ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

চাইলে যে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়, বাংলাদেশ তার নজির: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতি থেকে দূরে থেকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বলে বাসস জানিয়েছে। গত এক যুগে দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি আমরা কাজের প্রতি আন্তরিকতা, আত্মসম্মানবোধ, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে পারি, তাহলে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে, এমনকি অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারি। আজ আমাদের বাংলাদেশ এটা প্রমাণ করেছে।” সরকারি পর্যায়ে তৃণমূল পর্যন্ত কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে করতে সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তৎপর হতেও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়গুলো তাদের অন্যান্য অফিসের সাথে এপিএ স্বাক্ষর করবে- যাতে (সরকারি অফিসগুলিতে) তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যোগাযোগ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। আমরা যদি এইভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে পারব।“

প্রধানমন্ত্রী সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে উত্তরসূরিদের প্রস্তুত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ আসতে পারে। আমরা সব ধরনের দুর্যোগ কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। আমি এটা বিশ্বাস করি।“
বাংলাদেশকে যাতে খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে না হয়, সেজন্য উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদী না থাকে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছ থেকে এদিন এপিএ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে এপিএ বাস্তবায়ন এবং রেন্ডারিং পরিষেবায় সরকারি কর্মাকর্তাদের কাজের স্বীকৃতিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ‘এপিএ অ্যাওয়ার্ড ‘এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের সরকারি অফিস এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের স্বাগত বক্তব্যের পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার এবং জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন। ২০২২-২৩ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নের জন্য প্রথম হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। এপিএ বাস্তবায়নে চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হল- অর্থ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, আইএমইডি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

চাইলে যে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়, বাংলাদেশ তার নজির: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতি থেকে দূরে থেকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বলে বাসস জানিয়েছে। গত এক যুগে দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি আমরা কাজের প্রতি আন্তরিকতা, আত্মসম্মানবোধ, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে পারি, তাহলে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে, এমনকি অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারি। আজ আমাদের বাংলাদেশ এটা প্রমাণ করেছে।” সরকারি পর্যায়ে তৃণমূল পর্যন্ত কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে করতে সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তৎপর হতেও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়গুলো তাদের অন্যান্য অফিসের সাথে এপিএ স্বাক্ষর করবে- যাতে (সরকারি অফিসগুলিতে) তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যোগাযোগ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। আমরা যদি এইভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে পারব।“

প্রধানমন্ত্রী সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে উত্তরসূরিদের প্রস্তুত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ আসতে পারে। আমরা সব ধরনের দুর্যোগ কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। আমি এটা বিশ্বাস করি।“
বাংলাদেশকে যাতে খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে না হয়, সেজন্য উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদী না থাকে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছ থেকে এদিন এপিএ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে এপিএ বাস্তবায়ন এবং রেন্ডারিং পরিষেবায় সরকারি কর্মাকর্তাদের কাজের স্বীকৃতিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ‘এপিএ অ্যাওয়ার্ড ‘এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের সরকারি অফিস এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের স্বাগত বক্তব্যের পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার এবং জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন। ২০২২-২৩ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নের জন্য প্রথম হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। এপিএ বাস্তবায়নে চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হল- অর্থ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, আইএমইডি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।