ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

জাবিতে বিদেশি শিক্ষার্থী সংকট

  • আপডেট সময় : ১১:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রতিনিয়ত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেই চলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অধ্যয়নরত সাড়ে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র দুজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে মো. শামস তাবরীজ নামে একজন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তবে ভর্তির কয়েকদিন পর অজ্ঞাত কারণে তিনি অন্য দেশে চলে যান। এরপর ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। পরে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে মো. আবিদ হোসাইন নামে আরও একজন নেপালি ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অ্যানি লস্কর নামে একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, গণরুম সংস্কৃতি, ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতা, শিক্ষার মান কমে যাওয়া, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরা জাবিতে পড়তে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা না থাকাকে দুষছেন অনেকেই। তবে পর্যাপ্ত সক্ষমতা থাকলেও কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছার অভাবকে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদ আহমেদ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা ও ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করলে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করতে হলে পরিকল্পনা করতে হবে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো পরিকল্পনা নেই। বিদেশি শিক্ষার্থীরা তখন আসবে যখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলি। বিদেশিরা কেউ ভর্তি হতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করলে আমরা তাকে ভর্তি করি। আমাদের এখন ভালো মানের হল তৈরি হয়েছে। এছাড়া কোয়ার্টার আছে। আমরা সামনে কীভাবে বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জাবিতে বিদেশি শিক্ষার্থী সংকট

আপডেট সময় : ১১:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রতিনিয়ত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেই চলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অধ্যয়নরত সাড়ে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র দুজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে মো. শামস তাবরীজ নামে একজন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তবে ভর্তির কয়েকদিন পর অজ্ঞাত কারণে তিনি অন্য দেশে চলে যান। এরপর ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। পরে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে মো. আবিদ হোসাইন নামে আরও একজন নেপালি ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অ্যানি লস্কর নামে একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, গণরুম সংস্কৃতি, ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতা, শিক্ষার মান কমে যাওয়া, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরা জাবিতে পড়তে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা না থাকাকে দুষছেন অনেকেই। তবে পর্যাপ্ত সক্ষমতা থাকলেও কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছার অভাবকে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদ আহমেদ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা ও ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করলে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করতে হলে পরিকল্পনা করতে হবে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো পরিকল্পনা নেই। বিদেশি শিক্ষার্থীরা তখন আসবে যখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলি। বিদেশিরা কেউ ভর্তি হতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করলে আমরা তাকে ভর্তি করি। আমাদের এখন ভালো মানের হল তৈরি হয়েছে। এছাড়া কোয়ার্টার আছে। আমরা সামনে কীভাবে বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো।