ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

অধ্যক্ষ, সুপারসহ ২২ মাদ্রাসার ২৯ শিক্ষকের এমপিও জালিয়াতি

  • আপডেট সময় : ০১:২০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : যোগ্যতা না থাকায় তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চতর গ্রেডে এমপিওভুক্ত হয়েছেন দেশের ২২টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, সুপার, সহকারী সুপার, সহকারী মৌলভী ও সহকারী শিক্ষক। বছরের পর বছর বেতন-ভাতা নিয়েছেন তারা। এই ঘটনা জানতে পেরে এই শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। এই শিক্ষককের নেওয়া অতিরিক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, শিক্ষক হিসেবে নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়ার কথা যাদের, তারাই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও অনৈতিকভাবে সরকারি অর্থ গ্রহণ করেছেন, যা লজ্জাজনক। তবে অনেকে বলছেন— এই ঘটনায় শুধু শিক্ষকই নন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও জড়িত।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের জালিয়াতি ধরা পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন বলেন, ‘এসব শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন অনেক আগে, যখন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীনে এমপিওভুক্তির দায়িত্ব ছিল। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর এমপিওভুক্তির ক্ষমতা পেয়েছে ২০২০ সালে। এরপর এমপিও যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। তাছাড়া নতুন এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠান ভুল করেছিল, তাদের এমপিওভুক্তি যাচাই-বাছাই করতে গিয়েও কিছু ভুল পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ২২টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে। নির্ধারিত উচ্চতর স্কেলে নেওয়া অতিরিক্ত বেতন সংশ্লিষ্টদের ফেরত দিতে হবে। অতিরিক্ত অর্থ জমা দিলে বেতন ছাড় করা হবে নির্ধারিত গ্রেডে। ‘
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এমপিওভুক্তির মধ্যে একটি জালিয়াতি চক্র আছে। এমপিও ফাইল উপস্থাপনের আগেই এগুলো দেখার কথা। বর্তমানে অনলাইনে এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারও যদি বেতন-ভাতা বেশি দেওয়া হয় তা ফেরত দিতে হবে। দীর্ঘদিন বেতন নিয়েছেন অথচ তারা সবাই বুঝতে পারেননি তা হতে পারে না। টাকা ফেরত নেওয়ার সরকারি উদ্যোগ যথাযথ। এমপিও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের আগে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দায়িত্ব ছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কাছে। অধিদফতরের ইলেকট্রনিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করা হতো। ২০২১ সাল থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষমতা পায়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রায় সবাই এমপিওভুক্ত হয়েছেন ২০২১ সালের আগে। অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির কারণে এমপিও জালিয়াতি হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ২২টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সুপার, সহকারী সুপার, সহকারী মৌলভী ও সহকারী শিক্ষকরা এমপিও জালিয়াতি করেছেন, যোগ্যতাবিহীন উচ্চতর গ্রেডে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন। তাদের প্রত্যেককে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেতনও বন্ধ রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় সাপেক্ষে এমপিও ছাড় করা হবে।
২৯ শিক্ষকের এমপিও জালিয়াতি: জাল জালিয়াতি করে উচ্চতর পদে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে গত ৪ জুন গাজীপুর সদর উপজেলার কালনি ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী লিয়াত আলীর এমপিও স্থগিত করা হয়। স্থায়ীভাবে এমপিও স্থগিত কেন করা হবে না তা পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরতের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানো নোটিশে।
একই দিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আমিন উদ্দিন আহমেদ দাখিল মাদ্রাসার গণিতের সহকারী শিক্ষক মো. রায়হানুল হক, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মতিউর রহমান ও সহকারী সুপার মো. শাফেইর রহমান, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ জেলার ভেরবাড়ি কামিল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহাকারী সুপার এম আব্দুল আজিজ, একই মাদ্রাসার শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বজলুর রশিদ ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমানকে নোটিশ করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের আদেশে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার রওজাতুজ সালেহীন আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুস শুকুর, ভোলার চর ফ্যাশনের আনজুরারহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইমরান হোসাইন, গোপালগঞ্জের কাশিয়া উপজেলার দমরাকান্দি এন আই আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকারিয়া, চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নাচোল বেগম মহসিন আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইসহাক, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরেরহাট আর সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাণীশংকৈল দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আজিম উদ্দিন, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালাই সদার চর এস আর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মহসিন উদ্দিন, বরিশালের কোতোয়ালি উপজেলার দুর্গাপুর এইচ এম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মনছুর আলী, ফরিদপুরের কতোয়ালি থানার চুনারঘাট দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. ফকরুদ্দিন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার গোলহাট আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইয়াসিন আলি, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রামজীবনপুর এম ইউ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার জিএম আব্দুস সবুর, ভৈরবের ধলিগনি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবু আহমদ মিয়া, একই মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. নজরুল ইসলাম ও সহকারী সুপার মো. আব্দুল্লাহকে নোটিশ করা হয়েছে জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চততর গ্রেডে বেতন নেওয়ায়। এছাড়া জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শইরঘাট টেক হারাই দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আবু তালেব, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী সুপার মো. রেজাউল হক ও সহকারী সুপার এম এ কাসেমকেও নোটিশ করা হয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার রুকুনপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. ইসহাক আলি, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বোরহানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. আতিউর রহমান, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার চকবালা আলিমউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. খলিলুর রহমান, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রস্তমনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. শামসুল ইসলাম সরকার ও একই মাদাসার সহকারী সুপার এ জেড এম রেজাউল ইসলামকে এমপিও জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চতর গ্রেডে বেতন-ভাতা নেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অধ্যক্ষ, সুপারসহ ২২ মাদ্রাসার ২৯ শিক্ষকের এমপিও জালিয়াতি

আপডেট সময় : ০১:২০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : যোগ্যতা না থাকায় তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চতর গ্রেডে এমপিওভুক্ত হয়েছেন দেশের ২২টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, সুপার, সহকারী সুপার, সহকারী মৌলভী ও সহকারী শিক্ষক। বছরের পর বছর বেতন-ভাতা নিয়েছেন তারা। এই ঘটনা জানতে পেরে এই শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। এই শিক্ষককের নেওয়া অতিরিক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, শিক্ষক হিসেবে নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়ার কথা যাদের, তারাই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও অনৈতিকভাবে সরকারি অর্থ গ্রহণ করেছেন, যা লজ্জাজনক। তবে অনেকে বলছেন— এই ঘটনায় শুধু শিক্ষকই নন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও জড়িত।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের জালিয়াতি ধরা পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন বলেন, ‘এসব শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন অনেক আগে, যখন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীনে এমপিওভুক্তির দায়িত্ব ছিল। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর এমপিওভুক্তির ক্ষমতা পেয়েছে ২০২০ সালে। এরপর এমপিও যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। তাছাড়া নতুন এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠান ভুল করেছিল, তাদের এমপিওভুক্তি যাচাই-বাছাই করতে গিয়েও কিছু ভুল পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ২২টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে। নির্ধারিত উচ্চতর স্কেলে নেওয়া অতিরিক্ত বেতন সংশ্লিষ্টদের ফেরত দিতে হবে। অতিরিক্ত অর্থ জমা দিলে বেতন ছাড় করা হবে নির্ধারিত গ্রেডে। ‘
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এমপিওভুক্তির মধ্যে একটি জালিয়াতি চক্র আছে। এমপিও ফাইল উপস্থাপনের আগেই এগুলো দেখার কথা। বর্তমানে অনলাইনে এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারও যদি বেতন-ভাতা বেশি দেওয়া হয় তা ফেরত দিতে হবে। দীর্ঘদিন বেতন নিয়েছেন অথচ তারা সবাই বুঝতে পারেননি তা হতে পারে না। টাকা ফেরত নেওয়ার সরকারি উদ্যোগ যথাযথ। এমপিও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের আগে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দায়িত্ব ছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কাছে। অধিদফতরের ইলেকট্রনিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করা হতো। ২০২১ সাল থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষমতা পায়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রায় সবাই এমপিওভুক্ত হয়েছেন ২০২১ সালের আগে। অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির কারণে এমপিও জালিয়াতি হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ২২টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সুপার, সহকারী সুপার, সহকারী মৌলভী ও সহকারী শিক্ষকরা এমপিও জালিয়াতি করেছেন, যোগ্যতাবিহীন উচ্চতর গ্রেডে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন। তাদের প্রত্যেককে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেতনও বন্ধ রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় সাপেক্ষে এমপিও ছাড় করা হবে।
২৯ শিক্ষকের এমপিও জালিয়াতি: জাল জালিয়াতি করে উচ্চতর পদে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে গত ৪ জুন গাজীপুর সদর উপজেলার কালনি ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী লিয়াত আলীর এমপিও স্থগিত করা হয়। স্থায়ীভাবে এমপিও স্থগিত কেন করা হবে না তা পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরতের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানো নোটিশে।
একই দিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আমিন উদ্দিন আহমেদ দাখিল মাদ্রাসার গণিতের সহকারী শিক্ষক মো. রায়হানুল হক, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মতিউর রহমান ও সহকারী সুপার মো. শাফেইর রহমান, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ জেলার ভেরবাড়ি কামিল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহাকারী সুপার এম আব্দুল আজিজ, একই মাদ্রাসার শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বজলুর রশিদ ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমানকে নোটিশ করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের আদেশে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার রওজাতুজ সালেহীন আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুস শুকুর, ভোলার চর ফ্যাশনের আনজুরারহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইমরান হোসাইন, গোপালগঞ্জের কাশিয়া উপজেলার দমরাকান্দি এন আই আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকারিয়া, চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নাচোল বেগম মহসিন আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইসহাক, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরেরহাট আর সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাণীশংকৈল দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আজিম উদ্দিন, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালাই সদার চর এস আর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মহসিন উদ্দিন, বরিশালের কোতোয়ালি উপজেলার দুর্গাপুর এইচ এম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মনছুর আলী, ফরিদপুরের কতোয়ালি থানার চুনারঘাট দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. ফকরুদ্দিন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার গোলহাট আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইয়াসিন আলি, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রামজীবনপুর এম ইউ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার জিএম আব্দুস সবুর, ভৈরবের ধলিগনি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবু আহমদ মিয়া, একই মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. নজরুল ইসলাম ও সহকারী সুপার মো. আব্দুল্লাহকে নোটিশ করা হয়েছে জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চততর গ্রেডে বেতন নেওয়ায়। এছাড়া জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শইরঘাট টেক হারাই দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আবু তালেব, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী সুপার মো. রেজাউল হক ও সহকারী সুপার এম এ কাসেমকেও নোটিশ করা হয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার রুকুনপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. ইসহাক আলি, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বোরহানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. আতিউর রহমান, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার চকবালা আলিমউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. খলিলুর রহমান, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রস্তমনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. শামসুল ইসলাম সরকার ও একই মাদাসার সহকারী সুপার এ জেড এম রেজাউল ইসলামকে এমপিও জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চতর গ্রেডে বেতন-ভাতা নেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়।