ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

উল্কার ঝলকে আলোকিত নরওয়ে!

  • আপডেট সময় : ১২:১০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : রাতের আকাশে উজ্জ্বল এক উল্কা ভস্ম হয়ে যাওয়া দেখে হতবাক হয়ে পড়েছে নরওয়ের বাসিন্দারা। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় শক্তিশালী আলোর ঝলকানি দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রবিবার এই ঝলকানির সঙ্গে সঙ্গে একটি জোরালো শব্দও শোনা যায়। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি জরুরি কল পেলেও কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানী অসলোর কাছে একটি বনাঞ্চলে উল্কাপিন্ডের অবশেষ পড়েছে। বিশেষজ্ঞ একটি দল সেখানে অনুসন্ধান শুরু করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মহাকাশে ভেসে বেড়ানো পাথর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে দ্রুত গতিতে প্রবেশের পর জ্বলে ওঠে। এটিকেই উল্কা বলা হয়ে থাকে। আর এর অবশেষ পৃথিবীর মাটিতে পড়লে তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়ে থাকে। নরওয়ের উল্কা নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় একটার দিকে অন্তত পাঁচ সেকেন্ড ধরে বায়ুমন্ডলে উল্কা জ্বলতে দেখা যায়।

প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৬.৩ কিলোমিটার গতিতে ছুটে আসা উল্কাটিকে নরওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ জুড়েই দেখা যায়। দেশটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেগার্ড রেকা জানিয়েছেন ওই সময়ে তার স্ত্রী জেগে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের আগে বাতাসে কিছু একটা কাঙপতে দেখেন তার স্ত্রী। নরওয়ে বা পৃথিবীর যেকোনও স্থানে দেখা যাওয়া চমৎকার এক ঘটনা বলে এটিকে বর্ণনা করেন তিনি।

উল্কাপিন্ডটি যে এলাকায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে একদল বিশেষজ্ঞ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে মহাকাশের এই পাথরটি ফিনেমারকা নামের একটি বনাঞ্চলে পড়েছে। রাজধানী অসলো থেকে স্থানটির দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেগার্ড রেকা জানিয়েছেন, ক্যাম্পিংয়ে থাকা একটি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের প্রায় মাথার উপরে বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে উল্কাপিন্ডটির ওজন প্রায় দশ কেজি। এটা খুব বেশি বড় না হলেও বহু মানুষ এটি দেখতে পাওয়ার ঘটনা বেশ বিরল।

উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার ঘটনা বেশ বিরল। তবে এর একটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করতে পারে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার উরাল পার্বত্য এলাকায় একটি উল্কাপিন্ড পড়লে প্রায় ১ হাজার ছয়শ’ মানুষ আহত হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

উল্কার ঝলকে আলোকিত নরওয়ে!

আপডেট সময় : ১২:১০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : রাতের আকাশে উজ্জ্বল এক উল্কা ভস্ম হয়ে যাওয়া দেখে হতবাক হয়ে পড়েছে নরওয়ের বাসিন্দারা। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় শক্তিশালী আলোর ঝলকানি দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রবিবার এই ঝলকানির সঙ্গে সঙ্গে একটি জোরালো শব্দও শোনা যায়। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি জরুরি কল পেলেও কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানী অসলোর কাছে একটি বনাঞ্চলে উল্কাপিন্ডের অবশেষ পড়েছে। বিশেষজ্ঞ একটি দল সেখানে অনুসন্ধান শুরু করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মহাকাশে ভেসে বেড়ানো পাথর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে দ্রুত গতিতে প্রবেশের পর জ্বলে ওঠে। এটিকেই উল্কা বলা হয়ে থাকে। আর এর অবশেষ পৃথিবীর মাটিতে পড়লে তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়ে থাকে। নরওয়ের উল্কা নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় একটার দিকে অন্তত পাঁচ সেকেন্ড ধরে বায়ুমন্ডলে উল্কা জ্বলতে দেখা যায়।

প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৬.৩ কিলোমিটার গতিতে ছুটে আসা উল্কাটিকে নরওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ জুড়েই দেখা যায়। দেশটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেগার্ড রেকা জানিয়েছেন ওই সময়ে তার স্ত্রী জেগে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের আগে বাতাসে কিছু একটা কাঙপতে দেখেন তার স্ত্রী। নরওয়ে বা পৃথিবীর যেকোনও স্থানে দেখা যাওয়া চমৎকার এক ঘটনা বলে এটিকে বর্ণনা করেন তিনি।

উল্কাপিন্ডটি যে এলাকায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে একদল বিশেষজ্ঞ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে মহাকাশের এই পাথরটি ফিনেমারকা নামের একটি বনাঞ্চলে পড়েছে। রাজধানী অসলো থেকে স্থানটির দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেগার্ড রেকা জানিয়েছেন, ক্যাম্পিংয়ে থাকা একটি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের প্রায় মাথার উপরে বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে উল্কাপিন্ডটির ওজন প্রায় দশ কেজি। এটা খুব বেশি বড় না হলেও বহু মানুষ এটি দেখতে পাওয়ার ঘটনা বেশ বিরল।

উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার ঘটনা বেশ বিরল। তবে এর একটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করতে পারে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার উরাল পার্বত্য এলাকায় একটি উল্কাপিন্ড পড়লে প্রায় ১ হাজার ছয়শ’ মানুষ আহত হয়।