ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ড্রোন দিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি নামাল আমিরাত

  • আপডেট সময় : ১১:২০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম শুষ্ক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নগণ্য। পাল্লা দিয়ে যেন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রাও। নাজেহাল বাসিন্দাদের রেহাই দিতে এবার ড্রোন ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে মেঘ থেকে বৃষ্টি নামাল এই দেশ। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ে ড্রোন দিয়ে বৃষ্টি আনার এই কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। এই প্রকল্পের অন্যতম গবেষক মার্টেন অ্যামবাউম জানিয়েছিলেন, আরব আমিরাতের উপর যে পরিমাণ মেঘ পুঞ্জীভূত হয়ে থাকে তা থেকে কৃত্রিমভাবে ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কীভাবে বৃষ্টি ঘটায় এই ড্রোন? আরব আমিরাতের বৃষ্টি তৈরির বিজ্ঞান প্রকল্পের কর্মকর্তা আল মাজরউয়ি জানান, ড্রোনে ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্র নিয়ে মেঘের কাছে উড়ে যায় ড্রোন। মেঘের মধ্যে ধনাত্মক এবং ঋণাত্বক দুধরনের আয়নই রয়েছে। এই দুই আয়নের ভারসাম্যের হেরফের ঘটিয়ে ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী যন্ত্রটি মেঘের মধ্যে থাকা জলকণাগুলিকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। জলকণাগুলি মিশে গিয়ে ক্রমে বড় জলকণায় পরিণত হয় এবং ভারী হয়ে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরতে শুরু করে।
২০১৭ সালে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঝরানোর জন্য দেড় কোটি ডলার ধার্য করে আরব আমিরাত। ড্রোন দিয়ে বৃষ্টি নামানোর এই কৌশল ছাড়া আরও ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে একটি হলো বিমান থেকে মেঘের উপর লবণের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারা। এই প্রকল্পের জন্য গরমকাল সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ওই সময় আল-হাজার পর্বতের উপরে মেঘ জমতে শুরু করে। সম্প্রতি ড্রোন ব্যবহার করে বৃষ্টি ঘটানোর পরীক্ষায় সাফল্যও পেয়েছে দেশ। একটি ভিডিওতে বৃষ্টি হওয়ার দৃশ্যও ফুটে উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটি খুঁড়লে তেল মিলছে। অথচ সেখানে পানির জন্য হাহাকার। সেখানে ভূগর্ভস্থ যে পরিমাণ পানি রয়েছে তাতে লভণের পরিমাণ এতটাই বেশি যে বহু পরিশোধনের পর তা পান করার যোগ্য করে তুলতে হয়। পানীয় জল বলতে মূলত সমুদ্রের লবণাক্ত পানিই ভরসা। বড় অঙ্কের টাকা খরচের পর পরিশোধন করে খেতে হয় সেই পানি। কিংবা সুদূর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে জাহাজ দিয়ে টেনে আনতে হয় হিমশৈল। সেই বরফ গলিয়ে তৈরি করে পানীয় জল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

ড্রোন দিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি নামাল আমিরাত

আপডেট সময় : ১১:২০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম শুষ্ক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নগণ্য। পাল্লা দিয়ে যেন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রাও। নাজেহাল বাসিন্দাদের রেহাই দিতে এবার ড্রোন ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে মেঘ থেকে বৃষ্টি নামাল এই দেশ। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ে ড্রোন দিয়ে বৃষ্টি আনার এই কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। এই প্রকল্পের অন্যতম গবেষক মার্টেন অ্যামবাউম জানিয়েছিলেন, আরব আমিরাতের উপর যে পরিমাণ মেঘ পুঞ্জীভূত হয়ে থাকে তা থেকে কৃত্রিমভাবে ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কীভাবে বৃষ্টি ঘটায় এই ড্রোন? আরব আমিরাতের বৃষ্টি তৈরির বিজ্ঞান প্রকল্পের কর্মকর্তা আল মাজরউয়ি জানান, ড্রোনে ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্র নিয়ে মেঘের কাছে উড়ে যায় ড্রোন। মেঘের মধ্যে ধনাত্মক এবং ঋণাত্বক দুধরনের আয়নই রয়েছে। এই দুই আয়নের ভারসাম্যের হেরফের ঘটিয়ে ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী যন্ত্রটি মেঘের মধ্যে থাকা জলকণাগুলিকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। জলকণাগুলি মিশে গিয়ে ক্রমে বড় জলকণায় পরিণত হয় এবং ভারী হয়ে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরতে শুরু করে।
২০১৭ সালে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঝরানোর জন্য দেড় কোটি ডলার ধার্য করে আরব আমিরাত। ড্রোন দিয়ে বৃষ্টি নামানোর এই কৌশল ছাড়া আরও ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে একটি হলো বিমান থেকে মেঘের উপর লবণের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারা। এই প্রকল্পের জন্য গরমকাল সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ওই সময় আল-হাজার পর্বতের উপরে মেঘ জমতে শুরু করে। সম্প্রতি ড্রোন ব্যবহার করে বৃষ্টি ঘটানোর পরীক্ষায় সাফল্যও পেয়েছে দেশ। একটি ভিডিওতে বৃষ্টি হওয়ার দৃশ্যও ফুটে উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটি খুঁড়লে তেল মিলছে। অথচ সেখানে পানির জন্য হাহাকার। সেখানে ভূগর্ভস্থ যে পরিমাণ পানি রয়েছে তাতে লভণের পরিমাণ এতটাই বেশি যে বহু পরিশোধনের পর তা পান করার যোগ্য করে তুলতে হয়। পানীয় জল বলতে মূলত সমুদ্রের লবণাক্ত পানিই ভরসা। বড় অঙ্কের টাকা খরচের পর পরিশোধন করে খেতে হয় সেই পানি। কিংবা সুদূর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে জাহাজ দিয়ে টেনে আনতে হয় হিমশৈল। সেই বরফ গলিয়ে তৈরি করে পানীয় জল।