নারী ও শিশু ডেস্ক : আঙিনায়, ঘরের বারান্দায় বা বাড়ির ছাদে গাছ লাগানো অনেকের শখ। এতে বাতাস বিশুদ্ধ থাকে। এমনকি বাড়িতে থাকা শিশুদের বেড়ে ওঠায় দারুণ ভূমিকা রাখে। শখের পাশাপাশি শিশুর বিকাশেও অবদান রাখে গাছ।
ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি জার্নালে বলা হয়, জন্মের পর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, শিশুর চারপাশে সবুজ থাকলে শারীরিক ও মানসিকভাবে তারা উপকৃত হয়।
গাছের ভূমিকা: ১. শিশুর বাড়িজুড়ে সবুজের পরিমাণ বেশি থাকলে তাদের ফুসফুস অন্যদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। ২. শিশুকে সঙ্গে নিয়ে গাছের পরিচর্যা করুন। নিয়মিত পানি ও জৈব সার দিন। এতে শিশু দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে। ৩. বারান্দায় কিংবা ছাদ বাগানে উৎপাদন করতে পারেন নানা সবজি। শিশুকে সঙ্গে নিয়ে গাছ থেকে সবজি সংগ্রহ করে রান্না করুন। নিজের খাবার নিজেই সংগ্রহ করায় ভবিষ্যতে শিশু আত্মবিশ্বাসী হবে। ৪. সবুজায়ন করলে শিশু হয়ে উঠবে প্রকৃতিপ্রেমী। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বনায়নের দিকে আরও মনযোগ দেবে। ৫. ছাদ বাগান অথবা বারান্দায় উৎপাদিত সবজির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে শিশুকে ধারণা দিন। এতে শিশুর জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পাবে; তেমনই খাবারের প্রতি অনীহা কেটে যাবে। ৬. গাছে প্রয়োগ করার জন্য প্রাকৃতিক সার ও ফল সংগ্রহ করতে বলুন শিশুকে। শিশুর ভালো সময় কাটবে এবং স্মার্ট ফোনের প্রতি আসক্তি হ্রাস পাবে। ৭. গাছ লাগানোর পর রাসায়নিক সার শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সারে মনযোগী হয়ে উঠুন। ৮. গাছ পরিষ্কার বা ছাটাইয়ে ব্যবহৃত ধারালো কিছু শিশুর স্পর্শের বাইরে রাখুন। ক্ষতিকর সরঞ্জামাদি শিশুর থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখবেন।
শিশুর বিকাশে গাছের ভূমিকা
ট্যাগস :
শিশুর বিকাশে গাছের ভূমিকা
জনপ্রিয় সংবাদ