নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় প্রবেশের অন্যতম স্থান গাবতলীতেও আজও ঢাকায় প্রবেশ করছেন মানুষজন। তাদের মধ্যে ব্যাংক ও ওষুধ কোম্পানির লোকজন বেশি। ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে বাড়িতে গিয়ে এখন আবার ফিরেছেন তারা। জরুরি সেবার আওতায় ব্যাংক ও ওষুধ কোম্পানির লোকজন চলাচলের সুযোগ থাকলেও পরিবারসহ ঢাকায় আসা বন্ধ করা নিয়ে বেকায়দায় পুলিশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও, যারা বেশি গাদাগাদি করে কিংবা মাস্ক ছাড়া আছেন তাদের দেওয়া হচ্ছে মামলা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর প্রবেশদ্বার গাবতলী দিয়ে পায়ে হেটে প্রবেশ করছেন অসংখ্য মানুষ। তবে তাদের থামানো কিংবা তল্লাশির কোনও পদক্ষেপ নেই। আমিনবাজার ব্রিজের মুখে চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ‘আমরা ট্রাফিক বিভাগের। বড়ো জোর গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও জব্দ করতে পারি। কিন্তু পায়ে হেঁটে আসা মানুষদের আটকানোর কোনও এখতিয়ার আমাদের নেই। এখানে থানা পুলিশ কিংবা মোবাইল কোর্ট থাকলে তাদের আটকোনো, জরিমানা কিংবা অন্য কোনও ব্যবস্থা নিতে পারতো।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘বিগত দিনের তুলনায় আজকে কম মানুষ আসছেন। যারা আসছেন, তাদের মধ্যে ব্যাংক ও ওষুধ কোম্পানির লোকজন বেশি। এ ছাড়া চিকিৎসার জন্যও অনেক মানুষ আসছেন। ওষুধ কিংবা ব্যাংক কোম্পানির লোকজন, জরুরি সেবার আওতায় পড়েন। কিন্তু তারা তো বাড়ি থেকে আসছেন পরিবার নিয়ে, এটা জরুরি সেবার মধ্যে পড়ে না। তারপরও অনেক গাড়িকেই মামলা দেওয়া হয়েছে।’
শনিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বেলা ১১টার দিকে শুরু হলে মুষলধারে। তবেও থেমে নেই পুলিশের তৎপরতা। এরমধ্যে ভিজেও অনেক মানুষ হেঁটে চলে আসছেন। খাদ্য পণ্যবাহী ট্রাকেও অনেককে আসতে দেখা গেছে। দারুস সালাম থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর হারুন উর রশীদ বলেন, ‘চেকপোস্ট সকাল থেকেই আছে, বৃষ্টির মধ্যেও বন্ধ হয়নি। আগের চেয়ে মানুষের আসার হার কমেছে। তবে অনেকেই চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজন আসছেন। যাচাই-বাছাই করে শুধু তাদের ছাড়া হচ্ছে।
ব্যাংক, ওষুধ কোম্পানির লোকজন ঢাকায় আসছেন বেশি
ট্যাগস :
ব্যাংক
জনপ্রিয় সংবাদ