ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

রাজধানীর সবাই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে

  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগরের ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। রাজধানীর সবাই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে দেশে চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রি-মনসুন সার্ভের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে জরিপের ফল উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, এডিস মশা খুবই স্বল্প জায়গায় লার্ভা ছড়াচ্ছে। যেমন- পার্কিংয়ে কিংবা গেটের নিচে সামান্য জায়গায় জমে থাকা পানিতে অনেক বেশি ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪০টি ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণ সিটির ৫৮টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়িতে সার্ভে (জরিপ) করেছি, এর মধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম, রাস্তাঘাট উঁচু হওয়ায়, অব্যবহৃত নিচতলায়, ভবনের পার্কিংয়ে জমে থাকা পানির কারণে এসব বহুতল ভবনে পাওয়া যাচ্ছে লার্ভা। অনুষ্ঠান থেকে আরও জানানো হয়, ঢাকা মহানগরের সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সবার সচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা।
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৭৮
এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮ জন ডেঙ্গুরোগী। এরমধ্যে ঢাকাতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা হলো এক হাজার ৬৬৯ জন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮ জন। এদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪২৯ জন ও ঢাকার বাইরের ২৪৯ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নয় হাজার ৮৭১ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাত হাজার ৮৪ জন। আর ঢাকার বাইরের অন্য বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৭৮৭ জন। অন্যদিকে, এসময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন আট হাজার ১৪১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা পাঁচ হাজার ৯৩৬ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ২০৫ জন। আর এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন ৬১ জন। বিদায়ী বছরে (২০২২ সালে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরেই ডেঙ্গু ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ এ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ ওয়ার্ডে এডিস নিধন অভিযানে ডিএসসিসি
এডিস মশার ওপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষাপূর্ব সার্ভের প্রাথমিক খসড়া রিপোর্ট অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে মশা নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বলধা গার্ডেন থেকে তিন দিনব্যাপী এই চিরুণী অভিযান শুরু হয়। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ২১ টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি আরও চারটি ওয়ার্ড যুক্ত করে মোট ২৫ টি ওয়ার্ডে ৪ থেকে ৬ জুলাই এই অভিযান চলবে। ওয়ার্ডগুলো হলো ২, ৩, ৪, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩০, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪ ৪৫ ৪৯, ৫০ এবং সিটি করপোরেশন ঘোষিত ৫২, ৫৩, ৫৪, ৬২ নম্বর ওয়ার্ড। মশা নিধন কর্মসূচিতে প্রতিদিন সকালে ১৩ জন এবং বিকেলে ১৩ জন মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম চালাবেন। পাশাপাশি এডিস মশার প্রজননস্থলগুলোতেও বিশেষ কার্যক্রম চলবে। অভিযান চলাকালে ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই সচেতনতা কার্যক্রমের সমন্বয় করবেন ২৫ ওয়ার্ডের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ। মশা নিধন অভিযান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারওয়ার হাসান আলো উপস্থিত ছিলেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীর সবাই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগরের ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। রাজধানীর সবাই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে দেশে চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রি-মনসুন সার্ভের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে জরিপের ফল উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, এডিস মশা খুবই স্বল্প জায়গায় লার্ভা ছড়াচ্ছে। যেমন- পার্কিংয়ে কিংবা গেটের নিচে সামান্য জায়গায় জমে থাকা পানিতে অনেক বেশি ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪০টি ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণ সিটির ৫৮টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়িতে সার্ভে (জরিপ) করেছি, এর মধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম, রাস্তাঘাট উঁচু হওয়ায়, অব্যবহৃত নিচতলায়, ভবনের পার্কিংয়ে জমে থাকা পানির কারণে এসব বহুতল ভবনে পাওয়া যাচ্ছে লার্ভা। অনুষ্ঠান থেকে আরও জানানো হয়, ঢাকা মহানগরের সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সবার সচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা।
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৭৮
এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮ জন ডেঙ্গুরোগী। এরমধ্যে ঢাকাতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা হলো এক হাজার ৬৬৯ জন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮ জন। এদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪২৯ জন ও ঢাকার বাইরের ২৪৯ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নয় হাজার ৮৭১ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাত হাজার ৮৪ জন। আর ঢাকার বাইরের অন্য বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৭৮৭ জন। অন্যদিকে, এসময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন আট হাজার ১৪১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা পাঁচ হাজার ৯৩৬ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ২০৫ জন। আর এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন ৬১ জন। বিদায়ী বছরে (২০২২ সালে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরেই ডেঙ্গু ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ এ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ ওয়ার্ডে এডিস নিধন অভিযানে ডিএসসিসি
এডিস মশার ওপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষাপূর্ব সার্ভের প্রাথমিক খসড়া রিপোর্ট অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে মশা নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বলধা গার্ডেন থেকে তিন দিনব্যাপী এই চিরুণী অভিযান শুরু হয়। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ২১ টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি আরও চারটি ওয়ার্ড যুক্ত করে মোট ২৫ টি ওয়ার্ডে ৪ থেকে ৬ জুলাই এই অভিযান চলবে। ওয়ার্ডগুলো হলো ২, ৩, ৪, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩০, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪ ৪৫ ৪৯, ৫০ এবং সিটি করপোরেশন ঘোষিত ৫২, ৫৩, ৫৪, ৬২ নম্বর ওয়ার্ড। মশা নিধন কর্মসূচিতে প্রতিদিন সকালে ১৩ জন এবং বিকেলে ১৩ জন মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম চালাবেন। পাশাপাশি এডিস মশার প্রজননস্থলগুলোতেও বিশেষ কার্যক্রম চলবে। অভিযান চলাকালে ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই সচেতনতা কার্যক্রমের সমন্বয় করবেন ২৫ ওয়ার্ডের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ। মশা নিধন অভিযান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারওয়ার হাসান আলো উপস্থিত ছিলেন।