ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক যেমন হবে

  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : দিনের বড় একটা অংশ আমরা কাটাই কর্মস্থলে। কাজের জায়গাটাই হয়ে যায় সেকেন্ড হোম। অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটানোর ফলে পরিবারের পরে সহকর্মীরাই আমাদের আপনজন হয়ে উঠেন। তবে যতই কাছের সম্পর্কই তৈরি হোক না কেন আমাদের আমাদের উচিত পেশাদার পরিবেশে পেশাদার ব্যবহার করা। সবাইকে শ্রদ্ধা করে, নিজের কাজকে মূল ফোকাসে রেখে কাজের সময়টা ব্যবহার করা। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে চলুন জেনে নিই-
সৌজন্যবোধ
সবার সঙ্গে সৌজন্যবোধ বজায় রেখে চলতে হবে। কার পোশাক কেমন, কে দেখতে কেমন, কার ব্যক্তিগত জীবন কেমন—এ ধরনের কথাবার্তা কর্মস্থলে খুবই অশোভনীয়। কর্মস্থলে ব্যক্তিগত যেকোনো আলাপ এড়িয়ে চলাই ভালো।
কথা বলুন ধীরে, নিচু স্বরে
কর্মক্ষেত্রে চিৎকার করা কিংবা খুব উচ্চস্বরে কথা বলা অভদ্রতার পরিচয়। ধীরে এবং স্পষ্টভাবে কথা বলুন। অযথা কিংবা রেগে গিয়ে চিৎকার করা-কোনোটাই ঠিক না। পরিস্থিতি যেমনই হোক মাথা ঠান্ডা রেখে সেটা মিটিয়ে নিন।
বন্ধুত্ব বা সুসম্পর্কে পক্ষপাতিত্ব নয়
অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকার ফলে সহকর্মীদের মাঝে কেউ কেউ বন্ধুও হয়ে উঠেন। কাজের শেষে একসঙ্গে খেতে যাওয়া, এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি হতেই পারে। এতে কোনো ক্ষতি নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত এই সম্পর্ক কর্মস্থলে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে। কোনোভাবেই যেন পক্ষপাতিত্ব না আসে।
নালিশ নয়
সহকর্মীর কোনো আচরণে কষ্ট পেলে বা বিরক্ত হলে তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রথমেই কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে নালিশ করতে যাবেন না। এটি শিশুসুলভ আচরণ। আপনি যদি একটা সমস্যা নিজে কথা বলে সমাধান না করতে পারেন তখন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। সেক্ষেত্রেও নালিশ না করে পুরো ব্যাপারটা জানান এবং সমাধান চেয়ে নিন।
ব্যক্তিগত সম্পর্কে সতর্কতা
একই অফিসে কাজ করতে করতে দুজনের মধ্যে নির্ভরতা বা ভালোলাগা তৈরি হতেই পারে। তবে এই জাতীয় বিষয় যতটা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কোনো কারণে যদি সম্পর্ক ভেঙে যায় তখন দুজনের জন্যই একই জায়গায় কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনে যোগাযোগ নয়
ছুটির দিনে খুব প্রয়োজন না হলে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। অপ্রয়োজনে ফোন করা বা সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ তার ব্যক্তি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তিনি নিজেও বিরক্ত হতে পারেন।
হিংসা নয়, সহযোগিতা
সহকর্মীর পদোন্নতি কিংবা বড় দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে হিংসা না করে বরং শুভেচ্ছা জানান। বড় কাজগুলোতে সাহায্য করুন। চমৎকার টিমওয়ার্কের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে।
ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন
চেষ্টা করুন সবসময় হাসিখুশি থাকার। চারপাশ থেকে নেতিবাচকতা যেন নিজের ভেতর আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি হতাশ বোধ করেন তবে তা মোকাবিলা করার কৌশলগুলো প্রয়োগ করুন। তবে সেক্ষেত্রে আশেপাশে থাকা মানুষের যেন সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখুন। হেডফোনে গান শুনুন কিংবা একটু হেঁটে আসুন বাইরে থেকে। এক মগ চা/কফি নিয়ে বারান্দায় বা ক্যাফেটেরিয়ায় বসে সামলে নিন নিজেকে।
শুধু নিজের কাজ নিয়ে চিন্তা করুন
হয়তো কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে একজন ফোন চালাচ্ছেন, কেউ হয়তো কাজ বাদ দিয়ে গেম খেলছেন। আপনি বিষয়টি খেয়াল করলেও সেই খেয়াল করা পর্যন্তই থাকুন। এটাকে ইস্যু বানানোর কোনো দরকার নেই। কে কী করল, কে কী করল না তাতে আপনার ঢুকে কাজ নেই। আপনি শুধু আপনার কাজ নিয়ে ভাবুন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক যেমন হবে

আপডেট সময় : ১০:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : দিনের বড় একটা অংশ আমরা কাটাই কর্মস্থলে। কাজের জায়গাটাই হয়ে যায় সেকেন্ড হোম। অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটানোর ফলে পরিবারের পরে সহকর্মীরাই আমাদের আপনজন হয়ে উঠেন। তবে যতই কাছের সম্পর্কই তৈরি হোক না কেন আমাদের আমাদের উচিত পেশাদার পরিবেশে পেশাদার ব্যবহার করা। সবাইকে শ্রদ্ধা করে, নিজের কাজকে মূল ফোকাসে রেখে কাজের সময়টা ব্যবহার করা। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে চলুন জেনে নিই-
সৌজন্যবোধ
সবার সঙ্গে সৌজন্যবোধ বজায় রেখে চলতে হবে। কার পোশাক কেমন, কে দেখতে কেমন, কার ব্যক্তিগত জীবন কেমন—এ ধরনের কথাবার্তা কর্মস্থলে খুবই অশোভনীয়। কর্মস্থলে ব্যক্তিগত যেকোনো আলাপ এড়িয়ে চলাই ভালো।
কথা বলুন ধীরে, নিচু স্বরে
কর্মক্ষেত্রে চিৎকার করা কিংবা খুব উচ্চস্বরে কথা বলা অভদ্রতার পরিচয়। ধীরে এবং স্পষ্টভাবে কথা বলুন। অযথা কিংবা রেগে গিয়ে চিৎকার করা-কোনোটাই ঠিক না। পরিস্থিতি যেমনই হোক মাথা ঠান্ডা রেখে সেটা মিটিয়ে নিন।
বন্ধুত্ব বা সুসম্পর্কে পক্ষপাতিত্ব নয়
অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকার ফলে সহকর্মীদের মাঝে কেউ কেউ বন্ধুও হয়ে উঠেন। কাজের শেষে একসঙ্গে খেতে যাওয়া, এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি হতেই পারে। এতে কোনো ক্ষতি নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত এই সম্পর্ক কর্মস্থলে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে। কোনোভাবেই যেন পক্ষপাতিত্ব না আসে।
নালিশ নয়
সহকর্মীর কোনো আচরণে কষ্ট পেলে বা বিরক্ত হলে তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রথমেই কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে নালিশ করতে যাবেন না। এটি শিশুসুলভ আচরণ। আপনি যদি একটা সমস্যা নিজে কথা বলে সমাধান না করতে পারেন তখন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। সেক্ষেত্রেও নালিশ না করে পুরো ব্যাপারটা জানান এবং সমাধান চেয়ে নিন।
ব্যক্তিগত সম্পর্কে সতর্কতা
একই অফিসে কাজ করতে করতে দুজনের মধ্যে নির্ভরতা বা ভালোলাগা তৈরি হতেই পারে। তবে এই জাতীয় বিষয় যতটা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কোনো কারণে যদি সম্পর্ক ভেঙে যায় তখন দুজনের জন্যই একই জায়গায় কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনে যোগাযোগ নয়
ছুটির দিনে খুব প্রয়োজন না হলে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। অপ্রয়োজনে ফোন করা বা সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ তার ব্যক্তি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তিনি নিজেও বিরক্ত হতে পারেন।
হিংসা নয়, সহযোগিতা
সহকর্মীর পদোন্নতি কিংবা বড় দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে হিংসা না করে বরং শুভেচ্ছা জানান। বড় কাজগুলোতে সাহায্য করুন। চমৎকার টিমওয়ার্কের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে।
ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন
চেষ্টা করুন সবসময় হাসিখুশি থাকার। চারপাশ থেকে নেতিবাচকতা যেন নিজের ভেতর আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি হতাশ বোধ করেন তবে তা মোকাবিলা করার কৌশলগুলো প্রয়োগ করুন। তবে সেক্ষেত্রে আশেপাশে থাকা মানুষের যেন সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখুন। হেডফোনে গান শুনুন কিংবা একটু হেঁটে আসুন বাইরে থেকে। এক মগ চা/কফি নিয়ে বারান্দায় বা ক্যাফেটেরিয়ায় বসে সামলে নিন নিজেকে।
শুধু নিজের কাজ নিয়ে চিন্তা করুন
হয়তো কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে একজন ফোন চালাচ্ছেন, কেউ হয়তো কাজ বাদ দিয়ে গেম খেলছেন। আপনি বিষয়টি খেয়াল করলেও সেই খেয়াল করা পর্যন্তই থাকুন। এটাকে ইস্যু বানানোর কোনো দরকার নেই। কে কী করল, কে কী করল না তাতে আপনার ঢুকে কাজ নেই। আপনি শুধু আপনার কাজ নিয়ে ভাবুন।