নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আইন সংশোধন করতে হবে, সেজন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ/সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৪৮তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘসময় ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের (সাংবাদিকদের) এটা মনে হওয়াটাও তো আমাদের (আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার) জন্য দুঃখের। কারণ এই সরকারই কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছে এবং তারা (সাজাপ্রাপ্তরা) কিন্তু জামায়াতের হোতা ছিল, প্রতিষ্ঠাতা ছিল। সেই ক্ষেত্রে আপনারা যদি মনে করেন আমরা উদ্যোগী (বিচারে) নই, তাহলে সেটি আমাদের জন্য দুঃখজনক। তাহলে বিচার ঝুলে থাকার পেছনে কারণ কী হতে পারে– এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আপনারা জানেন রাজনৈতিক দল হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জামায়াতের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট যথেষ্ট নয়। এই আইনটি সংশোধন করা দরকার এবং এবং সেই সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। আমি এতটুকুই বলবো, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন।
সংবিধানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় হাইকোর্টে দলটির নিবন্ধন বাতিলের পর আপিল বিভাগের থাকা মামলাটি নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবো না। কারণ এটি বিচারাধীন বিষয়। আমি বিচারাধীন বিষয়ে কখনও কথা বলি না।
বিচারকদের কর্মশালায় নিজের বক্তব্য সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, জুডিশিয়াল ডিসিশন যেগুলো হয় সেগুলো লিড করে আপিল বিভাগ দেন। আপিল বিভাগ যে রায়গুলো দেন তা হলো জাজমেন্টাল ল। মানে সেটিকেও আইন ধরা হয়। কারণ এই রায়কে আইনের সমমর্যাদা দেওয়া হয়। আমি যেটি বলতে চাচ্ছিলাম (কর্মশালায়) তা হলো, এই রায়গুলোকে যেন সবসময় শ্রদ্ধা করা হয় এবং এর বৈপরীত্য যেন করা না হয়। সেটাকেই বলে জুডিশিয়াল ডিসিপ্লিন। সেটাকেই রক্ষা করতে হবে।