প্রত্যাশা ডেস্ক : বর্তমানে সব বয়সীদের কাছেই জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচ। বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ছোট কোম্পানিগুলোও আনছে একের পর এক স্মার্টওয়াচ। স্মার্টওয়াচে এখন শুধু সময় দেখা নয়, স্মার্টফোনের প্রায় সব ধরনের কাজই করা যায়। ব্লুটুথের মাধ্যমে ফোনের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারবেন।
আবহাওয়ার আপডেট থেকে শুরু করে হার্টবিট মনিটরিং, ঝঢ়ঙ২ ট্র্যাকিং, স্লিপ মনিটরিং মতো ফিচার রয়েছে স্মার্টওয়াচে। স্মার্টওয়াচ আপনার সারাদিনের বিভিন্ন কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে। অর্থাৎ আপনি কতক্ষণ হেঁটেছেন। কতক্ষণ ঘুমিয়েছেন, সব কিছু অনায়াসেই জানতে পারবেন। শরীরের নানান রোগ নির্ণয়েও ভূমিকা রাখছে স্মার্টওয়াচগুলো। তবে এবার গবেষকরা দাবি করছে, স্মার্টওয়াচ তার ব্যবহারকারীর ব্রেইন ডিসঅর্ডারও শনাক্ত করতে পারবে। এতদিন স্মার্টওয়াচ কেবল হেল্থ ট্র্যাকিং ফিচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু নতুন গবেষণায় জানা গেল, পার্কিনসনস রোগও শনাক্ত করার কাজে লাগতে পারে একটা স্মার্টওয়াচ। জার্নাল নেচার মেডিসিনের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব মানুষের পার্কিনসনস রোগ রয়েছে তাদের মুভমেন্ট প্যাটার্নের পরিবর্তন ধরতে পারে স্মার্টওয়াচগুলো। পার্কিনসনস রোগ হলো মস্তিষ্কের একপ্রকার সমস্যা, যা মানুষের মুভমেন্টে বিঘœতা ঘটায়। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতির কারণেই এমনটা হয়। রোগটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় এবং যথাসময়ে নির্ণয় করা গেলে অনেক বড় ক্ষতি থেকে মানুষকে বাঁচানো যায়। গবেষকরা এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১ লাখ ৩ হাজার মানুষকে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন, যারা স্মার্টওয়াচ পরেছিলেন। তাদের মধ্যে থেকেই এক-একজন মানুষের মুভমেন্টের গতির পরিমাপ করে দেখেছে স্মার্টওয়াচটি। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করে সেই সব মানুষের মুভমেন্ট সিগন্যাল ট্র্যাক করেই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি এই গবেষণাটিতে একটি এআই মডেলও ব্যবহৃত হয়েছে, যা পার্কিনসনস ডিজিজ রয়েছে এমন মানুষজনের ডেটার তুলনা করার কাজে এসেছিল। পার্কিনসনস রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে, এমন ঝুঁকি রয়েছে সেই সব মানুষজনকে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার কাজে অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে স্মার্টওয়াচের এই মডেলটি। পাশাপাশি রোগের অগ্রগতির সঠিক অনুমানও দিতে পেরেছে। গবেষকরা ৯০ শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে পার্কিনসনস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। সূত্র: ডেইলি মেইল