ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

আজমত উল্লার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট ইসি

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার ব্যাখ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আজমত উল্লা বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্যে আমরা সন্তুষ্ট।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শোডাউন করা এবং প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লাকে কমিশনে তলব করে ইসি। দুই দফা চিঠি দিয়ে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
গতকাল রোববার বিকাল ৩টার দিকে নির্বাচন ভবনে সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের উপস্থিতিতে আজমত উল্লা খানের বক্তব্য নেওয়া হয়। আধঘণ্টা ধরে এ শোকজের বক্তব্য শুনে সিইসি এবং আজমত উল্লা সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।
সিইসি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাখ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অত্যন্ত চমৎকারভাবে, অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে উনি (আজমত উল্লা) দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উনি বলেছেন, যদি ভঙ্গ হয়ে থাকে উনি দুঃখিত, অনুতপ্ত। আগামীর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভুল কিছুটা অজ্ঞতাবশত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের মতামত নিয়ে দুই-একটা সভা হয়েছে সিটি এলাকার বাইরে।
মনোনয়নপত্র জমার সময় পাঁচ জনের বেশি লোকের উপস্থিতিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে প্রার্থীর ব্যাখ্যা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, মনোনয়নপত্র জমার দিন বেশ কিছু সংখ্যক কাউন্সিলরও তাদের দলবল নিয়ে এসেছেন শোডাউনের মতো করে। আমরা উনাকে শোকজ করেছি। উনি বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কিন্তু উনার বক্তব্যটা বিবেচনা করছি। উনি লোকাল লিডার, অত্যন্ত বিনয়ে সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা মনে করলে লিখিতভাবে দেবেন। আমরা এরপর আর কোনও তদন্ত করবো না। হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনার বক্তব্যে আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট করে ভবিষ্যতে যাতে আচরণবিধি প্রতিপালিত হয় সেটা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করবেন। আমরা শোডাউনকে বড় করে দেখেছি। আগামী আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচনি সংস্কৃতি গড়ে ওঠার আশা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, আমাদের যে নির্বাচনি সংস্কৃতি, কৃষ্টি বহু বছর ধরে গড়ে উঠেছে। সেখানে এ ধরনের উচ্ছ্বাস (মনোনয়নপত্র জমার সময় দলবল নিয়ে উপস্থিতি) প্রকাশ করে থাকে। ইসিও মনে করে, এটাকে এক ধাক্কায় সুইচ টিপে বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সে জন্য সহযোগিতা লাগবে। এনফোর্স করার চেষ্টা করবো, ধীরে ধীরে শুভ কালচার গড়ে উঠবে। আজমত উল্লার সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিষয়টি এখানে আলোচিত হয়নি বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, এটা সিটি এলাকার বাইরে হয়েছে বলেছেন উনি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করবেন জানিয়েছেন। যেখান হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন মনে করি, সেখানে হস্তক্ষেপ করেছি। তাদের চিঠি দিয়েছি। ইসির পদক্ষেপের বিষয়ে সিইসি জানান, ইতোমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার করছি। আশা করি, এটা একটা সচেতনতা সৃষ্টি করবে। আগামীতে যে পাঁচটি সিটি নির্বাচন রয়েছে, একটা এক্সাম্পল বাকিদের শিখতে সহায়তা করে। খুলনায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশও দলের সহায়তায় রিটার্নিং অফিসার প্রতিহত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটা ইতিবাচক। রাজনৈতিক নেতাদের রেসপন্স ইতিবাচক।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আজমত উল্লার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট ইসি

আপডেট সময় : ০১:২৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার ব্যাখ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আজমত উল্লা বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্যে আমরা সন্তুষ্ট।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শোডাউন করা এবং প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লাকে কমিশনে তলব করে ইসি। দুই দফা চিঠি দিয়ে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
গতকাল রোববার বিকাল ৩টার দিকে নির্বাচন ভবনে সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের উপস্থিতিতে আজমত উল্লা খানের বক্তব্য নেওয়া হয়। আধঘণ্টা ধরে এ শোকজের বক্তব্য শুনে সিইসি এবং আজমত উল্লা সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।
সিইসি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাখ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অত্যন্ত চমৎকারভাবে, অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে উনি (আজমত উল্লা) দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উনি বলেছেন, যদি ভঙ্গ হয়ে থাকে উনি দুঃখিত, অনুতপ্ত। আগামীর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভুল কিছুটা অজ্ঞতাবশত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের মতামত নিয়ে দুই-একটা সভা হয়েছে সিটি এলাকার বাইরে।
মনোনয়নপত্র জমার সময় পাঁচ জনের বেশি লোকের উপস্থিতিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে প্রার্থীর ব্যাখ্যা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, মনোনয়নপত্র জমার দিন বেশ কিছু সংখ্যক কাউন্সিলরও তাদের দলবল নিয়ে এসেছেন শোডাউনের মতো করে। আমরা উনাকে শোকজ করেছি। উনি বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কিন্তু উনার বক্তব্যটা বিবেচনা করছি। উনি লোকাল লিডার, অত্যন্ত বিনয়ে সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা মনে করলে লিখিতভাবে দেবেন। আমরা এরপর আর কোনও তদন্ত করবো না। হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনার বক্তব্যে আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট করে ভবিষ্যতে যাতে আচরণবিধি প্রতিপালিত হয় সেটা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করবেন। আমরা শোডাউনকে বড় করে দেখেছি। আগামী আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচনি সংস্কৃতি গড়ে ওঠার আশা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, আমাদের যে নির্বাচনি সংস্কৃতি, কৃষ্টি বহু বছর ধরে গড়ে উঠেছে। সেখানে এ ধরনের উচ্ছ্বাস (মনোনয়নপত্র জমার সময় দলবল নিয়ে উপস্থিতি) প্রকাশ করে থাকে। ইসিও মনে করে, এটাকে এক ধাক্কায় সুইচ টিপে বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সে জন্য সহযোগিতা লাগবে। এনফোর্স করার চেষ্টা করবো, ধীরে ধীরে শুভ কালচার গড়ে উঠবে। আজমত উল্লার সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিষয়টি এখানে আলোচিত হয়নি বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, এটা সিটি এলাকার বাইরে হয়েছে বলেছেন উনি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করবেন জানিয়েছেন। যেখান হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন মনে করি, সেখানে হস্তক্ষেপ করেছি। তাদের চিঠি দিয়েছি। ইসির পদক্ষেপের বিষয়ে সিইসি জানান, ইতোমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার করছি। আশা করি, এটা একটা সচেতনতা সৃষ্টি করবে। আগামীতে যে পাঁচটি সিটি নির্বাচন রয়েছে, একটা এক্সাম্পল বাকিদের শিখতে সহায়তা করে। খুলনায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশও দলের সহায়তায় রিটার্নিং অফিসার প্রতিহত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটা ইতিবাচক। রাজনৈতিক নেতাদের রেসপন্স ইতিবাচক।