ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

গ্লোবাল গেমিং মার্কেটে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: এরশাদুল হক

  • আপডেট সময় : ১১:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যরিয়ার ডেস্ক: ‘গ্লোবাল গেমিং মার্কেটে নেতৃত্ব দেয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা এবং সৃজনশীলতা রয়েছে। তরুণদের মধ্যে রয়েছে মনোমুগ্ধকর গেম তৈরি করার ক্ষমতা, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের নাড়া দিতে পারে।’ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘রাইজিং গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) এর গেমস, এক্সআর অ্যান্ড এনএফটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এবং রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এরশাদুল হক।
মূল বক্তব্যে এরশাদুল হক বাংলাদেশের গেমিং শিল্পের অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন উদ্ভাবনকে উৎসাহ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার ক্ষমতার ওপর জোর দেন। তিনি তার অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের গল্প শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করেন, যা সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গেম ডেভেলপার এবং এই শিল্পের উদ্যোক্তা হতে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। এরশাদুল হক বলেন, ‘আমি গেমিং শিল্পের বিকাশ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন এই সেক্টরকে রূপান্তরিত করেছে তা দেখেছি। গেমিং সৃজনশীলতা, বিনোদন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য নতুন উপায় তৈরি করেছে। তাই, গেমিং নিছক একটি বিনোদন নয় বরং একটি শক্তি, যা সীমানা এবং সংস্কৃতিকে অতিক্রম করে মানুষকে যুক্ত করে।’ সেমিনারে স্থানীয় প্রতিভাবান গেম ডেভেলপারদের সহায়ক হওয়া, একটি সহায়ক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং শিল্প পেশাদার, বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করার গুরুত্ব দেন বাংলাদেশের গেমিং শিল্পে অবদানকারী এই ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের গেমিং শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন।
‘রাইজিং গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে অন্যান্য অতিথি বক্তারাও গেমিং শিল্পের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোতে বক্তব্য রাখেন। তারা গেমস বা গেমিং প্ল্যাটফর্মের পণ্য ব্যবস্থাপনা, গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশের অবস্থান, গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা, বাজারের আকার এবং রাজস্ব, গ্লোবাল গেমিং ইন্ডাস্ট্রি,ইন্ডাস্ট্রি স্কোপস ছাড়াও আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। এআইইউবি’র সহযোগী অধ্যাপক ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স (ওএসএ) এর বিশেষ সহকারী অভিজিৎ ভৌমিক, রাইজআপ ল্যাবসের হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট মো. রফিকুজ্জামান, প্রোডাক্ট ম্যানেজার জামিল মাহমুদ, সিনিয়র এসকিউএ ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফ জামান, এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (নোড.জেএস) এসএম রায়হান গফুর সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গ্লোবাল গেমিং মার্কেটে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: এরশাদুল হক

আপডেট সময় : ১১:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যরিয়ার ডেস্ক: ‘গ্লোবাল গেমিং মার্কেটে নেতৃত্ব দেয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা এবং সৃজনশীলতা রয়েছে। তরুণদের মধ্যে রয়েছে মনোমুগ্ধকর গেম তৈরি করার ক্ষমতা, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের নাড়া দিতে পারে।’ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘রাইজিং গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) এর গেমস, এক্সআর অ্যান্ড এনএফটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এবং রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এরশাদুল হক।
মূল বক্তব্যে এরশাদুল হক বাংলাদেশের গেমিং শিল্পের অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন উদ্ভাবনকে উৎসাহ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার ক্ষমতার ওপর জোর দেন। তিনি তার অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের গল্প শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করেন, যা সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গেম ডেভেলপার এবং এই শিল্পের উদ্যোক্তা হতে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। এরশাদুল হক বলেন, ‘আমি গেমিং শিল্পের বিকাশ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন এই সেক্টরকে রূপান্তরিত করেছে তা দেখেছি। গেমিং সৃজনশীলতা, বিনোদন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য নতুন উপায় তৈরি করেছে। তাই, গেমিং নিছক একটি বিনোদন নয় বরং একটি শক্তি, যা সীমানা এবং সংস্কৃতিকে অতিক্রম করে মানুষকে যুক্ত করে।’ সেমিনারে স্থানীয় প্রতিভাবান গেম ডেভেলপারদের সহায়ক হওয়া, একটি সহায়ক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং শিল্প পেশাদার, বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করার গুরুত্ব দেন বাংলাদেশের গেমিং শিল্পে অবদানকারী এই ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের গেমিং শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন।
‘রাইজিং গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে অন্যান্য অতিথি বক্তারাও গেমিং শিল্পের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোতে বক্তব্য রাখেন। তারা গেমস বা গেমিং প্ল্যাটফর্মের পণ্য ব্যবস্থাপনা, গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশের অবস্থান, গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা, বাজারের আকার এবং রাজস্ব, গ্লোবাল গেমিং ইন্ডাস্ট্রি,ইন্ডাস্ট্রি স্কোপস ছাড়াও আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। এআইইউবি’র সহযোগী অধ্যাপক ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স (ওএসএ) এর বিশেষ সহকারী অভিজিৎ ভৌমিক, রাইজআপ ল্যাবসের হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট মো. রফিকুজ্জামান, প্রোডাক্ট ম্যানেজার জামিল মাহমুদ, সিনিয়র এসকিউএ ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফ জামান, এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (নোড.জেএস) এসএম রায়হান গফুর সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।