ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

তীব্র লোডশেডিংয়ের মধ্যে দুঃসংবাদ পুরোপুরি বন্ধ পায়রা

  • আপডেট সময় : ০২:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি : তীব্র গরমে ঘণ্টায় ঘণ্টা বিদ্যুতের যাওয়া আসার মধ্যে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে যাচ্ছে। কয়লার অভাবে সোমবার বেলা ১২টার দিকে বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালীরর পায়রার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটিও। এর ফলে বিদ্যুতের সরবরাহ আরও কমবে ছয় শতাধিক মেগাওয়াট। গত ২৫ মে বন্ধ হয় এই কেন্দ্রের আরও একটি ইউনিট।
কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহমনি জিকো বলেন, “কয়লা না আসা পর্যন্ত কেন্দ্র চালু করা যাবে না।” প্রতিদিন এ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। কেন্দ্রটি পুরোদমে চালাতে প্রতিদিন কয়লার ১২ হাজার টন প্রয়োজন।
কবে চালু হবে: এ নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুই জন কর্মকর্তা দিয়েছেন দুই ধরনের তথ্য। কবে নাগাদ কেন্দ্রটি চালু হবে জানতে চাইলে কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহমনি জিকো বলেন, “এ মাসে চালু হবে না। আগামী মাসে কয়লা এলে চালু করা সম্ভব হবে।”
তবে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব সাংবাদিকদের বলেছেন, “কয়লা আনার জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আশা করছি এই মাসের শেষের দিকে কয়লাবাহী প্রথম জাহাজ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে। তখন আবার পুনরায় চালু হবে পায়রা।”
যে কারণে সঙ্কট: বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালিত হত। পরে দুই প্রতিষ্ঠানের সমান মালিকানায় বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে আলাদা একটি কোম্পানি গঠিত হয়। কেন্দ্রটিকে ৬ মাস বাকিতে কয়লা দিয়েছে সিএমসি। পরে আরও ৩ মাসের বকেয়াসহ ৯ মাসে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ৩৯ কোটি ডলার। এই বকেয়া ডলার সংকটের কারণে পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যে কারণে চীন থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডলার সংকট মেটাতে কয়েক দফা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেও সমাধানে আসতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক একশ কোটি ডলার দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে বলেছেন, এরপর লোডশেডিং কমে আসবে।
গত রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, “সামাল দেওয়ার একটা ব্যবস্থা হয়ে গেছে। সেই সময়টা আমাদের দিতে হবে। এক/ দুই সপ্তাহ হয়ত কিছুটা কষ্ট করতে হবে।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তীব্র লোডশেডিংয়ের মধ্যে দুঃসংবাদ পুরোপুরি বন্ধ পায়রা

আপডেট সময় : ০২:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

বরিশাল প্রতিনিধি : তীব্র গরমে ঘণ্টায় ঘণ্টা বিদ্যুতের যাওয়া আসার মধ্যে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে যাচ্ছে। কয়লার অভাবে সোমবার বেলা ১২টার দিকে বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালীরর পায়রার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটিও। এর ফলে বিদ্যুতের সরবরাহ আরও কমবে ছয় শতাধিক মেগাওয়াট। গত ২৫ মে বন্ধ হয় এই কেন্দ্রের আরও একটি ইউনিট।
কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহমনি জিকো বলেন, “কয়লা না আসা পর্যন্ত কেন্দ্র চালু করা যাবে না।” প্রতিদিন এ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। কেন্দ্রটি পুরোদমে চালাতে প্রতিদিন কয়লার ১২ হাজার টন প্রয়োজন।
কবে চালু হবে: এ নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুই জন কর্মকর্তা দিয়েছেন দুই ধরনের তথ্য। কবে নাগাদ কেন্দ্রটি চালু হবে জানতে চাইলে কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহমনি জিকো বলেন, “এ মাসে চালু হবে না। আগামী মাসে কয়লা এলে চালু করা সম্ভব হবে।”
তবে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব সাংবাদিকদের বলেছেন, “কয়লা আনার জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আশা করছি এই মাসের শেষের দিকে কয়লাবাহী প্রথম জাহাজ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে। তখন আবার পুনরায় চালু হবে পায়রা।”
যে কারণে সঙ্কট: বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালিত হত। পরে দুই প্রতিষ্ঠানের সমান মালিকানায় বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে আলাদা একটি কোম্পানি গঠিত হয়। কেন্দ্রটিকে ৬ মাস বাকিতে কয়লা দিয়েছে সিএমসি। পরে আরও ৩ মাসের বকেয়াসহ ৯ মাসে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ৩৯ কোটি ডলার। এই বকেয়া ডলার সংকটের কারণে পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যে কারণে চীন থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডলার সংকট মেটাতে কয়েক দফা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেও সমাধানে আসতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক একশ কোটি ডলার দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে বলেছেন, এরপর লোডশেডিং কমে আসবে।
গত রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, “সামাল দেওয়ার একটা ব্যবস্থা হয়ে গেছে। সেই সময়টা আমাদের দিতে হবে। এক/ দুই সপ্তাহ হয়ত কিছুটা কষ্ট করতে হবে।”