ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

দেশে আইনের শাসন আছে, তারেক-জোবায়দার রায় নিয়ে আইনমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৩০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে যে আইনের শাসন আছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সাজার রায় তারই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচারও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বুধবার রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইনমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা দায়ের করার পর হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ দ্বারা এই মামলা চলবে- এই রায়ের পর মামলার বিচারিক কাজ সম্পন্ন হয়। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশে যে আইনের শাসন আছে তারই একটা প্রতিফলন এবং এটা অবশ্যই রাষ্ট্রের এ রকম প্রধানমন্ত্রীর পুত্র যদি এ রকম দুর্নীতি করে আমার তো মনে হয় সেখানে সাজা দেওয়টাই উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আদালত যে সাজা দিয়েছেন আমি মনে করি দেশে আইনের শাসন আছে এবং আইনের শাসনে এই মামলায় বিচার করার দায়িত্ব আদালতের ছিল সেই দায়িত্ব আদালত সম্পন্ন করেছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলাটা দায়েরের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই। তারাই দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছিল। তারা (বিএনপি) যদি বলেন ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্মুখজ্ঞান আছে বলে আমার সন্দেহ।
নির্বাচনের আগে এই রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এখানে বিভ্রান্ত করার কী আছে? বিচারিক কাজ হয়েছে, রায় রেবিয়েছে। সাজা দেওয়াটা, আসামি তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন, আরেকটি দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট তাকে সাত বছর দ-াদেশ দিয়েছেন। নতুন করে এটা দিয়ে ওনার ভাবমূর্তি খারাপ করার তো আমাদের প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না। আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করাতে সরকারের উদ্যোগ থাকবে কি না, এ প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘সবসময়ই থাকবে। সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা (আসামিকে) ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করবো।’
ত্বড়িৎ গতিতে বিচার করার অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, একদিকে বলা হয় যে এখানে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু অত্যন্ত স্থূলগতিতে চলে। আবার আরেকদিকে বলা হয় বিচার তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে যে তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো, এখানে অযৌক্তিক তর্ক করে শুধু একটি দোষী বা নির্দোষ এটা আদালতের ব্যাপার, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। কথা হচ্ছে যে দোষ যখন করেছে তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাটা না করাই উচিত। বিএনপির রাজনীতি মাঠ থেকে শেষ করে দিতেই এসব রায় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখছেন বিএনপি যখন রাজনীতি করছে তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত করছে না। আইনের শাসনের জন্য তাদের অপরাধের বিচার করাটা আমার মনে হয় না তাদের রাজনীতি থেকে বিতিাগিত করার পরিকল্পনা।’

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

দেশে আইনের শাসন আছে, তারেক-জোবায়দার রায় নিয়ে আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে যে আইনের শাসন আছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সাজার রায় তারই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচারও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বুধবার রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইনমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা দায়ের করার পর হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ দ্বারা এই মামলা চলবে- এই রায়ের পর মামলার বিচারিক কাজ সম্পন্ন হয়। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশে যে আইনের শাসন আছে তারই একটা প্রতিফলন এবং এটা অবশ্যই রাষ্ট্রের এ রকম প্রধানমন্ত্রীর পুত্র যদি এ রকম দুর্নীতি করে আমার তো মনে হয় সেখানে সাজা দেওয়টাই উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আদালত যে সাজা দিয়েছেন আমি মনে করি দেশে আইনের শাসন আছে এবং আইনের শাসনে এই মামলায় বিচার করার দায়িত্ব আদালতের ছিল সেই দায়িত্ব আদালত সম্পন্ন করেছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলাটা দায়েরের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই। তারাই দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছিল। তারা (বিএনপি) যদি বলেন ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্মুখজ্ঞান আছে বলে আমার সন্দেহ।
নির্বাচনের আগে এই রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এখানে বিভ্রান্ত করার কী আছে? বিচারিক কাজ হয়েছে, রায় রেবিয়েছে। সাজা দেওয়াটা, আসামি তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন, আরেকটি দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট তাকে সাত বছর দ-াদেশ দিয়েছেন। নতুন করে এটা দিয়ে ওনার ভাবমূর্তি খারাপ করার তো আমাদের প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না। আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করাতে সরকারের উদ্যোগ থাকবে কি না, এ প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘সবসময়ই থাকবে। সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা (আসামিকে) ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করবো।’
ত্বড়িৎ গতিতে বিচার করার অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, একদিকে বলা হয় যে এখানে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু অত্যন্ত স্থূলগতিতে চলে। আবার আরেকদিকে বলা হয় বিচার তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে যে তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো, এখানে অযৌক্তিক তর্ক করে শুধু একটি দোষী বা নির্দোষ এটা আদালতের ব্যাপার, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। কথা হচ্ছে যে দোষ যখন করেছে তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাটা না করাই উচিত। বিএনপির রাজনীতি মাঠ থেকে শেষ করে দিতেই এসব রায় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখছেন বিএনপি যখন রাজনীতি করছে তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত করছে না। আইনের শাসনের জন্য তাদের অপরাধের বিচার করাটা আমার মনে হয় না তাদের রাজনীতি থেকে বিতিাগিত করার পরিকল্পনা।’