ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সরকার ‘ডিজিটাল অপরাধে’ বিটিআরসিকে ব্যবহার করছে: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০২:২৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্দোলন দমনে ‘ইন্টারনেট শাটডাউন’কে সরকার ‘নতুন অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়টিকে নাগরিক অধিকারের ‘ভয়ঙ্কর লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, সব ধরনের ‘ডিজিটাল অপরাধের জন্য’ সরকার এখন বিটিআরসিকে ব্যবহার করছে।
গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘ইন্টারনেট-শাটডাউনসহ সরকারের সব ধরনের নির্যাতনের’ প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলের মিডিয়া সেল। মির্জা ফখরুল সেখানে বলেন, “সরকার গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে ভীত হয়ে প্রয়োগ করছে নতুন ডিজিটাল অস্ত্র ‘ইন্টারনেট-শাটডাউন’। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে জনগণকে, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মত প্রকাশের অধিকারকে।”
ডিজিটাল অধিকার আরও ‘সঙ্কুচিত’ হওয়ার শঙ্কা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মত প্রকাশের অধিকার, সভা-সমাবেশের অধিকার ও তা প্রচার করার অধিকারসহ প্রত্যেকটি অধিকারের বিরুদ্ধে খোদ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথা কাঠামোকেই ব্যবহার করা হবে। যেভাবে আজ সাইবার জগতে গোয়েন্দাবৃত্তির জন্য, ইন্টারনেট শাটডাউনসহ নানা ডিজিটাল অপরাধের জন্য বিটিআরসিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ইন্টারনেট-শাটডাউনের ঘটনা নাগরিক অধিকারের ভয়ঙ্কর লঙ্ঘন। এটা গুম-খুনের মতই একটা অপরাধ। কোনো ব্যক্তি গুমের শিকার হলে কেবল একজন হারিয়ে যান। কিন্তু কোনো স্থানে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হলে তার শিকার হয় দেশ-বিদেশের লক্ষ কোটি মানুষ।” ফখরুলের ভাষায় মানুষকে খুন করা যেমন অপরাধ, তেমনি অনলাইন থকে তার অস্তিত্ব ‘নিশ্চিহ্ন করে ফেলাও’ অপরাধ। আর সরকার ‘ক্রমাগতভাবে সেই অপরাধ’ করে যাচ্ছে।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “সরকার পতনের চলমান এক দফা আন্দোলনের সম্পূরক হিসেবে আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক ইন্টারনেট শাটডাইন, নজরদারি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, মোবাইল ফোন তল্লাশিসহ সকল ধরনের ডিজিটাল অপব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
‘দেশে কি যুদ্ধ চলছে?’ গত ১২ জুলাই নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে ওই এলাকায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন বা বিঘিœত করা হয় বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ এলাকাতেও ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। ফখরুল বলেন, “ইন্টারনেট অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘এক্সেস-নাও’ এর ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ইন্টারনেট শাটডাউন’র সংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। বাংলাদেশের আগে চারটি দেশ ভারত, ইউক্রেইন, ইরান ও মিয়ানমার।“
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “গত আট মাসে দেশে ৬ বার ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, পঞ্চমস্থান অধিকারকারী বাংলাদেশেও কি কোনো যুদ্ধ চলছে? যুদ্ধ হলে কাদের বিরুদ্ধে সরকার সেই যুদ্ধ করছে?”
ইন্টারনেট পরিষেবা যে কেবল সোশাল মিডিয়ার বিনোদনেই সীমাবদ্ধ নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফখরুল বলেন, “বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট সেবা মানুষের মত প্রকাশের অপরিহার্য একটি মাধ্যমে। এই সেবা বিচ্ছিন্ন করা হলে মূলত মত প্রকাশের অধিকারকেই বাধাগ্রস্ত করা হয়।“ ফখরুলের ভাষায়, আর্থিক খাত, চিকিৎসা সেবা, আইন, লেখাপড়া, আউট সোর্সং, ভ্রমণ, চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে বিস্তৃতি নিয়ে ইন্টারনেট জীবন-জীবিকার জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। “ফলে ইন্টারনেট বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের মত ঘটনাগুলো সুস্পষ্টভাবে ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন, জাতিসংঘের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রকাশ্যে বিরুদ্ধাচরণ বলে আমরা মনে করি।”
রাস্তা-ঘাটে সাধারণ মানুষকে বেআইনিভাবে ‘আটক’ করে তাদের মোবাইল তল্লাশির নামে পুলিশ ‘গণহয়রানি’ করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ডিজিটালাইজেশনকেই জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ডিজিটাল মাধ্যমে নিপীড়ন চালাচ্ছে তারা। জনগণের ওপর নজরদারি, ফোন কল রেকর্ড, অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, অনলাইনে নারীদের প্রতি সহিংসতাকে উসকে দেওয়া, ভিন্ন মতাবলম্বীদের ব্ল্যাকমেইল করা, ভুল তথ্য-অপতথ্য-বিকৃত তথ্য ও কন্টেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে প্রপাগান্ডা চালানোসহ নানা অপরাধ করছে সরকার।”
জনগণের টাকায় ‘নজরদারি প্রযুক্তি কিনে জনগণের ওপরে সরকার গোয়েন্দাগিরি’ করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের উপর নজরদারি করে ইলিয়াস আলীর মত নেতাদের গুম করার তথ্যও ইতোমধ্যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। সাইবার প্রযুক্তির অপব্যবহার যত ধরনের অপরাধ করা সম্ভব, এই সরকার তা সবই করছে।”
বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশের ডিজিটাল সেবাকে বৈশ্বিক মানে উন্নীতি করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমান রুমন, আলী মাহমুদ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

সরকার ‘ডিজিটাল অপরাধে’ বিটিআরসিকে ব্যবহার করছে: ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:২৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্দোলন দমনে ‘ইন্টারনেট শাটডাউন’কে সরকার ‘নতুন অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়টিকে নাগরিক অধিকারের ‘ভয়ঙ্কর লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, সব ধরনের ‘ডিজিটাল অপরাধের জন্য’ সরকার এখন বিটিআরসিকে ব্যবহার করছে।
গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘ইন্টারনেট-শাটডাউনসহ সরকারের সব ধরনের নির্যাতনের’ প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলের মিডিয়া সেল। মির্জা ফখরুল সেখানে বলেন, “সরকার গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে ভীত হয়ে প্রয়োগ করছে নতুন ডিজিটাল অস্ত্র ‘ইন্টারনেট-শাটডাউন’। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে জনগণকে, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মত প্রকাশের অধিকারকে।”
ডিজিটাল অধিকার আরও ‘সঙ্কুচিত’ হওয়ার শঙ্কা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মত প্রকাশের অধিকার, সভা-সমাবেশের অধিকার ও তা প্রচার করার অধিকারসহ প্রত্যেকটি অধিকারের বিরুদ্ধে খোদ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথা কাঠামোকেই ব্যবহার করা হবে। যেভাবে আজ সাইবার জগতে গোয়েন্দাবৃত্তির জন্য, ইন্টারনেট শাটডাউনসহ নানা ডিজিটাল অপরাধের জন্য বিটিআরসিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ইন্টারনেট-শাটডাউনের ঘটনা নাগরিক অধিকারের ভয়ঙ্কর লঙ্ঘন। এটা গুম-খুনের মতই একটা অপরাধ। কোনো ব্যক্তি গুমের শিকার হলে কেবল একজন হারিয়ে যান। কিন্তু কোনো স্থানে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হলে তার শিকার হয় দেশ-বিদেশের লক্ষ কোটি মানুষ।” ফখরুলের ভাষায় মানুষকে খুন করা যেমন অপরাধ, তেমনি অনলাইন থকে তার অস্তিত্ব ‘নিশ্চিহ্ন করে ফেলাও’ অপরাধ। আর সরকার ‘ক্রমাগতভাবে সেই অপরাধ’ করে যাচ্ছে।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “সরকার পতনের চলমান এক দফা আন্দোলনের সম্পূরক হিসেবে আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক ইন্টারনেট শাটডাইন, নজরদারি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, মোবাইল ফোন তল্লাশিসহ সকল ধরনের ডিজিটাল অপব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
‘দেশে কি যুদ্ধ চলছে?’ গত ১২ জুলাই নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে ওই এলাকায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন বা বিঘিœত করা হয় বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ এলাকাতেও ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। ফখরুল বলেন, “ইন্টারনেট অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘এক্সেস-নাও’ এর ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ইন্টারনেট শাটডাউন’র সংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। বাংলাদেশের আগে চারটি দেশ ভারত, ইউক্রেইন, ইরান ও মিয়ানমার।“
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “গত আট মাসে দেশে ৬ বার ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, পঞ্চমস্থান অধিকারকারী বাংলাদেশেও কি কোনো যুদ্ধ চলছে? যুদ্ধ হলে কাদের বিরুদ্ধে সরকার সেই যুদ্ধ করছে?”
ইন্টারনেট পরিষেবা যে কেবল সোশাল মিডিয়ার বিনোদনেই সীমাবদ্ধ নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফখরুল বলেন, “বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট সেবা মানুষের মত প্রকাশের অপরিহার্য একটি মাধ্যমে। এই সেবা বিচ্ছিন্ন করা হলে মূলত মত প্রকাশের অধিকারকেই বাধাগ্রস্ত করা হয়।“ ফখরুলের ভাষায়, আর্থিক খাত, চিকিৎসা সেবা, আইন, লেখাপড়া, আউট সোর্সং, ভ্রমণ, চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে বিস্তৃতি নিয়ে ইন্টারনেট জীবন-জীবিকার জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। “ফলে ইন্টারনেট বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের মত ঘটনাগুলো সুস্পষ্টভাবে ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন, জাতিসংঘের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রকাশ্যে বিরুদ্ধাচরণ বলে আমরা মনে করি।”
রাস্তা-ঘাটে সাধারণ মানুষকে বেআইনিভাবে ‘আটক’ করে তাদের মোবাইল তল্লাশির নামে পুলিশ ‘গণহয়রানি’ করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ডিজিটালাইজেশনকেই জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ডিজিটাল মাধ্যমে নিপীড়ন চালাচ্ছে তারা। জনগণের ওপর নজরদারি, ফোন কল রেকর্ড, অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, অনলাইনে নারীদের প্রতি সহিংসতাকে উসকে দেওয়া, ভিন্ন মতাবলম্বীদের ব্ল্যাকমেইল করা, ভুল তথ্য-অপতথ্য-বিকৃত তথ্য ও কন্টেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে প্রপাগান্ডা চালানোসহ নানা অপরাধ করছে সরকার।”
জনগণের টাকায় ‘নজরদারি প্রযুক্তি কিনে জনগণের ওপরে সরকার গোয়েন্দাগিরি’ করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের উপর নজরদারি করে ইলিয়াস আলীর মত নেতাদের গুম করার তথ্যও ইতোমধ্যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। সাইবার প্রযুক্তির অপব্যবহার যত ধরনের অপরাধ করা সম্ভব, এই সরকার তা সবই করছে।”
বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশের ডিজিটাল সেবাকে বৈশ্বিক মানে উন্নীতি করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমান রুমন, আলী মাহমুদ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।