ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কনটেন্ট নির্মাণে নিজের ভুবন গড়েছেন সুমন

  • আপডেট সময় : ০১:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • ৫৭২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : সালাহউদ্দীন সুমন ছিলেন পেশাদার সাংবাদিক। কর্মজীবনের পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছিলেন কনটেন্ট নির্মাণ। পাহাড়, নদী, ঝরনাধারায় মেলে ধরেন নিজেকে। উপস্থাপন করেন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য-উপাত্ত। একসময় সাংবাদিকতা ছেড়ে বেছে নেন পছন্দের কাজটিই। ভারত-বাংলাদেশে এখন সুপরিচিত মুখ তিনি।
ভ্রমণবিষয়ক কনটেন্ট নির্মাতা সালাহউদ্দীন সুমন বলেন, ‘২০১৭ সালে কনটেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করি। সেটা বাস্তাবয়ন করি ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে। ঢাকা থেকে কম খরচে কীভাবে কলকাতা যাওয়া যায়, এ নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করি। যা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা। সেই ইতিহাসের টানেই আমি গিয়েছিলাম মুশির্দাবাদ, মীর জাফরের বংশধরের সন্ধানে। সৌভাগ্যক্রমে পেয়েও যাই। এ নিয়ে ভিডিও তৈরি করি। ভিডিওটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। খুব দ্রুত আমার ইউটিউব ও ফেসবুক কনটেন্ট মানুষের কাছে পৌঁছায়।’
সাংবাদিকতা ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যে সাংবাদিকতা ছাড়বো, এটি কখনোই কল্পনা করিনি। সাংবাদিকতা ছিল আমার ধ্যান-জ্ঞান। যখন মনে হলো সোস্যাল মিডিয়ায় একটি অবস্থানে আসতে পেরেছি; তখন সাংবাদিকতা ছেড়ে দিলেও আমি ভালো থাকতে পারবো। তাই বেশি একটা সময় নিইনি, সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলি, চাকরি ছেড়ে দেবো। চাকরি ছাড়ার ব্যাপারটি সহকর্মী ও আশেপাশের কেউই সর্মথন করেননি। পরিবারও মেনে নিতে পারছিল না। তারা আমার ভালো চাচ্ছিলেন বলেই সাংবাদিকতার পেশা ছাড়তে নিষেধ করছিলেন। কিন্তু আমার ভালো লাগা ও ভালো থাকার জায়গা তখন কন্টেন্ট নির্মাণ।’ বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতে প্রশংসিত এবং গণমাধ্যমের শিরোনাম হওয়ার বিষয়ে এ কনটেন্ট নির্মাতা বলেন, ‘আমি কাজ করছি ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও দর্শনীয় স্থান নিয়ে। আমি মনে করি, মানুষের এগুলো নিয়ে আকর্ষণ আছে। মানুষ এগুলো দেখতে চায়। আমি সেভাবেই দেখাচ্ছি। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের অসংখ্য মানুষ আমার ভিডিও নিয়মিতই দেখেন। বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি যেসব এলাকা আছে, অনেক মানুষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের ভালো লাগার বিষয়টি আমাকে জানান। আমার কাছে খুব ভালো লাগে।’
কনটেন্ট নির্মাণ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সালাহউদ্দীন সুমন বলেন, ‘শুধু ভারত-বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে চাই। ভ্রমণটা চালিয়ে যেতে চাই। তবে আমি যে কাজটি করে যাচ্ছি; এটি এখনকার তুলনায় আরও মানসম্পন্ন করা যায় কীভাবে সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। কাজে কোনো নতুনত্ব আনা যায় কি না, চিন্তা করছি। দর্শককে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানগুলো কন্টেন্টের মান ঠিক রেখে দেখানোই আগামীর পরিকল্পনা।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কনটেন্ট নির্মাণে নিজের ভুবন গড়েছেন সুমন

আপডেট সময় : ০১:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : সালাহউদ্দীন সুমন ছিলেন পেশাদার সাংবাদিক। কর্মজীবনের পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছিলেন কনটেন্ট নির্মাণ। পাহাড়, নদী, ঝরনাধারায় মেলে ধরেন নিজেকে। উপস্থাপন করেন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য-উপাত্ত। একসময় সাংবাদিকতা ছেড়ে বেছে নেন পছন্দের কাজটিই। ভারত-বাংলাদেশে এখন সুপরিচিত মুখ তিনি।
ভ্রমণবিষয়ক কনটেন্ট নির্মাতা সালাহউদ্দীন সুমন বলেন, ‘২০১৭ সালে কনটেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করি। সেটা বাস্তাবয়ন করি ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে। ঢাকা থেকে কম খরচে কীভাবে কলকাতা যাওয়া যায়, এ নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করি। যা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা। সেই ইতিহাসের টানেই আমি গিয়েছিলাম মুশির্দাবাদ, মীর জাফরের বংশধরের সন্ধানে। সৌভাগ্যক্রমে পেয়েও যাই। এ নিয়ে ভিডিও তৈরি করি। ভিডিওটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। খুব দ্রুত আমার ইউটিউব ও ফেসবুক কনটেন্ট মানুষের কাছে পৌঁছায়।’
সাংবাদিকতা ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যে সাংবাদিকতা ছাড়বো, এটি কখনোই কল্পনা করিনি। সাংবাদিকতা ছিল আমার ধ্যান-জ্ঞান। যখন মনে হলো সোস্যাল মিডিয়ায় একটি অবস্থানে আসতে পেরেছি; তখন সাংবাদিকতা ছেড়ে দিলেও আমি ভালো থাকতে পারবো। তাই বেশি একটা সময় নিইনি, সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলি, চাকরি ছেড়ে দেবো। চাকরি ছাড়ার ব্যাপারটি সহকর্মী ও আশেপাশের কেউই সর্মথন করেননি। পরিবারও মেনে নিতে পারছিল না। তারা আমার ভালো চাচ্ছিলেন বলেই সাংবাদিকতার পেশা ছাড়তে নিষেধ করছিলেন। কিন্তু আমার ভালো লাগা ও ভালো থাকার জায়গা তখন কন্টেন্ট নির্মাণ।’ বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতে প্রশংসিত এবং গণমাধ্যমের শিরোনাম হওয়ার বিষয়ে এ কনটেন্ট নির্মাতা বলেন, ‘আমি কাজ করছি ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও দর্শনীয় স্থান নিয়ে। আমি মনে করি, মানুষের এগুলো নিয়ে আকর্ষণ আছে। মানুষ এগুলো দেখতে চায়। আমি সেভাবেই দেখাচ্ছি। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের অসংখ্য মানুষ আমার ভিডিও নিয়মিতই দেখেন। বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি যেসব এলাকা আছে, অনেক মানুষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের ভালো লাগার বিষয়টি আমাকে জানান। আমার কাছে খুব ভালো লাগে।’
কনটেন্ট নির্মাণ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সালাহউদ্দীন সুমন বলেন, ‘শুধু ভারত-বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে চাই। ভ্রমণটা চালিয়ে যেতে চাই। তবে আমি যে কাজটি করে যাচ্ছি; এটি এখনকার তুলনায় আরও মানসম্পন্ন করা যায় কীভাবে সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। কাজে কোনো নতুনত্ব আনা যায় কি না, চিন্তা করছি। দর্শককে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানগুলো কন্টেন্টের মান ঠিক রেখে দেখানোই আগামীর পরিকল্পনা।