নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার এবার নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। দেশ ও জনগণের পক্ষে থাকুন। অন্যায় আদেশ মানবেন না। নিপীড়িত জনগণের পাশে থাকুন।’
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজার প্রতিবাদে এবং ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে পরপর দুটি হাস্যকর নির্বাচনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা আবারও এমন নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারা শুরু করেছে। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়, ডিসি, এসপির পরিবর্তন, পোস্টিং, প্রশাসনের হাজার হাজার মানুষের পদোন্নতি। যার অর্থ, আগের মতো প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে তারা নির্বাচনি বৈতরণী পার হবে। কিন্তু এবার আর সেটা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এই দেশে গণতন্ত্র নেই। তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে, গত দুটি নির্বাচনে চুরি, ডাকাতি হয়েছে। এবার অবশ্যই জনগণের ভোটের নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে সেটি হবে না। এখন থেকেই তারা নির্যাতন, গুলি করতে শুরু করেছে। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তারেক-জোবাইদাকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ঠিক এই সময়ে এই রায়টি কেন? দেশের মানুষ যখন জেগে উঠেছে, তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত তাদের অধিকারের কথা বলতে শুরু করেছে, নদী, পাহাড়, পর্বত ডিঙিয়ে দাবি জানানোর জন্য আসছে, এই ফ্যাসিস্ট, গণতন্ত্রের শত্রু, অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জেগে উঠেছে, সেই সময় এই রায় দিয়ে সরকার জনগণের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে৷’ বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই পেশাজীবী সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।