ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

  • আপডেট সময় : ১০:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: সৌরশক্তি ব্যবহার করে খাদ্য বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও সার উৎপাদন প্রকল্পের নকশা বানিয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)- এর তিন শিক্ষার্থী। গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, গত ১৫ জুন যুক্তরাজ্যের ‘এফিশিয়েন্সি ফর অ্যাক্সেস ডিজাইন চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতায় তারা এই পুরস্কার পান। স্বর্ণজয়ী সিয়াম ইবনে মাসুদ, ইয়াজাজ আহামাদ ও তারিকুল ইসলাম সৈকত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বিভাগের অধ্যাপক ও গ্রিন এনার্জি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড. খসরু মোহাম্মদ সেলিমের তত্ত্বাবধানে তারা সৌরশক্তি চালিত স্বয়ংক্রিয় অ্যানারোবিক ডাইজেশন সিস্টেম ব্যবহার করে খাদ্য বর্জ্য থেকে রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস এবং কৃষিতে ব্যবহৃত সার উৎপাদন প্রকল্পটির নকশা করেছেন। তাদের সঙ্গে উগান্ডার ম্যাককেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রেসকোভিয়া আমভিকো আডরাবো ও মার্ক মুটেংগাও স্বর্ণপদক জিতেন। এ বিষয়ে দলনেতা সিয়াম বলেন, মাত্র ৮৫ ওয়াটের একটি সৌর প্যানেল ব্যবহার করেই তাদের তৈরি যন্ত্রটি চালানো যায়। ফলে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস কম খরচে উৎপাদন করা যাবে। গ্রাম অঞ্চলেও জ্বালানির জন্য গাছ কাটার পরিমাণ কমবে এবং কৃষকরা বিপদজনক রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবসার ব্যবহারে উৎসাহিত হবে। এর আগে ২০২২ সালে সৌরশক্তি চালিত খাদ্য হিমাগারের নকশা করে এই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছিল আইইউবির একই বিভাগের সাদিক আবদাল এবং তাশফিয়াহ তাহসিন। ওই সময় তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন- এর আলী আহমেদ এবং নূর বেন গাইয়েদ ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, “এটা আমাদের জন্য বিশেষ গর্বের মুহূর্ত। এরকম একটি বড় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পরপর দুবার স্বর্ণপদক জেতা দারুণ অর্জন। আইইউবির একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল সকল শিক্ষার্থীকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তোলা। “নবায়নযোগ্য জ্বালানির এই নতুন ব্যবহার আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা পরিবেশের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতার শতভাগ প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।” এবছর চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এতে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন যান্ত্রিক উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করেন। এ বছর বাংলাদেশসহ কেনিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, সুইডেন, উগান্ডা, যুক্তরাজ্য এবং জিম্বাবুয়ের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি দল এতে অংশ নেয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আপডেট সময় : ১০:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: সৌরশক্তি ব্যবহার করে খাদ্য বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও সার উৎপাদন প্রকল্পের নকশা বানিয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)- এর তিন শিক্ষার্থী। গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, গত ১৫ জুন যুক্তরাজ্যের ‘এফিশিয়েন্সি ফর অ্যাক্সেস ডিজাইন চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতায় তারা এই পুরস্কার পান। স্বর্ণজয়ী সিয়াম ইবনে মাসুদ, ইয়াজাজ আহামাদ ও তারিকুল ইসলাম সৈকত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বিভাগের অধ্যাপক ও গ্রিন এনার্জি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড. খসরু মোহাম্মদ সেলিমের তত্ত্বাবধানে তারা সৌরশক্তি চালিত স্বয়ংক্রিয় অ্যানারোবিক ডাইজেশন সিস্টেম ব্যবহার করে খাদ্য বর্জ্য থেকে রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস এবং কৃষিতে ব্যবহৃত সার উৎপাদন প্রকল্পটির নকশা করেছেন। তাদের সঙ্গে উগান্ডার ম্যাককেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রেসকোভিয়া আমভিকো আডরাবো ও মার্ক মুটেংগাও স্বর্ণপদক জিতেন। এ বিষয়ে দলনেতা সিয়াম বলেন, মাত্র ৮৫ ওয়াটের একটি সৌর প্যানেল ব্যবহার করেই তাদের তৈরি যন্ত্রটি চালানো যায়। ফলে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস কম খরচে উৎপাদন করা যাবে। গ্রাম অঞ্চলেও জ্বালানির জন্য গাছ কাটার পরিমাণ কমবে এবং কৃষকরা বিপদজনক রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবসার ব্যবহারে উৎসাহিত হবে। এর আগে ২০২২ সালে সৌরশক্তি চালিত খাদ্য হিমাগারের নকশা করে এই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছিল আইইউবির একই বিভাগের সাদিক আবদাল এবং তাশফিয়াহ তাহসিন। ওই সময় তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন- এর আলী আহমেদ এবং নূর বেন গাইয়েদ ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, “এটা আমাদের জন্য বিশেষ গর্বের মুহূর্ত। এরকম একটি বড় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পরপর দুবার স্বর্ণপদক জেতা দারুণ অর্জন। আইইউবির একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল সকল শিক্ষার্থীকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তোলা। “নবায়নযোগ্য জ্বালানির এই নতুন ব্যবহার আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা পরিবেশের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতার শতভাগ প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।” এবছর চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এতে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন যান্ত্রিক উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করেন। এ বছর বাংলাদেশসহ কেনিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, সুইডেন, উগান্ডা, যুক্তরাজ্য এবং জিম্বাবুয়ের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি দল এতে অংশ নেয়।