ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

জীবিকার টানে ঢাকা ফিরছে মানুষ

  • আপডেট সময় : ১০:২৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ খুলেছে অফিস-আদালত। তাই জীবিকার টানে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তবে ট্রেনে বাড়িফেরা যাত্রীদের চাপ এখনো কম। অন্যদিকে ঈদের তিন দিন অতিবাহিত হলেও ঢাকা ছাড়ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। গতকাল রোববার (২ জুলাই) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। খুলনায় ঈদ উদযাপন করে স্ত্রী-সন্তানসহ সকালে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকা ফিরেছেন তরিকুল ইসলাম। তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। তরিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি গত শনিবার শেষ হয়েছে। আজ থেকে অফিস করতে হবে। তাই সকাল সকাল ঢাকায় আসা। ছুটি কম হলেও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছি, এতেই আনন্দ। তিনি জানান, ট্রেন যথাসময়ে ছেড়েছে এবং ঢাকায় এসেছে। ফিরতে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন মৌসুমী ইসলাম। সকালে তিনি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। মৌসুমী ইসলাম বলেন, বাবা-মা, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকায় চলে এসেছি। আজ থেকে অফিস করতে হবে। বাড়ি ছেড়ে আসতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু করার তো কিছু নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে সকালে ঢাকায় এসেছেন মধ্যবয়সী আতোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আজ অফিস-আদালত খুলেছে। কোর্ট-কাচারিতে কাজ আছে, তাই ঢাকা এসেছি। এছাড়া সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঢাকা ছাড়তে ও ঢাকা ছাড়ার টিকিট কাটতে দেখা গেছে। স্ত্রী-সন্তানসহ নাটোর যেতে টিকিট কেটেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদে ছুটি পাইনি। এখন ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। ঢাকার বংশালে জুতা কারখানায় কাজ করেন একরামুল হক। তিনি আজ গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় যাচ্ছেন। একরামুল বলেন, ঈদের সময় কাজের অনেক চাপ ছিল। এ কারণে মালিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারীকে ছুটি দেয়নি। এখন কাজের চাপ নেই। ছুটি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছি। যানজটের ভয়ে ঈদে বাড়ি যাননি রংপুরের আলামিন শেখ। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আলামিন শেখ বলেন, ঈদের সময় তো রংপুরে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট পাইনি। বাসের ভাড়া অনেক বেশি ছিল। তাছাড়া যানজটের ভয় তো ছিলই। এ কারণে ঈদে বাড়ি যাইনি। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছি। মানুষ ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে। তবে যত মানুষ ঢাকা ফিরছে, তার চেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়তে দেখছি। রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, ঈদ পালন শেষে যাত্রীরা যেন নিরাপদে নিশ্চিন্তে ঢাকায় ফিরতে পারে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়া হয়েছে। ৫২ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া বিশেষ ট্রেন রয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জীবিকার টানে ঢাকা ফিরছে মানুষ

আপডেট সময় : ১০:২৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

মহানগর প্রতিবেদন : পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ খুলেছে অফিস-আদালত। তাই জীবিকার টানে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তবে ট্রেনে বাড়িফেরা যাত্রীদের চাপ এখনো কম। অন্যদিকে ঈদের তিন দিন অতিবাহিত হলেও ঢাকা ছাড়ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। গতকাল রোববার (২ জুলাই) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। খুলনায় ঈদ উদযাপন করে স্ত্রী-সন্তানসহ সকালে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকা ফিরেছেন তরিকুল ইসলাম। তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। তরিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি গত শনিবার শেষ হয়েছে। আজ থেকে অফিস করতে হবে। তাই সকাল সকাল ঢাকায় আসা। ছুটি কম হলেও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছি, এতেই আনন্দ। তিনি জানান, ট্রেন যথাসময়ে ছেড়েছে এবং ঢাকায় এসেছে। ফিরতে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন মৌসুমী ইসলাম। সকালে তিনি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। মৌসুমী ইসলাম বলেন, বাবা-মা, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকায় চলে এসেছি। আজ থেকে অফিস করতে হবে। বাড়ি ছেড়ে আসতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু করার তো কিছু নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে সকালে ঢাকায় এসেছেন মধ্যবয়সী আতোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আজ অফিস-আদালত খুলেছে। কোর্ট-কাচারিতে কাজ আছে, তাই ঢাকা এসেছি। এছাড়া সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঢাকা ছাড়তে ও ঢাকা ছাড়ার টিকিট কাটতে দেখা গেছে। স্ত্রী-সন্তানসহ নাটোর যেতে টিকিট কেটেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদে ছুটি পাইনি। এখন ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। ঢাকার বংশালে জুতা কারখানায় কাজ করেন একরামুল হক। তিনি আজ গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় যাচ্ছেন। একরামুল বলেন, ঈদের সময় কাজের অনেক চাপ ছিল। এ কারণে মালিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারীকে ছুটি দেয়নি। এখন কাজের চাপ নেই। ছুটি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছি। যানজটের ভয়ে ঈদে বাড়ি যাননি রংপুরের আলামিন শেখ। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আলামিন শেখ বলেন, ঈদের সময় তো রংপুরে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট পাইনি। বাসের ভাড়া অনেক বেশি ছিল। তাছাড়া যানজটের ভয় তো ছিলই। এ কারণে ঈদে বাড়ি যাইনি। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছি। মানুষ ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে। তবে যত মানুষ ঢাকা ফিরছে, তার চেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়তে দেখছি। রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, ঈদ পালন শেষে যাত্রীরা যেন নিরাপদে নিশ্চিন্তে ঢাকায় ফিরতে পারে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়া হয়েছে। ৫২ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া বিশেষ ট্রেন রয়েছে।