নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা আবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৭৪ জন। উল্লিখিত সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ২৯১ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জন।
গতকাল রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮৪ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা নয় লাখ ৯৮ হাজার ৯২৩। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৫৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩০.০৪। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মারা যাওয়া ২২৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৯ জন, খুলনা বিভাগের ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, বরিশাল বিভাগের ছয়জন, সিলেট বিভাগের ১১ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১২৫ জন আর নারী ১০৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১৩ হাজার ১৯৯ জন আর নারী মারা গেলেন ছয় হাজার ৭৫ জন। মারা যাওয়া ২২৮ জনের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আটজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
মৃত্যু ও সংক্রমণে এগিয়ে ঢাকা : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও সংক্রমণজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে জেলাভিত্তিক হিসাবে ঢাকা এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোববার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান। জেলাভিত্তিক শনাক্তের হিসাবে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে, ইতোমধ্যে ঢাকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপরে আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর এবং সবচেয়ে কম রোগী রাজশাহীতে।’ জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণ ছাড়াও বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হারেও ঢাকা বিভাগ সর্বোচ্চ। এরপরের অবস্থান খুলনা বিভাগের।
এদিকে, গত সাত দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে এবং সে অনুযায়ী পরীক্ষাও কম হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ কারণে মোট রোগীর সংখ্যা কমেছে।’ কিন্তু তাতে সংক্রমণের হার কমেনি বলেন অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শতকরা হিসাবে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামেনি। বরং ২৪ জুলাই ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে।’ অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, ২৯তম এপিডেমিক সপ্তাহে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দুই লাখ দুই হাজার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় পরীক্ষার হার ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। ঈদের বন্ধে এই সংখ্যা কমতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।’
মৃত্যু ও সংক্রমণে এগিয়ে ঢাকা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ