নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) অনেকগুলো মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে। এর মধ্যে অলিখিত এক নম্বর তালিকায় যে মন্ত্রণালয়টি আছে, সেটি হচ্ছে জিয়া পরিবার ও বিএনপি নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করা মন্ত্রণালয়।’
গতকাল শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ আংশিক সত্য কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করে৷ পানি যেমন কাটা যায় না, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ ও বিএনপিকে আলাদা করা যায় না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং শহীদ জিয়াউর রহমান পানির মতো সমান্তরাল। এর মাঝখানে যতই কাটার চেষ্টা করা হোক, তা কখনোই সম্ভব নয়। আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন মন্ত্রীও আছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যাদের বয়স ছিল তিন বছর। আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন বাতিল হয়ে গেছে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১১ বছর। বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং বিএনপি, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ জিয়া, প্রকৃত রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং খালেদা জিয়াকে পানি যেভাবে কেটে আলাদা করা যায় না, সেভাবে আলাদা করা যায় না। তাই তার মুক্তি আজ একান্ত প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, মূল স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অসমাপ্ত যে কাজ, সেই কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য জিয়া পরিবারের নেতৃত্ব দরকার।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম (বীর প্রতীক), বিএনপি চেয়ারপার্সেন উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাড. ফজলুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।