ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

বিদেশিদের সফরে ভুল বোঝাবুঝি দূর হচ্ছে: আইনমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিদেশিদের এই সফরের মধ্য দিয়ে ‘ভুল বুঝাবুঝিগুলো দূর হচ্ছে’ বলে মনে করছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে বিভিন্নজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে সরকার চাপ অনুভব করছে কিনা, আইনমন্ত্রীকে সেই প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। জবাবে আনিসুল হক বলেন, “সারা পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে গেছে। এখানে পরস্পর পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার জন্য কিন্তু অনেক আলাপ-আলোচনায় নিয়োজিত হয়। আমি সেই আলোকেই নিচ্ছি। “আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। কিন্তু আমাদের বন্ধু আছে তারা আমাদের অবশ্যই অনেক কথা জিজ্ঞেস করতে পারেন। আবার অনেক কথা তাদেরকে আমরা জিজ্ঞেস করতে পারি। আমি মনে করি এই আলোচনাগুলো আমাদের মধ্যে যদি কোথাও, কখনো কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, সেগুলো দূর করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই দূর হচ্ছে বলে মনে করি।”
সেপ্টেম্বরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সংশোধিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হবে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, “তার সাথে আমাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি উনাকে বলেছি, আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে এবং সেপ্টেম্বরেই সংসদে পাস করা হবে বলে আমরা আশা করছি।”
অবশ্য আইনে কী সংশোধনী আনা হচ্ছে– সে বিষয়ে কোনো তথ্য না দিয়ে সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি মনে করি আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) সকলেই খুশি হবেন।” তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়েও গিলমোরের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে অংশীজনের সাথে একবার মিটিং করার পরে একটি ড্রাফট করা হয়েছে৷ এই ড্রাফট নিয়ে আবারও অংশীজনের সাথে বসা হবে বলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছি, সেটি আমি তাকে (গিলমোর) বলেছি। “তার সাথে শ্রম আইন নিয়ে আলাপ করেছি। আমি বলেছি, শ্রম আইন এবং বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার আরও জোরদার হয়েছে। সেটার ব্যাপারে আমরা অনেক কাজ করেছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। যেসব সমস্যা আছে, আইএলওর আগামী গভর্নিং বডির মিটিংয়ে সেগুলো দূর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। এ বিষয়ে আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছি।”
তবে নির্বাচন নিয়ে ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি বলে জানান আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বাংলাদেশের নতুন আইনের বিষয়ে বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিকে অবহিত করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে ইমন গিলমোর বলেন, “এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বিগ্ন। বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে এ আইনে মামলা হয়েছে। “আইনমন্ত্রী আমাকে নিশ্চিত করেছেন, এ আইনটি সংশোধনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

বিদেশিদের সফরে ভুল বোঝাবুঝি দূর হচ্ছে: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিদেশিদের এই সফরের মধ্য দিয়ে ‘ভুল বুঝাবুঝিগুলো দূর হচ্ছে’ বলে মনে করছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে বিভিন্নজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে সরকার চাপ অনুভব করছে কিনা, আইনমন্ত্রীকে সেই প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। জবাবে আনিসুল হক বলেন, “সারা পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে গেছে। এখানে পরস্পর পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার জন্য কিন্তু অনেক আলাপ-আলোচনায় নিয়োজিত হয়। আমি সেই আলোকেই নিচ্ছি। “আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। কিন্তু আমাদের বন্ধু আছে তারা আমাদের অবশ্যই অনেক কথা জিজ্ঞেস করতে পারেন। আবার অনেক কথা তাদেরকে আমরা জিজ্ঞেস করতে পারি। আমি মনে করি এই আলোচনাগুলো আমাদের মধ্যে যদি কোথাও, কখনো কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, সেগুলো দূর করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই দূর হচ্ছে বলে মনে করি।”
সেপ্টেম্বরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সংশোধিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হবে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, “তার সাথে আমাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি উনাকে বলেছি, আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে এবং সেপ্টেম্বরেই সংসদে পাস করা হবে বলে আমরা আশা করছি।”
অবশ্য আইনে কী সংশোধনী আনা হচ্ছে– সে বিষয়ে কোনো তথ্য না দিয়ে সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি মনে করি আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) সকলেই খুশি হবেন।” তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়েও গিলমোরের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে অংশীজনের সাথে একবার মিটিং করার পরে একটি ড্রাফট করা হয়েছে৷ এই ড্রাফট নিয়ে আবারও অংশীজনের সাথে বসা হবে বলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছি, সেটি আমি তাকে (গিলমোর) বলেছি। “তার সাথে শ্রম আইন নিয়ে আলাপ করেছি। আমি বলেছি, শ্রম আইন এবং বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার আরও জোরদার হয়েছে। সেটার ব্যাপারে আমরা অনেক কাজ করেছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। যেসব সমস্যা আছে, আইএলওর আগামী গভর্নিং বডির মিটিংয়ে সেগুলো দূর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। এ বিষয়ে আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছি।”
তবে নির্বাচন নিয়ে ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি বলে জানান আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বাংলাদেশের নতুন আইনের বিষয়ে বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিকে অবহিত করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে ইমন গিলমোর বলেন, “এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বিগ্ন। বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে এ আইনে মামলা হয়েছে। “আইনমন্ত্রী আমাকে নিশ্চিত করেছেন, এ আইনটি সংশোধনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”