ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

৮ কারণে খেতে হবে আতাফল

  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: আতা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ আতা মানসিক সুস্থতায় টনিক হিসেবে কাজ করে। হাঁপানি রোগী হিসেবে অবশ্যই খেতে পারেন আতাফল। এটি ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ, যা আপনার হাঁপানি প্রতিরোধে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আতাফল বেশ উপকারি ভূমিকা রাখে। এটি রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে বেশ কার্যকর। ফলটিতে মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়াবেটিস ফাইবারের উপস্থিতি থাকার কারণে এটি চিনির শোষণ কমিয়ে দেয়।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় আতা ফল ত্বক, চুল এবং চোখের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, তারুণ্য ধরে রাখে। আতাফলের খোসা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। আতাফল গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। গর্ভাবস্থায় আতাফল খেলে সকালের দুর্বলতা দূর করে শারীরিক ব্যথার উপশম ঘটায়। এছাড়া নিয়মিত এটি খেলে মায়ের বুকেও পর্যাপ্ত দুধ তৈরি হয়। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় আতাফল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের রক্তচাপ ওঠানামা করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত আতাফল খেতে পারেন। এছাড়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও এটি ভূমিকা রাখে। আতাফলের গুড়া এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেলে, আপনার ডায়রিয়া সমস্যা মুহূর্তে ঠিক হয়ে যেতে পারে। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে আতা গাছের পাতার নির্যাস কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি স্তনের মধ্যে থাকা বিষাক্ত টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে। আতাফলের চামড়া ব্যবহার করলে আপনার দাঁত পরিষ্কার থাকে। এটি আপনার দাঁত ক্ষয়রোধ করে এবং মাড়িকে আরও মজবুত করে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

৮ কারণে খেতে হবে আতাফল

আপডেট সময় : ১০:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: আতা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ আতা মানসিক সুস্থতায় টনিক হিসেবে কাজ করে। হাঁপানি রোগী হিসেবে অবশ্যই খেতে পারেন আতাফল। এটি ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ, যা আপনার হাঁপানি প্রতিরোধে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আতাফল বেশ উপকারি ভূমিকা রাখে। এটি রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে বেশ কার্যকর। ফলটিতে মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়াবেটিস ফাইবারের উপস্থিতি থাকার কারণে এটি চিনির শোষণ কমিয়ে দেয়।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় আতা ফল ত্বক, চুল এবং চোখের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, তারুণ্য ধরে রাখে। আতাফলের খোসা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। আতাফল গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। গর্ভাবস্থায় আতাফল খেলে সকালের দুর্বলতা দূর করে শারীরিক ব্যথার উপশম ঘটায়। এছাড়া নিয়মিত এটি খেলে মায়ের বুকেও পর্যাপ্ত দুধ তৈরি হয়। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় আতাফল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের রক্তচাপ ওঠানামা করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত আতাফল খেতে পারেন। এছাড়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও এটি ভূমিকা রাখে। আতাফলের গুড়া এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেলে, আপনার ডায়রিয়া সমস্যা মুহূর্তে ঠিক হয়ে যেতে পারে। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে আতা গাছের পাতার নির্যাস কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি স্তনের মধ্যে থাকা বিষাক্ত টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে। আতাফলের চামড়া ব্যবহার করলে আপনার দাঁত পরিষ্কার থাকে। এটি আপনার দাঁত ক্ষয়রোধ করে এবং মাড়িকে আরও মজবুত করে।