ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বাঁশখালীতে নিহত ৭ শ্রমিকের পরিবার পেল ৩৫ লাখ টাকা

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পুলিশের সংঘর্ষে নিহত সাত জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপ এ টাকা পরিশোধ করেছে।
নিহতদের পরিবারকে টাকা দেয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় জেলা প্রসাশক (ডিসি) ও এসপির নেতৃত্বে গঠন করা দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে সময় আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি জানিয়েছেন। ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত ৪৫ দিন সময় দিয়েছিলেন।
গত ৪ মে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারগুলোকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এর আগে গত ২২ এপ্রিল একটি মানবাধিকার সংগঠন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ রিট দায়ের করেন। পরে ২৭ এপ্রিল একই ঘটনায় আরো ৫টি সংগঠন হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। সংগঠনগুলো হলো, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)। গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাঁশখালীতে নিহত ৭ শ্রমিকের পরিবার পেল ৩৫ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পুলিশের সংঘর্ষে নিহত সাত জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপ এ টাকা পরিশোধ করেছে।
নিহতদের পরিবারকে টাকা দেয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় জেলা প্রসাশক (ডিসি) ও এসপির নেতৃত্বে গঠন করা দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে সময় আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি জানিয়েছেন। ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত ৪৫ দিন সময় দিয়েছিলেন।
গত ৪ মে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারগুলোকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এর আগে গত ২২ এপ্রিল একটি মানবাধিকার সংগঠন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ রিট দায়ের করেন। পরে ২৭ এপ্রিল একই ঘটনায় আরো ৫টি সংগঠন হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। সংগঠনগুলো হলো, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)। গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।