ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ২৪২ শিক্ষক

  • আপডেট সময় : ১০:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৭৬ জন গবেষক। অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‌্যাংকিং-২০২৩’ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৪২ জন গবেষকের নাম এসেছে। আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং সংস্থা ‘আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৮টি দেশের ২১ হাজার ৯১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান। র‌্যাংকিং তালিকার ‘এইচ’ ইনডেক্স সূত্রে, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০তম, আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে ১ হাজার ৩৪৮তম এবং বিশ্বে ৪ হাজার ২৯৮তম। এ বছরের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার। তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে রাবির সর্বোচ্চ র‌্যাংকে স্থান পেয়েছেন।
তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে রাবির সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন অধ্যাপক এম. ইয়ামিন হোসাইন (ফিশারিজ বিভাগ), অধ্যাপক আকমা ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম. আশিক মোসাদ্দিক (ফার্মেসি বিভাগ), অধ্যাপক এ.এইচ.এম. মাহবুবুর রহমান (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক আবু ড. মো. খালেদ হোসাইন (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমাদ হুমায়ুন কবীর (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম. আহসান হাবিব (অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. মো. আবু রেজা (জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ)। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো মানের গবেষক আছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের গুগল স্কোলারে অ্যাকাউন্ট নাই। ফলে গবেষক হিসেবে এই তালিকায় তাদের নাম স্থান পায়নি। যাদের গুগল স্কোলারে অ্যাকাউন্ট আছে এবং গবেষণা করে যাচ্ছেন তারা প্রতিবছরই র‌্যাংক করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে এই সংখ্যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় অনেক গবেষককে গবেষণা কাজে ঢাকায় যেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজে যেসব যন্ত্রপাতি আছে সেগুলোও পর্যাপ্ত ব্যবহার হচ্ছে না। আমি মনে করি, এ বিষয়ে শিক্ষকদের আরো বেশি আগ্রহী হওয়া প্রয়োজন। আমি আশা করি, সকল সংকট কাটিয়ে আগামীতে রাবির গবেষকরাও ভালো করবে। ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‌্যাংকিং-২০২৩ সূত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩২ জন গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭ জন গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন গবেষক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪ জন গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৪ জন গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯৫ জন গবেষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ জন গবেষক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৪ জন গবেষক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৭ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর তালিকায়।
সংস্থার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকরিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। তা ছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ২৪২ শিক্ষক

আপডেট সময় : ১০:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৭৬ জন গবেষক। অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‌্যাংকিং-২০২৩’ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৪২ জন গবেষকের নাম এসেছে। আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং সংস্থা ‘আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৮টি দেশের ২১ হাজার ৯১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান। র‌্যাংকিং তালিকার ‘এইচ’ ইনডেক্স সূত্রে, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০তম, আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে ১ হাজার ৩৪৮তম এবং বিশ্বে ৪ হাজার ২৯৮তম। এ বছরের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার। তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে রাবির সর্বোচ্চ র‌্যাংকে স্থান পেয়েছেন।
তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে রাবির সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন অধ্যাপক এম. ইয়ামিন হোসাইন (ফিশারিজ বিভাগ), অধ্যাপক আকমা ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম. আশিক মোসাদ্দিক (ফার্মেসি বিভাগ), অধ্যাপক এ.এইচ.এম. মাহবুবুর রহমান (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক আবু ড. মো. খালেদ হোসাইন (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমাদ হুমায়ুন কবীর (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম. আহসান হাবিব (অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. মো. আবু রেজা (জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ)। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো মানের গবেষক আছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের গুগল স্কোলারে অ্যাকাউন্ট নাই। ফলে গবেষক হিসেবে এই তালিকায় তাদের নাম স্থান পায়নি। যাদের গুগল স্কোলারে অ্যাকাউন্ট আছে এবং গবেষণা করে যাচ্ছেন তারা প্রতিবছরই র‌্যাংক করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে এই সংখ্যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় অনেক গবেষককে গবেষণা কাজে ঢাকায় যেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজে যেসব যন্ত্রপাতি আছে সেগুলোও পর্যাপ্ত ব্যবহার হচ্ছে না। আমি মনে করি, এ বিষয়ে শিক্ষকদের আরো বেশি আগ্রহী হওয়া প্রয়োজন। আমি আশা করি, সকল সংকট কাটিয়ে আগামীতে রাবির গবেষকরাও ভালো করবে। ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‌্যাংকিং-২০২৩ সূত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩২ জন গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭ জন গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন গবেষক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪ জন গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৪ জন গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯৫ জন গবেষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ জন গবেষক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৪ জন গবেষক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৭ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর তালিকায়।
সংস্থার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকরিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। তা ছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।