ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

এই বাজেট ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: আওয়ামী লীগ

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। তারা লুটপাটের বাজেট বলে, যাদের অর্থনীতি ছিল লুটপাটের। তারা লুটপাটের চ্যাম্পিয়ন ছিল। তাদের মুখে লুটপাটের কথা শোভা পায় না। আমরা তাদের থেকে বড় বাজেট দিতে পেরেছি।
গতকাল শনিবার (৩ জুন) সকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বে অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট। সারা বিশ্বে সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। তিনি বলেন, এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের সেই বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাট বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কি পরিমাণ বাজেট ছিল? আজ তা কি হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কি ছিল? বাংলাদেশ আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটে কৃচ্ছতা সাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কি ছিল?শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে। তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে অস্থির অবস্থা। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়নের অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়? অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এ দেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এ দেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধী দল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে। আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। এবারের বাজেট সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে, সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। লোডশেডিং বা মানুষের নেতিবাচক সমালোচনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এই বাজেট ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় : ০১:৫০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। তারা লুটপাটের বাজেট বলে, যাদের অর্থনীতি ছিল লুটপাটের। তারা লুটপাটের চ্যাম্পিয়ন ছিল। তাদের মুখে লুটপাটের কথা শোভা পায় না। আমরা তাদের থেকে বড় বাজেট দিতে পেরেছি।
গতকাল শনিবার (৩ জুন) সকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বে অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট। সারা বিশ্বে সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। তিনি বলেন, এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের সেই বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাট বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কি পরিমাণ বাজেট ছিল? আজ তা কি হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কি ছিল? বাংলাদেশ আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটে কৃচ্ছতা সাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কি ছিল?শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে। তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে অস্থির অবস্থা। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়নের অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়? অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এ দেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এ দেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধী দল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে। আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। এবারের বাজেট সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে, সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। লোডশেডিং বা মানুষের নেতিবাচক সমালোচনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।