ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য আটকে গেছে দরিদ্রতার জালে

  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
  • ২০৬ বার পড়া হয়েছে

গার্গী তনুশ্রী পাল : সচেতনতা, প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব ও আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় দেশের অনেক নারীই ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারেন না।
প্রজনন স্বাস্থ্য ও এ বিষয়ে সচেতনতার বিভিন্ন দিক নিয়ে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় কয়েকজন নারীর।
নি¤œআয়ের সেই নারীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায় সামর্থ্য না থাকায় তারা ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারেন না। স্যানেটারি প্যাড বেশির ভাগ নারীর কাছেই এখনো বিলাসিতা। তাদের অনেকে প্যাডের বদলে পুরনো কাপড় ব্যবহার করেন। এছাড়া পরিচ্ছন্ন পরিবেশেও থাকার সুযোগ নেই অনেকের। এ ব্যাপারে জেসমিন নামে এক শ্রমজীবি নারী (৩৫) বলেন, আর্থিক অনটনের কারণে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন না। যদিও এতে তার নানান অসুবিধা হয়।
জোসনা (১৮) নামে আরেকজন তরুণী সঙ্গেও কথা হয়। তিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন। জানান, যদি কোনো বাসা থেকে স্যানিটারি প্যাড দেয় তবেই তিনি ব্যবহার করেন। অন্যান্য সময়ে কাপড় ব্যবহার করেন, এতেই তিনি অভ্যস্ত। নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের এই বিষয়গুলো নিয়ে ওয়াটার এইড এক গবেষণা পরিচালনা করে।
২০২০ সালে প্রকাশিত ওই গবেষণা থেকে জানা যায়, নি¤œ আয়ের পরিবারের নারী ও কিশোরীদের অধিকাংশই স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে না। দেশের ৬৪ শতাংশ কিশোরী তাদের প্রথম ঋতুস্রাবের আগে এই শারীরিক পরিবর্তনের কথা শুনেনি। ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায় যে, যে নারীরা পুরোনো কাপড় ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ সেটিকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য আটকে গেছে দরিদ্রতার জালে

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

গার্গী তনুশ্রী পাল : সচেতনতা, প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব ও আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় দেশের অনেক নারীই ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারেন না।
প্রজনন স্বাস্থ্য ও এ বিষয়ে সচেতনতার বিভিন্ন দিক নিয়ে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় কয়েকজন নারীর।
নি¤œআয়ের সেই নারীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায় সামর্থ্য না থাকায় তারা ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারেন না। স্যানেটারি প্যাড বেশির ভাগ নারীর কাছেই এখনো বিলাসিতা। তাদের অনেকে প্যাডের বদলে পুরনো কাপড় ব্যবহার করেন। এছাড়া পরিচ্ছন্ন পরিবেশেও থাকার সুযোগ নেই অনেকের। এ ব্যাপারে জেসমিন নামে এক শ্রমজীবি নারী (৩৫) বলেন, আর্থিক অনটনের কারণে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন না। যদিও এতে তার নানান অসুবিধা হয়।
জোসনা (১৮) নামে আরেকজন তরুণী সঙ্গেও কথা হয়। তিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন। জানান, যদি কোনো বাসা থেকে স্যানিটারি প্যাড দেয় তবেই তিনি ব্যবহার করেন। অন্যান্য সময়ে কাপড় ব্যবহার করেন, এতেই তিনি অভ্যস্ত। নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের এই বিষয়গুলো নিয়ে ওয়াটার এইড এক গবেষণা পরিচালনা করে।
২০২০ সালে প্রকাশিত ওই গবেষণা থেকে জানা যায়, নি¤œ আয়ের পরিবারের নারী ও কিশোরীদের অধিকাংশই স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে না। দেশের ৬৪ শতাংশ কিশোরী তাদের প্রথম ঋতুস্রাবের আগে এই শারীরিক পরিবর্তনের কথা শুনেনি। ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায় যে, যে নারীরা পুরোনো কাপড় ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ সেটিকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’