ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

দুই দলের সমাবেশে থমকে যায় ঢাকার সড়ক, ভোগান্তি চরমে

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : একই দিনে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের কারণে অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে ঢাকার কেন্দ্রস্থল। দুপুরের পর মতিঝিল, পল্টন এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে আশপাশের ও দূরের এলাকাতেও, হেঁটেই গন্তব্যে ছুটেছে মানুষ।
সরকারপতনের ‘এক দফা’ আন্দোলন ঘোষণা করতে বিএনপি জড়ো হয়েছে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। এই সমাবেশে রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসেছেন মিছিল নিয়ে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জড়ো হয়েছে গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ দিকের সড়কে। তাদের সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তি সমাবেশ’। সেখানেও নগরীর নানা প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে যোগ দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দুটি সমাবেশের কারণে মতিঝিল এলাকার রাস্তাগুলো একরকম থমকে আছে। পল্টন বা ফকিরাপুল থেকে কোনো যানবাহন মতিঝিলের দিকে আসছে না। যার কারণে মতিঝিল থেকে ইত্তেফাক মোড় ও কমলাপুর এর দিকের কিছু রাস্তা খালি।
শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন মোড় পযৃন্ত রাস্তার পাশে বাস পার্ক করে রাখা হয়েছে। রাস্তায় যান চলাচলের বেহাল অবস্থা। শত শত মানুষ হেঁটে চলছেন। এর মধ্যে সমাবেশে যোগ দিতে আসা মানুষও রয়েছেন। নগর পরিবহনের বাসগুলোর একটা অংশ দুই দলের সমাবেশের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। আর যারা রাস্তায় চলছে, তারাও যানজটে আটকেই রয়েছে। স্বাধীন পরিবহনের চালক মো. মুন্না জানাচ্ছেন, তাদের বাসগুলো মিরপুর থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত চলাচল করে। সকালে ঢাকায় ঢোকার আগে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলায় অনেকগুলো গাড়ি আটকে পুলিশ তল্লাশি চালায়। সমাবেশে যাচ্ছে কি না এসব প্রশ্ন করে। গাড়িগুলো ছেড়ে দিলেও ঢাকায় ঢোকার পর যানজটের কারণে গাড়িগুলো আর বের হতে পারছে না। গুগল ম্যাপে রাজধানীর মধ্যাঞ্চলের অনেকগুলো রাস্তাই বন্ধ দেখাচ্ছে। ব্যাংক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলছেন, “হাই কোর্টে গিয়েছিলাম। বের হওয়ার সময় বিপত্তি বাঁধে। পরে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হেঁটেই দিলকুশায় আসি। গাড়িসহ চালক পৌনে দুই ঘণ্টা ধরে প্রেস ক্লাব এলাকায় আটকে রয়েছেন।”
পুলিশের রমনা বিভাগের (ট্রাফিক) উপকমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, “যেখানে যখন ডাইভারশন লাগছে তখনই দিয়ে দিচ্ছি। কিছু রাস্তা চলমান আছে। তবে কয়েকটি রাস্তা বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ আছে।
“পল্টনের দিকের রাস্তা কাকরাইল চার্চের এখান থেকে বন্ধ। আবার জিরো পয়েন্টের ওইদিকে, শান্তিনগরের ওইদিকে, মতিঝিলের ওইদিকে কিছু রাস্তায় ‘ডাইভারশন আছে’।”
এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখ আমিনবাজার এলাকায় যানবাহন আটকে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। যার কারণে ঢাকায় ঢুকতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে মানুষকে। বড় ব্যাগ বা মালামাল ছাড়া যেসব যাত্রী ছিলেন তাদের অনেকে হেঁটেই ঢাকায় ঢুকেছেন। মৌমিতা পরিবহনের চালক হাসান আলী জানাচ্ছেন, তারা ঢাকায় ঢুকতেই পারেননি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে সব যাত্রীরা নেমে গেছেন। তারাও হেমায়েতপুরে গাড়ি ঘুরিয়ে গ্যারেজে চলে গেছেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুই দলের সমাবেশে থমকে যায় ঢাকার সড়ক, ভোগান্তি চরমে

আপডেট সময় : ০২:০৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : একই দিনে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের কারণে অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে ঢাকার কেন্দ্রস্থল। দুপুরের পর মতিঝিল, পল্টন এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে আশপাশের ও দূরের এলাকাতেও, হেঁটেই গন্তব্যে ছুটেছে মানুষ।
সরকারপতনের ‘এক দফা’ আন্দোলন ঘোষণা করতে বিএনপি জড়ো হয়েছে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। এই সমাবেশে রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসেছেন মিছিল নিয়ে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জড়ো হয়েছে গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ দিকের সড়কে। তাদের সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তি সমাবেশ’। সেখানেও নগরীর নানা প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে যোগ দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দুটি সমাবেশের কারণে মতিঝিল এলাকার রাস্তাগুলো একরকম থমকে আছে। পল্টন বা ফকিরাপুল থেকে কোনো যানবাহন মতিঝিলের দিকে আসছে না। যার কারণে মতিঝিল থেকে ইত্তেফাক মোড় ও কমলাপুর এর দিকের কিছু রাস্তা খালি।
শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন মোড় পযৃন্ত রাস্তার পাশে বাস পার্ক করে রাখা হয়েছে। রাস্তায় যান চলাচলের বেহাল অবস্থা। শত শত মানুষ হেঁটে চলছেন। এর মধ্যে সমাবেশে যোগ দিতে আসা মানুষও রয়েছেন। নগর পরিবহনের বাসগুলোর একটা অংশ দুই দলের সমাবেশের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। আর যারা রাস্তায় চলছে, তারাও যানজটে আটকেই রয়েছে। স্বাধীন পরিবহনের চালক মো. মুন্না জানাচ্ছেন, তাদের বাসগুলো মিরপুর থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত চলাচল করে। সকালে ঢাকায় ঢোকার আগে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলায় অনেকগুলো গাড়ি আটকে পুলিশ তল্লাশি চালায়। সমাবেশে যাচ্ছে কি না এসব প্রশ্ন করে। গাড়িগুলো ছেড়ে দিলেও ঢাকায় ঢোকার পর যানজটের কারণে গাড়িগুলো আর বের হতে পারছে না। গুগল ম্যাপে রাজধানীর মধ্যাঞ্চলের অনেকগুলো রাস্তাই বন্ধ দেখাচ্ছে। ব্যাংক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলছেন, “হাই কোর্টে গিয়েছিলাম। বের হওয়ার সময় বিপত্তি বাঁধে। পরে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হেঁটেই দিলকুশায় আসি। গাড়িসহ চালক পৌনে দুই ঘণ্টা ধরে প্রেস ক্লাব এলাকায় আটকে রয়েছেন।”
পুলিশের রমনা বিভাগের (ট্রাফিক) উপকমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, “যেখানে যখন ডাইভারশন লাগছে তখনই দিয়ে দিচ্ছি। কিছু রাস্তা চলমান আছে। তবে কয়েকটি রাস্তা বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ আছে।
“পল্টনের দিকের রাস্তা কাকরাইল চার্চের এখান থেকে বন্ধ। আবার জিরো পয়েন্টের ওইদিকে, শান্তিনগরের ওইদিকে, মতিঝিলের ওইদিকে কিছু রাস্তায় ‘ডাইভারশন আছে’।”
এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখ আমিনবাজার এলাকায় যানবাহন আটকে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। যার কারণে ঢাকায় ঢুকতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে মানুষকে। বড় ব্যাগ বা মালামাল ছাড়া যেসব যাত্রী ছিলেন তাদের অনেকে হেঁটেই ঢাকায় ঢুকেছেন। মৌমিতা পরিবহনের চালক হাসান আলী জানাচ্ছেন, তারা ঢাকায় ঢুকতেই পারেননি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে সব যাত্রীরা নেমে গেছেন। তারাও হেমায়েতপুরে গাড়ি ঘুরিয়ে গ্যারেজে চলে গেছেন।