নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছে আরও ৭৫ জন রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৭৫ রোগী শনাক্ত হয়। তাতে দিনে শনাক্তের হার হয়েছে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আগের দিন যা ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ ছিল।
দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ এর নিচে থাকছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তা আবার একটু একটু করে বাড়তে শুরু করে। গত ২৯ মে এক দিনেই ১৫৯ জন কোভিড রোগী শনাক্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা সাত মাসের সর্বোচ্চ। তিন দিন বাদে চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে নতুন রোগীর সংখ্যা একশর নিচেই থাকছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৪ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৪৫০ জন। দুই মাসের বেশি সময় পর গত ২ জুন দেশে কোভিডে দুইজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। দুই দিন বাদে আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর এল। তাদের দুজনেরই বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, দুজনই নারী। তারা দুজনই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা; একজন সরকারি হাসপাতালে এবং অন্যজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৩৯৫ জন। গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের ৭১ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া রাজশাহীতে দুইজন এবং চাঁদপুর ও সিরাজগঞ্জে একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশে মোট ৬৬৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯৩.৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।