকে আরও পরিপূর্ণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়লেও সরকার সামাল দিতে পারবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গুরোগী বাড়ার বিবেচনায় মৃত্যু বাড়ছে। স্যালাইনের প্রয়োজনও বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন লাগছে। হাসপাতালগুলো হিমশিম খেলেও চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি পড়ছে না। ডেঙ্গু মৌসুমে ঝুঁকি বাড়লেও আশা করা যায় সরকার সামাল দিতে পারবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এই কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গুর টিকা এখনও প্রক্রিয়াধীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পরপরই ডেঙ্গুর টিকা আনার চেষ্টা করা হবে।
জরায়ুর ক্যান্সার রোধে টিকা: নারীদের জরায়ুর ক্যান্সার রোধে হিউম্যান পেপিলোমা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এই টিকাদান কর্মসূচি। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের টিকা দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত সাড়ে ২৩ লাখ ডোজ এসেছে। নভেম্বর থেকে আরও আসবে।
কলেরার টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, আগামী পাঁচ বছরে ১০ কোটি কলেরা টিকা পাবে বাংলাদেশ। এতে সরকারের খরচ হবে ৬০০ কোটি টাকা। তবে জনগণ পাবে বিনামূল্যে।
চিকিৎসক ভাতা: মন্ত্রী জানান, ইন্টার্ন ডাক্তারদের ভাতা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। পোস্ট গ্রাজুয়েট ডাক্তারদের ভাতা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে খরচ হবে ৬৪ কোটি টাকা। এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।