ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে খুবি শিক্ষার্থীর ‘সমুদ্রের ঢেউয়ের সুর’

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী রূপক কুমার সাহার চিত্রকর্ম ‘সমুদ্রের ঢেউয়ের সুর’ প্রদর্শিত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
শিল্পকর্মের বর্ণনা দিয়ে রূপক সাহা বলেন, শৈশবে ঠাকুর ঘরে মা আমাকে একদিন শঙ্খ হাতে দিয়ে বলেছিলেন, ‘শঙ্খ এর ভেতরের অংশটা কানের কাছে নিলে তুমি সমুদ্রের শব্দ শুনতে পারবে।’ সেই থেকে সমুদ্রের শব্দের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা কাজ করে। ২০১৮ সালে শিক্ষা সফরে গিয়ে আমি সেই শব্দটা অনুভব করি। সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় একটা সুর সৃষ্টি করছে, এগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। আবার যখন আরেকটি ঢেউ আসছে, তখন আগের সুরটি শূন্যে মিলে যাচ্ছে। আমি আমার এই পুরো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি করেছি আমার এই শিল্পকর্ম।
শিল্পকর্মটির ডিজাইন এর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি এটি তৈরিতে সাদা,আকাশী ও নীল তিনটি রঙ ব্যবহার করেছি এবং তাতে কাঠের মাধ্যমে ঢেউয়ের একটা বিমুর্ত ফর্ম আনার চেষ্টা করেছি। সঙ্গে এক প্রকার আঠা ব্যবহারে সমুদ্রের ঢেউ এর ফলে সৃষ্ট ফেনা বুঝাচ্ছে। কাঠের ফর্মের উপর দ-ায়মান প্রতীকগুলো সুরের বারংবার আবর্তনকে এবং উপরে ঝোলানো সুরের প্রতীকগুলো দিয়ে সেই সুরের শূন্যে মিলে যাবার বিষয়টি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
অনুভূতি ব্যক্ত করে এই শিল্পী বলেন, বর্তমান সময়টা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনেক খারাপ যাচ্ছে। ঠিক এসময়ে শিল্পীদের নামসহ শিল্পকর্মের তালিকা আমাকে যেন ঠিক অনেকটা অভিশাপমুক্ত করেছিল এই হতাশার হাত থেকে। শিল্পী বাঁচে তার শিল্পকর্ম নিয়ে। প্রতিটি শিল্পকর্ম শিল্পীর কাছে এক একটা সন্তান সমতুল্য। আর যখন তা হাজারো দর্শকের কাছে কোনো বার্তা দিতে সক্ষম হয় প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে, শিল্পীর আত্মা যেন এক অসীম তৃপ্তি লাভ করে।
নিজের পরিবার, খুবি’র ভাস্কর্য ডিসিপ্লিন-এর শিক্ষকবৃন্দ এবং সিনিয়র ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে সবার আশীর্বাদ নিয়ে বাকি জীবনটাও ভাস্কর্য চর্চায় কাটাতে চাই।
গত ২৯ জুন রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্ধোধন করা হয়। এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় এবার ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে খুবি শিক্ষার্থীর ‘সমুদ্রের ঢেউয়ের সুর’

আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী রূপক কুমার সাহার চিত্রকর্ম ‘সমুদ্রের ঢেউয়ের সুর’ প্রদর্শিত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
শিল্পকর্মের বর্ণনা দিয়ে রূপক সাহা বলেন, শৈশবে ঠাকুর ঘরে মা আমাকে একদিন শঙ্খ হাতে দিয়ে বলেছিলেন, ‘শঙ্খ এর ভেতরের অংশটা কানের কাছে নিলে তুমি সমুদ্রের শব্দ শুনতে পারবে।’ সেই থেকে সমুদ্রের শব্দের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা কাজ করে। ২০১৮ সালে শিক্ষা সফরে গিয়ে আমি সেই শব্দটা অনুভব করি। সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় একটা সুর সৃষ্টি করছে, এগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। আবার যখন আরেকটি ঢেউ আসছে, তখন আগের সুরটি শূন্যে মিলে যাচ্ছে। আমি আমার এই পুরো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি করেছি আমার এই শিল্পকর্ম।
শিল্পকর্মটির ডিজাইন এর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি এটি তৈরিতে সাদা,আকাশী ও নীল তিনটি রঙ ব্যবহার করেছি এবং তাতে কাঠের মাধ্যমে ঢেউয়ের একটা বিমুর্ত ফর্ম আনার চেষ্টা করেছি। সঙ্গে এক প্রকার আঠা ব্যবহারে সমুদ্রের ঢেউ এর ফলে সৃষ্ট ফেনা বুঝাচ্ছে। কাঠের ফর্মের উপর দ-ায়মান প্রতীকগুলো সুরের বারংবার আবর্তনকে এবং উপরে ঝোলানো সুরের প্রতীকগুলো দিয়ে সেই সুরের শূন্যে মিলে যাবার বিষয়টি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
অনুভূতি ব্যক্ত করে এই শিল্পী বলেন, বর্তমান সময়টা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনেক খারাপ যাচ্ছে। ঠিক এসময়ে শিল্পীদের নামসহ শিল্পকর্মের তালিকা আমাকে যেন ঠিক অনেকটা অভিশাপমুক্ত করেছিল এই হতাশার হাত থেকে। শিল্পী বাঁচে তার শিল্পকর্ম নিয়ে। প্রতিটি শিল্পকর্ম শিল্পীর কাছে এক একটা সন্তান সমতুল্য। আর যখন তা হাজারো দর্শকের কাছে কোনো বার্তা দিতে সক্ষম হয় প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে, শিল্পীর আত্মা যেন এক অসীম তৃপ্তি লাভ করে।
নিজের পরিবার, খুবি’র ভাস্কর্য ডিসিপ্লিন-এর শিক্ষকবৃন্দ এবং সিনিয়র ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে সবার আশীর্বাদ নিয়ে বাকি জীবনটাও ভাস্কর্য চর্চায় কাটাতে চাই।
গত ২৯ জুন রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্ধোধন করা হয়। এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় এবার ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।