ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

আটে নেমে সেঞ্চুরিতে ইতিহাসে সিমি

  • আপডেট সময় : ১২:৪০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ৫ বছর আগে ৫ রানের দূরত্বে থেমে যান ক্রিস ওকস। গত মার্চে ঠিক ওই ৫ রানের জন্যই পারেননি স্যাম কারান। পারেননি তাদের আগে আর কেউই। অবশেষে দীর্ঘ সেই খরা ঘোচালেন সিমি সিং। আয়ারল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারের সৌজন্যে ওয়ানডে ক্রিকেট প্রথমবার দেখতে পেল আট নম্বর ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে গত শুক্রবার ডাবলিনে আইরিশরা হারলেও সিমি আটে নেমে খেলেন ৯১ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ভারতের পাঞ্জাবে জন্ম নেওয়া এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের নাম খোদাই হয়ে যায় ইতিহাসে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫০ বছর আর ৪ হাজার ৩০৫ ম্যাচের ইতিহাসে আটে ব্যাট করেছেন ৯১৯ জন ক্রিকেটার। এই পজিশনে সেঞ্চুরি করতে পারলেন সিমিই প্রথম। অবশ্য সেঞ্চুরির বেশ আগেই থমকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলেন তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ইয়াং যখন উইকেটে যান, সিমির রান তখন ৭৩ বলে ৭২। শেষ জুটিতেই বাকি পথ পাড়ি দেন তিনি দারুণ ব্যাটিংয়ে। ১৩ বল খেলে সঙ্গ দেন ইয়াং। শেষের আগের ওভারের শেষ বলে দুই রান নিয়ে সিমি পা রাখেন শতরানে। পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান আয়াং।
আটে নেমে আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল যৌথভাবে দুই ইংলিশ ক্রিকেটার ওকস ও কারানের। ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে অপরাজিত ৯৫ করেন ওকস। কয়েক মাস আগে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন কারান। ওকসের ওই পারফরম্যান্সে পরাজয়ের দুয়ার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত টাই করেছিল ইংল্যান্ড। কারানের ওই ব্যাটিংয়ের দিনে অভাবনীয় এক জয়ের আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরে যায় ইংলিশরা। আটে নেমে নব্বইয়ে আটকে থাকার নজির আছে আরেকটি। ২০১৯ বিশ্বকাপে ট্রেন্ট ব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান পেসার ন্যাথান কোল্টার-নাইল খেলেন ৬০ বলে ৯২ রানের ইনিংস। তাদের আগে রেকর্ডটি গড়েছিলেন কেনিয়ার টমাস ওডোয়ো, যাতে জড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের নাম। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে বাংলাদেশে বিপক্ষেই আটে নেমে ৮৪ করেছিলেন অলরাউন্ডার ওডোয়ো। বাংলাদেশের হয়ে আটে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংস নাঈম ইসলামের, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। সব মিয়ে আটে নেমে সবচেয়ে বেশি রান পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের, ১ হাজার ২০৮। সবচেয়ে বেশি সাতটি ফিফটি যৌথভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ল্রান্স ক্লুজনার ও জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিকের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আটে নেমে সেঞ্চুরিতে ইতিহাসে সিমি

আপডেট সময় : ১২:৪০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ৫ বছর আগে ৫ রানের দূরত্বে থেমে যান ক্রিস ওকস। গত মার্চে ঠিক ওই ৫ রানের জন্যই পারেননি স্যাম কারান। পারেননি তাদের আগে আর কেউই। অবশেষে দীর্ঘ সেই খরা ঘোচালেন সিমি সিং। আয়ারল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারের সৌজন্যে ওয়ানডে ক্রিকেট প্রথমবার দেখতে পেল আট নম্বর ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে গত শুক্রবার ডাবলিনে আইরিশরা হারলেও সিমি আটে নেমে খেলেন ৯১ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ভারতের পাঞ্জাবে জন্ম নেওয়া এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের নাম খোদাই হয়ে যায় ইতিহাসে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫০ বছর আর ৪ হাজার ৩০৫ ম্যাচের ইতিহাসে আটে ব্যাট করেছেন ৯১৯ জন ক্রিকেটার। এই পজিশনে সেঞ্চুরি করতে পারলেন সিমিই প্রথম। অবশ্য সেঞ্চুরির বেশ আগেই থমকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলেন তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ইয়াং যখন উইকেটে যান, সিমির রান তখন ৭৩ বলে ৭২। শেষ জুটিতেই বাকি পথ পাড়ি দেন তিনি দারুণ ব্যাটিংয়ে। ১৩ বল খেলে সঙ্গ দেন ইয়াং। শেষের আগের ওভারের শেষ বলে দুই রান নিয়ে সিমি পা রাখেন শতরানে। পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান আয়াং।
আটে নেমে আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল যৌথভাবে দুই ইংলিশ ক্রিকেটার ওকস ও কারানের। ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে অপরাজিত ৯৫ করেন ওকস। কয়েক মাস আগে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন কারান। ওকসের ওই পারফরম্যান্সে পরাজয়ের দুয়ার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত টাই করেছিল ইংল্যান্ড। কারানের ওই ব্যাটিংয়ের দিনে অভাবনীয় এক জয়ের আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরে যায় ইংলিশরা। আটে নেমে নব্বইয়ে আটকে থাকার নজির আছে আরেকটি। ২০১৯ বিশ্বকাপে ট্রেন্ট ব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান পেসার ন্যাথান কোল্টার-নাইল খেলেন ৬০ বলে ৯২ রানের ইনিংস। তাদের আগে রেকর্ডটি গড়েছিলেন কেনিয়ার টমাস ওডোয়ো, যাতে জড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের নাম। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে বাংলাদেশে বিপক্ষেই আটে নেমে ৮৪ করেছিলেন অলরাউন্ডার ওডোয়ো। বাংলাদেশের হয়ে আটে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংস নাঈম ইসলামের, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। সব মিয়ে আটে নেমে সবচেয়ে বেশি রান পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের, ১ হাজার ২০৮। সবচেয়ে বেশি সাতটি ফিফটি যৌথভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ল্রান্স ক্লুজনার ও জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিকের।