ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

যানজটের ঢাকায় এবার খুলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

  • আপডেট সময় : ০২:০৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সময় বেশ কয়েক বছর নষ্ট হওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে দুই মাসের মধ্যে।
অক্টোবরে মেট্রোরেলের মিরপুর থেকে উত্তরা রুট পুরোপুরি চালুর আগের মাস সেপ্টেম্বরে চালু হবে এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশ।
গতকাল শনিবার এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁওয়ে প্রান্তে সাংবাদিকদের একথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পথে যান চলাচল উদ্বোধন করবেন জানিয়ে তিনি আশা করেন, এতে এই পথের দুঃসহ যানজট কমবে। ২০০৯ সালে নেওয়া এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। তবে নানা জটিলতায় প্রায় এক যুগ পিছিয়েছে নির্মাণ কাজ। এই এক দশকে নগরীর যানজট পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যদিও এই সময়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের এমআরটি সিক্সের কাজ প্রায় শেষ। এরই মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত রুট চালু হয়ে গেছে। অক্টোবরের মধ্যে পুরো পথে ট্রেন চলবে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও দুটি রুটে মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই রুটে যুক্ত হয়েছে পূর্বাচলও। এই দুটি রুটের একাংশ মাটির ওপর দিয়ে এবং একাংশে ট্রেন চলবে পাতাল পথে। সরকার মোট ছয়টি রুটে মেট্রো রেলের পরিকল্পনা করলেও বিমানবন্দর সড়কে দ্রুত চলাচলের জন্য এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে হাতে নেয়। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় পর্যন্ত যাবে। “বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হবে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।”
এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি কত: ওবায়দুল কাদের জানান, প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এতে উঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটারের ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। এসব র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়টি প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ।
এর মধ্যে বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার মিলিয়ে ১৩ দশমিক ৩০ কিলোমিটার চালু হবে প্রথমে।
প্রকল্পের ভৌত কাজের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৯৭.২৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৬৩৩টি পাইল, ৩৩৫টি পাইল ক্যাপ, ৩২৩টি কলাম, ৩২০টি ক্রস বিম, ২ হাজার ৩০৫টি গার্ডার, ২ হাজার ৪৪টি আই গার্ডার এবং ২৩৩টি ব্রিজ স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের কাজ অনেকটাই পিছিয়ে। এই তৃতীয় ধাপে ভৌত কাজের অগ্রগতি ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ বলেও জানিয়েছেন সড়ক মন্ত্রী। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট কমার পাশাপাশি নাগরিকদের যাতায়াতের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে বলে আশার কথা জানান তিনি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যানজটের ঢাকায় এবার খুলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

আপডেট সময় : ০২:০৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সময় বেশ কয়েক বছর নষ্ট হওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে দুই মাসের মধ্যে।
অক্টোবরে মেট্রোরেলের মিরপুর থেকে উত্তরা রুট পুরোপুরি চালুর আগের মাস সেপ্টেম্বরে চালু হবে এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশ।
গতকাল শনিবার এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁওয়ে প্রান্তে সাংবাদিকদের একথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পথে যান চলাচল উদ্বোধন করবেন জানিয়ে তিনি আশা করেন, এতে এই পথের দুঃসহ যানজট কমবে। ২০০৯ সালে নেওয়া এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। তবে নানা জটিলতায় প্রায় এক যুগ পিছিয়েছে নির্মাণ কাজ। এই এক দশকে নগরীর যানজট পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যদিও এই সময়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের এমআরটি সিক্সের কাজ প্রায় শেষ। এরই মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত রুট চালু হয়ে গেছে। অক্টোবরের মধ্যে পুরো পথে ট্রেন চলবে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও দুটি রুটে মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই রুটে যুক্ত হয়েছে পূর্বাচলও। এই দুটি রুটের একাংশ মাটির ওপর দিয়ে এবং একাংশে ট্রেন চলবে পাতাল পথে। সরকার মোট ছয়টি রুটে মেট্রো রেলের পরিকল্পনা করলেও বিমানবন্দর সড়কে দ্রুত চলাচলের জন্য এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে হাতে নেয়। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় পর্যন্ত যাবে। “বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হবে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।”
এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি কত: ওবায়দুল কাদের জানান, প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এতে উঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটারের ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। এসব র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়টি প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ।
এর মধ্যে বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার মিলিয়ে ১৩ দশমিক ৩০ কিলোমিটার চালু হবে প্রথমে।
প্রকল্পের ভৌত কাজের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৯৭.২৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৬৩৩টি পাইল, ৩৩৫টি পাইল ক্যাপ, ৩২৩টি কলাম, ৩২০টি ক্রস বিম, ২ হাজার ৩০৫টি গার্ডার, ২ হাজার ৪৪টি আই গার্ডার এবং ২৩৩টি ব্রিজ স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের কাজ অনেকটাই পিছিয়ে। এই তৃতীয় ধাপে ভৌত কাজের অগ্রগতি ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ বলেও জানিয়েছেন সড়ক মন্ত্রী। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট কমার পাশাপাশি নাগরিকদের যাতায়াতের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে বলে আশার কথা জানান তিনি।