ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে ভারতে কম্পিউটার শিখতে গিয়ে মন্ত্রী!

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তদন্তের দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বোরা। একই সুরে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,‘নিশীথ প্রামাণিক ভারতীয় না বাংলাদেশি তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে রিপুন চিঠিতে লিখেছেন,‘কোচবিহারের সাংসদের বাড়ি বাংলাদেশের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি পুলিস থানায়। পশ্চিমবঙ্গে কম্পিউটার শিখতে এসেছিলেন। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে তৃণমূলে যোগ দেন। পরে বিজেপির টিকিটে হন কোচবিহারের সাংসদ।’
কারসাজি করে কোচবিহারের ঠিকানা নির্বাচনী হলফনামায় নিশীথ দেখিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ অসমের কংগ্রেস সভাপতির। তার দাবি, নিশীথ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশে তার জন্মভিটেয় গ্রামবাসীরা আনন্দ উদযাপন করেছিলেন। সেখানে এখনও তার বড় ভাই থাকেন। একজন বিদেশি নাগরিক দেশের মন্ত্রী হলেন। দেশের পক্ষে বিষয়টি গুরুতর। তার জন্মস্থান ও নাগরিকত্ব নিয়ে সঠিক তথ্য জানতে তদন্ত শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি করেন রিপুন। রিপুনের টুইট রিটুইট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্যসভার সাংসদ সঠিক প্রশ্ন করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁকে নিয়োগ করার আগে কি পরীক্ষা করা হয়নি? একাধিক অপরাধের কথা তো ভুলেই যান। লজ্জা।’
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নিশীথের বিরুদ্ধে অন্তত ১৩টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ফলে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হোক।’ নিশীথের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। কোচবিহারের সাংসদের জন্ম ও শিক্ষা পশ্চিমবঙ্গেই। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আত্মীয়রা আনন্দ করতেই পারেন। এতে তার কিছু করার নেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ থেকে ভারতে কম্পিউটার শিখতে গিয়ে মন্ত্রী!

আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তদন্তের দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বোরা। একই সুরে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,‘নিশীথ প্রামাণিক ভারতীয় না বাংলাদেশি তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে রিপুন চিঠিতে লিখেছেন,‘কোচবিহারের সাংসদের বাড়ি বাংলাদেশের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি পুলিস থানায়। পশ্চিমবঙ্গে কম্পিউটার শিখতে এসেছিলেন। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে তৃণমূলে যোগ দেন। পরে বিজেপির টিকিটে হন কোচবিহারের সাংসদ।’
কারসাজি করে কোচবিহারের ঠিকানা নির্বাচনী হলফনামায় নিশীথ দেখিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ অসমের কংগ্রেস সভাপতির। তার দাবি, নিশীথ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশে তার জন্মভিটেয় গ্রামবাসীরা আনন্দ উদযাপন করেছিলেন। সেখানে এখনও তার বড় ভাই থাকেন। একজন বিদেশি নাগরিক দেশের মন্ত্রী হলেন। দেশের পক্ষে বিষয়টি গুরুতর। তার জন্মস্থান ও নাগরিকত্ব নিয়ে সঠিক তথ্য জানতে তদন্ত শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি করেন রিপুন। রিপুনের টুইট রিটুইট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্যসভার সাংসদ সঠিক প্রশ্ন করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁকে নিয়োগ করার আগে কি পরীক্ষা করা হয়নি? একাধিক অপরাধের কথা তো ভুলেই যান। লজ্জা।’
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নিশীথের বিরুদ্ধে অন্তত ১৩টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ফলে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হোক।’ নিশীথের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। কোচবিহারের সাংসদের জন্ম ও শিক্ষা পশ্চিমবঙ্গেই। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আত্মীয়রা আনন্দ করতেই পারেন। এতে তার কিছু করার নেই।