প্রত্যাশা ডেস্ক : জাপানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাঁদে একটি মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান পাঠিয়েছে। মহাকাশযানটি গত মঙ্গলবার রাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করার আশা করে তারা। তাদের এই চন্দ্রাভিযানের নাম হাকুতো–আর এম১। যদি এই মিশন সফল হয়, তাহলে প্রথম কোনো বেসরকারি কোম্পানির ‘পা’ পড়বে চাঁদের পৃষ্ঠে।
মহাকাশযানটির ল্যান্ডারে আছে দুই চাকার একটি রোবট, যেটি একটি টেনিস বলের সমান। রোবটটি তৈরি করেছে জাপানি রোবট নির্মাতা কোম্পানি আইস্পেস। আরও আছে একটি রোভার, যেটি তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মহাকাশযানটি সফলভাবে অবতরণ করার পর এগুলো চাঁদের পৃষ্ঠে মোতায়েন করা হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে জাপানের এই মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চাঁদের পৃষ্ঠে সফলভাবে কোনো মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে মাত্র তিনটি দেশ। এই তিন দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। মহাকাশযানটি পাঠানো হয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের তৈরি ফ্যালকন–৯ রকেটে। রকেটটি গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উড্ডয়ন করে। চাঁদের উত্তর গোলার্ধে অবতরণের পরই দুটি পেলোড বা স্যাটেলাইট মোতায়েন করবে হাকুতো-আর। মহাকাশযানটিতে থাকা ল্যান্ডারটির উচ্চতা ২ মিটার, ওজন ৩৪০ কেজি। এর আগে চাঁদে পাঠানো মহাকাশযানগুলোর তুলনায় এটি অনেক ছোট। তবে এর মধ্যেই প্রয়োজনীয় সবই আছে। নিজের কক্ষপথে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে এটি অবতরণ করা হবে। এ সময় এটি ঘণ্টায় প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার বেগে ঘুরবে। আইস্পেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাকেশি হাকামাদা বলেন, তাঁদের এই চন্দ্রাভিযানের মাধ্যমে চাঁদে একের পর বাণিজ্যিক মিশন শুরুর পথ তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘এটা একটা বড় পরিবর্তন। এতে ভবিষ্যতে অন্য বেসরকারি কোম্পানি, এমনকি ছোট দেশগুলোর চন্দ্রাভিযানের জন্য আরও সুযোগ তৈরি হবে।’