ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ল্যাবে তৈরি ‘মুরগির মাংস’ মিলছে স্যান ফ্রান্সিসকোর রেস্তোরাঁয়

  • আপডেট সময় : ১২:২০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : এবার প্রাণীকোষ থেকে পরীক্ষাগারে তৈরি ‘মুরগির মাংস’ মিলবে স্যান ফ্রান্সিসকোর এক রেস্তোরাঁয়। গত শনিবার থেকে ‘বার ক্রেনে’র মেনুতে থাকবে কৃত্রিম মুরগির মাংসের জাপানি পদ ‘টেম্পুরা’, সঙ্গে থাকবে ঝলসানো চিলি আইওলি আর পরিবেশন করা হবে সবজি ও আহারযোগ্য ফুল দিয়ে -বলেছে সিএনএন-এর প্রতিবেদন।
দেড় সপ্তাহ আগে ‘আপসাইড ফুডস’ এবং ‘গুড মিট’ নামের দুটি ব্র্যান্ডকে তাদের কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মুরগির মাংস বিক্রির অনুমোদন দেয় মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রাণীকোষের সঙ্গে অ্যামিনো অ্যাসিডসহ অন্যান্য রাসায়নিক পুষ্টি উপাদান মিলিয়ে পরীক্ষাগারে এই মাংস উৎপাদন করা হয়। এ কারখানাগুলো দেখতে অনেকটা বড় চোলাইখানার মতো। বাণিজ্যিক ব্যাবহারের জন্য খামারে ব্যাপক আকারে গবাদি পশুপালনে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর এ কারণে ২০১৮ সালে শেফ ডমিনিক ক্রেন রেস্তোরাঁটির খাবার তালিকা থেকে সব ধরনের প্রাণিজ আমিষের পদ সরিয়ে দেন। এখন তাদের ওয়েবসাইট বলছে, কৃত্রিমভাবে তৈরি ‘চিকেন’ বেচতে তাদের কোনো আপত্ত্বি নেই।
আর এর জন্য প্রচারণার অংশ হিসাবে আপসাইড ফুডস একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। বিজয়ীরা এই সপ্তাহের শেষে পরীক্ষাগারে তৈরি মুরগী চেখে দেখতে পারবেন। অবশ্য, তাদের প্রত্যেককে নামকাওয়াস্তে এক ডলার মুল্য পরিশোধ করতে হবে। সেইসঙ্গে বিজয়ীরা আপসাইড ফুডসের কারিগরি, উৎপাদন ও কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। শনিবারের পর থেকে বার ক্রেন-এ কৃত্রিম মুরগির মাংস পাওয়া যাবে, তবে পেতে হবে বিশেষ ব্যবস্থায়। আপসাইড ফুডস বলেছে এ বছরের শেষ নাগাদ প্রতি মাসে এক বার ডিনারে থাকবে তাদের পণ্য। যারা সেগুলোর স্বাদ নিতে চান তাদের আগে থেকেই নাম লেখাতে হবে বার ক্রেন ওয়েবসাইটে।
গুডমিটও তাদের পণ্য দ্রুত বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছে, যদিও দিনতারিখ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি কোম্পানিটি। ভেতরের খবর হচ্ছে – ওয়াশিংটন ডিসিতে শেফ ও মালিক হোসে আন্দ্রেজের রেস্তোরাঁ ‘চায়না চিলকানো’তে তারা নতুন এই মাংস সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে, নবাগত এই কৃত্রিম মাংস শিল্প মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয় (ইউএসডিএ) এবং খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) একগুচ্ছ অনুমোদনের ধাপ পেরোনোর পর খাবার হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। গত নভেম্বরে আপসাইড ডাউনকে ‘অনাপত্তি পত্রে’ এফডিএ বলেছে কোম্পানিটির পণ্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই এবং সেগুলো আহারের জন্য নিরাপদ। গুড মিট তাদের ছাড়পত্র পায় গত মার্চে। গত মাসে কোম্পানির দুটি পণ্যকে অনুমোদন দিয়ে মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, লেভেলে অবশ্যই “কোষ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত” কথাটি লেখা থাকতে হবে।
গত মাসে কোম্পানি দুটোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএসডিএ’র খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিদর্শন বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এ অনুমোদন দেয়। এই ধরনের পরিদর্শনে কঠোর যাচাই-বাছায়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়” – বলেছেন এফএসআইএস এর একজন মুখপাত্র। এই অনুমোদনের মানে হচ্ছে, কোম্পানি দুটোর জন্য তাদের পণ্য বিপণনে আর কোনো বাধা থাকছে না। কোষ-প্রযুক্তিতে সৃষ্ট মাংস যেহেতু প্রাণীকোষ থেকে উৎপাদিত তাই সেগুলোকে ‘নিরামিষ’ বলছে না আপসাইড ফুড কিংবা গুড মিট। তাদের আশা, নৈতিক, ধর্মীয় বা পরিবেশ ও প্রাণী হত্যায় সংবেদনশীলতার কারণে যারা নিরামিষভোজী, এই পণ্যগুলো তাদের আকৃষ্ট করতে পারে। কোম্পানি দুটোই তাদের পণ্যে “জবাই মুক্ত” লেবেল সাঁটিয়েছে। বড় আকারে কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনে পচলিত পদ্ধতির তুলনায় জমি ও পানির ব্যবহার কমবে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে জোর

ল্যাবে তৈরি ‘মুরগির মাংস’ মিলছে স্যান ফ্রান্সিসকোর রেস্তোরাঁয়

আপডেট সময় : ১২:২০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : এবার প্রাণীকোষ থেকে পরীক্ষাগারে তৈরি ‘মুরগির মাংস’ মিলবে স্যান ফ্রান্সিসকোর এক রেস্তোরাঁয়। গত শনিবার থেকে ‘বার ক্রেনে’র মেনুতে থাকবে কৃত্রিম মুরগির মাংসের জাপানি পদ ‘টেম্পুরা’, সঙ্গে থাকবে ঝলসানো চিলি আইওলি আর পরিবেশন করা হবে সবজি ও আহারযোগ্য ফুল দিয়ে -বলেছে সিএনএন-এর প্রতিবেদন।
দেড় সপ্তাহ আগে ‘আপসাইড ফুডস’ এবং ‘গুড মিট’ নামের দুটি ব্র্যান্ডকে তাদের কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মুরগির মাংস বিক্রির অনুমোদন দেয় মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রাণীকোষের সঙ্গে অ্যামিনো অ্যাসিডসহ অন্যান্য রাসায়নিক পুষ্টি উপাদান মিলিয়ে পরীক্ষাগারে এই মাংস উৎপাদন করা হয়। এ কারখানাগুলো দেখতে অনেকটা বড় চোলাইখানার মতো। বাণিজ্যিক ব্যাবহারের জন্য খামারে ব্যাপক আকারে গবাদি পশুপালনে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর এ কারণে ২০১৮ সালে শেফ ডমিনিক ক্রেন রেস্তোরাঁটির খাবার তালিকা থেকে সব ধরনের প্রাণিজ আমিষের পদ সরিয়ে দেন। এখন তাদের ওয়েবসাইট বলছে, কৃত্রিমভাবে তৈরি ‘চিকেন’ বেচতে তাদের কোনো আপত্ত্বি নেই।
আর এর জন্য প্রচারণার অংশ হিসাবে আপসাইড ফুডস একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। বিজয়ীরা এই সপ্তাহের শেষে পরীক্ষাগারে তৈরি মুরগী চেখে দেখতে পারবেন। অবশ্য, তাদের প্রত্যেককে নামকাওয়াস্তে এক ডলার মুল্য পরিশোধ করতে হবে। সেইসঙ্গে বিজয়ীরা আপসাইড ফুডসের কারিগরি, উৎপাদন ও কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। শনিবারের পর থেকে বার ক্রেন-এ কৃত্রিম মুরগির মাংস পাওয়া যাবে, তবে পেতে হবে বিশেষ ব্যবস্থায়। আপসাইড ফুডস বলেছে এ বছরের শেষ নাগাদ প্রতি মাসে এক বার ডিনারে থাকবে তাদের পণ্য। যারা সেগুলোর স্বাদ নিতে চান তাদের আগে থেকেই নাম লেখাতে হবে বার ক্রেন ওয়েবসাইটে।
গুডমিটও তাদের পণ্য দ্রুত বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছে, যদিও দিনতারিখ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি কোম্পানিটি। ভেতরের খবর হচ্ছে – ওয়াশিংটন ডিসিতে শেফ ও মালিক হোসে আন্দ্রেজের রেস্তোরাঁ ‘চায়না চিলকানো’তে তারা নতুন এই মাংস সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে, নবাগত এই কৃত্রিম মাংস শিল্প মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয় (ইউএসডিএ) এবং খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) একগুচ্ছ অনুমোদনের ধাপ পেরোনোর পর খাবার হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। গত নভেম্বরে আপসাইড ডাউনকে ‘অনাপত্তি পত্রে’ এফডিএ বলেছে কোম্পানিটির পণ্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই এবং সেগুলো আহারের জন্য নিরাপদ। গুড মিট তাদের ছাড়পত্র পায় গত মার্চে। গত মাসে কোম্পানির দুটি পণ্যকে অনুমোদন দিয়ে মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, লেভেলে অবশ্যই “কোষ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত” কথাটি লেখা থাকতে হবে।
গত মাসে কোম্পানি দুটোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএসডিএ’র খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিদর্শন বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এ অনুমোদন দেয়। এই ধরনের পরিদর্শনে কঠোর যাচাই-বাছায়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়” – বলেছেন এফএসআইএস এর একজন মুখপাত্র। এই অনুমোদনের মানে হচ্ছে, কোম্পানি দুটোর জন্য তাদের পণ্য বিপণনে আর কোনো বাধা থাকছে না। কোষ-প্রযুক্তিতে সৃষ্ট মাংস যেহেতু প্রাণীকোষ থেকে উৎপাদিত তাই সেগুলোকে ‘নিরামিষ’ বলছে না আপসাইড ফুড কিংবা গুড মিট। তাদের আশা, নৈতিক, ধর্মীয় বা পরিবেশ ও প্রাণী হত্যায় সংবেদনশীলতার কারণে যারা নিরামিষভোজী, এই পণ্যগুলো তাদের আকৃষ্ট করতে পারে। কোম্পানি দুটোই তাদের পণ্যে “জবাই মুক্ত” লেবেল সাঁটিয়েছে। বড় আকারে কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনে পচলিত পদ্ধতির তুলনায় জমি ও পানির ব্যবহার কমবে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।