ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

২০২০ সালে অতিরিক্ত মাদক সেবনে ৯৩ হাজার মার্কিনের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০১:১৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুর মিছিলের মধ্যেই এত মৃত্যু দেখেছে দেশটি। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে ২১ হাজারের বেশি। এর আগে এক বছরে মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এত মৃত্যু ঘটেনি। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় গত বুধবার প্রাথমিক উপাত্তের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্র্রোলের (সিডিসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। সিডিসি জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে ৯৩ হাজার ৩৩১ জন মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে মারা গেছে। ১৯৯৯ সাল থেকে দেশটিতে মাদকের ভয়াবহতা শুরুর পর ৯ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরে শুধু অপিওয়েডের মাত্রাধিক্যের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার ৭১০ জনের। এই শ্রেণির ওষুধ সাধারণত ব্যথার উপশমে ব্যবহার করা হয়। তবে মাদক হিসেবেও ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগের বছরে অপিওয়েডের মাত্রাধিক্যে মৃত্যু হয় ৫০ হাজার ৯৬৩ জনের। আর ১৯৯৯ সাল থেকে অপিওয়েড চিকিৎসকের পরামর্শে এবং এর বাইরে অবৈধভাবে মাত্রাধিক গ্রহণ করে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের।
অপিওয়েডের পরই মেথামফেটামিন ও কোকেন মাত্রাধিক্য গ্রহণে বেশি মৃত্যু হয়েছে। মাদকের মাত্রাধিক্যের জেরে এ মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের কমবেশি প্রায় সব অঙ্গরাজ্য। এর মধ্যে ভেরমন্ট, কেন্টাকি, দণি ক্যারোলাইনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুর পরিমাণ বেশি। ক্যালিফোর্নিয়ায় গত বছরের তুলনায় এ মৃত্যু ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে বেশি ভেরমন্টে মৃত্যু বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপরই কেন্টাকিতে মৃত্যু ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে মাদকের ব্যবহারের এই বৃদ্ধির পেছনে করোনাভাইরাসকেই অনেকটা দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মহামারির কারণে সৃষ্ট হতাশা থেকে মাদক গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে। এর সঙ্গে সায় মিলিয়েছেন সিডিসির সাবেক পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ডও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাঁরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

২০২০ সালে অতিরিক্ত মাদক সেবনে ৯৩ হাজার মার্কিনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:১৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুর মিছিলের মধ্যেই এত মৃত্যু দেখেছে দেশটি। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে ২১ হাজারের বেশি। এর আগে এক বছরে মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এত মৃত্যু ঘটেনি। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় গত বুধবার প্রাথমিক উপাত্তের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্র্রোলের (সিডিসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। সিডিসি জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে ৯৩ হাজার ৩৩১ জন মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে মারা গেছে। ১৯৯৯ সাল থেকে দেশটিতে মাদকের ভয়াবহতা শুরুর পর ৯ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরে শুধু অপিওয়েডের মাত্রাধিক্যের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার ৭১০ জনের। এই শ্রেণির ওষুধ সাধারণত ব্যথার উপশমে ব্যবহার করা হয়। তবে মাদক হিসেবেও ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগের বছরে অপিওয়েডের মাত্রাধিক্যে মৃত্যু হয় ৫০ হাজার ৯৬৩ জনের। আর ১৯৯৯ সাল থেকে অপিওয়েড চিকিৎসকের পরামর্শে এবং এর বাইরে অবৈধভাবে মাত্রাধিক গ্রহণ করে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের।
অপিওয়েডের পরই মেথামফেটামিন ও কোকেন মাত্রাধিক্য গ্রহণে বেশি মৃত্যু হয়েছে। মাদকের মাত্রাধিক্যের জেরে এ মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের কমবেশি প্রায় সব অঙ্গরাজ্য। এর মধ্যে ভেরমন্ট, কেন্টাকি, দণি ক্যারোলাইনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুর পরিমাণ বেশি। ক্যালিফোর্নিয়ায় গত বছরের তুলনায় এ মৃত্যু ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে বেশি ভেরমন্টে মৃত্যু বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপরই কেন্টাকিতে মৃত্যু ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে মাদকের ব্যবহারের এই বৃদ্ধির পেছনে করোনাভাইরাসকেই অনেকটা দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মহামারির কারণে সৃষ্ট হতাশা থেকে মাদক গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে। এর সঙ্গে সায় মিলিয়েছেন সিডিসির সাবেক পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ডও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাঁরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।