ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

শিশুকে শেখান ১০ আদবকেতা

  • আপডেট সময় : ১০:২৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

পবিবার শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনের পীঠস্থান। বলা হয়ে থাকে পরিবার শিশুর প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র। শিশুর স্বভাব, আচার-আচরণ, শিষ্টাচার ও একজন ব্যক্তিত্বসম্পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠার মূল বীজ পরিবার থেকেই বপন হয়ে থাকে। মানুষের আচরণ দিয়েই বোঝা যায় একটি মানুষ কী ধরনের পরিবেশে বেড়ে উঠেছে বা তার পারিবারিক শিক্ষা কেমন। আসুন জেনে নিই শিশুকে শেখানো উচিত এমন কিছু আদবকেতা।
অন্যকে সম্মান করতে শেখানো: পরিবারের সবার সঙ্গে আপনার শিশু বেড়ে উঠছে। খেয়াল রাখুন তার আচরণের ওপর। বড়দের সম্মান করতে শেখাতে হবে এ সময়টাতেই। এ ক্ষেত্রে শিশু শিখবে আপনার কাছ থেকে। কাজেই আপনি বড়দের সম্মান করুন এবং ছোটদের করুন স্নেহ।
অন্যকে আগে দেওয়ার মানসিকতা: কোনো জিনিস শুরুতে নিজে না নিয়ে অন্যকে দেওয়া শিশুকে আদবকেতা শেখানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ¯Íর। যেমন দরজা খুলে প্রথমেই নিজে না বের হয়ে পাশে কেউ থাকলে তাকে বের হতে দেওয়া বা খাবার টেবিলে বসে শুরুতেই নিজের জন্য খাবার না নিয়ে অন্যকে দেওয়া। একজন ভদ্র মানুষ হতে এসব শিক্ষা শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা: শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে সবাই পছন্দ করে। ছোট-ছোট স্বরে শিশুরা কথা সুন্দর করে। তাদের কথা বলাও যেন একটা শিল্প। তাই শিশুর সঙ্গে বিনয়ীভাবে কথা বলুন। তাকে উৎসাহ দিন ফোনেও সুন্দর করে ও বিনয়ীভাবে কথা বলতে।
ধন্যবাদ বলতে শেখান: শিশুকে ধন্যবাদ বলতে শেখান। কারও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এটিই প্রথম লক্ষণ। ধন্যবাদ শব্দটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী। আপনার শিশুকে এই অভ্যাসে অভ্য¯Í করে তুলুন।
ভুল বা অন্যায় স্বীকার করা: শিশুরা ভুল করবে, এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। শিশুদের ছোট-ছোট ভুল বা অন্যায়গুলো সব সময় ক্ষমাযোগ্য। তবু শিশুদের তা স্বীকার করা মানসিকতা তৈরি করতে শেখাতে শিশু বয়স থেকেই।
সত্য বলার চর্চা: শিশুরা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য কিন্তু প্রথম থেকেই জানে না, তবে পরিবারে মিথ্যার চর্চার থাকলে শিশু তা রপ্ত করবে। কাজেই শিশুকে সত্য বলতে উৎসাহিত করুন।
ভুল করলে দুঃখ প্রকাশ করা: শিশু ভুল করলে অনুতপ্ত হতে শিক্ষা দিন। কারও প্রতি অন্যায় করলে বলতে শেখান সরি বা দুঃখিত। শিশু হয়ে ওঠে সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
অতিথি এলে খেতে বলা: বাড়িতে অতিথি এলে খেতে বলতে হয়—এই শিক্ষাটি শিশুকে দিন। শিশুকে ছোট থেকেই শেখান। তাহলে শিশু বড় হতে হতে এটা অভ্যাসে পরিণত হবে। শিশুর এই শিষ্টাচারে পুলকিত হবে অতিথি।
খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়া: খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়া ভদ্র ব্যক্তিত্বের লক্ষণ। এটি শিশুকে শেখান। এ ধরনের ছোট ছোট অভ্যাস শিশুকে চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে সাহায্য করবে।
অতিথিকে আবার আসতে বলা: অতিথি চলে যাওয়ার সময় সাধারণত পরিবারের শিশু সদস্যটির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময়টাতে অতিথিকে আবারও আসতে বলার অভ্যাস তৈরি করান আপনার শিশুকে। শিশুর এই আচরণে আপনার অতিথি হবে মুগ্ধ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিশুকে শেখান ১০ আদবকেতা

আপডেট সময় : ১০:২৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

পবিবার শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনের পীঠস্থান। বলা হয়ে থাকে পরিবার শিশুর প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র। শিশুর স্বভাব, আচার-আচরণ, শিষ্টাচার ও একজন ব্যক্তিত্বসম্পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠার মূল বীজ পরিবার থেকেই বপন হয়ে থাকে। মানুষের আচরণ দিয়েই বোঝা যায় একটি মানুষ কী ধরনের পরিবেশে বেড়ে উঠেছে বা তার পারিবারিক শিক্ষা কেমন। আসুন জেনে নিই শিশুকে শেখানো উচিত এমন কিছু আদবকেতা।
অন্যকে সম্মান করতে শেখানো: পরিবারের সবার সঙ্গে আপনার শিশু বেড়ে উঠছে। খেয়াল রাখুন তার আচরণের ওপর। বড়দের সম্মান করতে শেখাতে হবে এ সময়টাতেই। এ ক্ষেত্রে শিশু শিখবে আপনার কাছ থেকে। কাজেই আপনি বড়দের সম্মান করুন এবং ছোটদের করুন স্নেহ।
অন্যকে আগে দেওয়ার মানসিকতা: কোনো জিনিস শুরুতে নিজে না নিয়ে অন্যকে দেওয়া শিশুকে আদবকেতা শেখানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ¯Íর। যেমন দরজা খুলে প্রথমেই নিজে না বের হয়ে পাশে কেউ থাকলে তাকে বের হতে দেওয়া বা খাবার টেবিলে বসে শুরুতেই নিজের জন্য খাবার না নিয়ে অন্যকে দেওয়া। একজন ভদ্র মানুষ হতে এসব শিক্ষা শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা: শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে সবাই পছন্দ করে। ছোট-ছোট স্বরে শিশুরা কথা সুন্দর করে। তাদের কথা বলাও যেন একটা শিল্প। তাই শিশুর সঙ্গে বিনয়ীভাবে কথা বলুন। তাকে উৎসাহ দিন ফোনেও সুন্দর করে ও বিনয়ীভাবে কথা বলতে।
ধন্যবাদ বলতে শেখান: শিশুকে ধন্যবাদ বলতে শেখান। কারও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এটিই প্রথম লক্ষণ। ধন্যবাদ শব্দটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী। আপনার শিশুকে এই অভ্যাসে অভ্য¯Í করে তুলুন।
ভুল বা অন্যায় স্বীকার করা: শিশুরা ভুল করবে, এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। শিশুদের ছোট-ছোট ভুল বা অন্যায়গুলো সব সময় ক্ষমাযোগ্য। তবু শিশুদের তা স্বীকার করা মানসিকতা তৈরি করতে শেখাতে শিশু বয়স থেকেই।
সত্য বলার চর্চা: শিশুরা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য কিন্তু প্রথম থেকেই জানে না, তবে পরিবারে মিথ্যার চর্চার থাকলে শিশু তা রপ্ত করবে। কাজেই শিশুকে সত্য বলতে উৎসাহিত করুন।
ভুল করলে দুঃখ প্রকাশ করা: শিশু ভুল করলে অনুতপ্ত হতে শিক্ষা দিন। কারও প্রতি অন্যায় করলে বলতে শেখান সরি বা দুঃখিত। শিশু হয়ে ওঠে সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
অতিথি এলে খেতে বলা: বাড়িতে অতিথি এলে খেতে বলতে হয়—এই শিক্ষাটি শিশুকে দিন। শিশুকে ছোট থেকেই শেখান। তাহলে শিশু বড় হতে হতে এটা অভ্যাসে পরিণত হবে। শিশুর এই শিষ্টাচারে পুলকিত হবে অতিথি।
খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়া: খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়া ভদ্র ব্যক্তিত্বের লক্ষণ। এটি শিশুকে শেখান। এ ধরনের ছোট ছোট অভ্যাস শিশুকে চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে সাহায্য করবে।
অতিথিকে আবার আসতে বলা: অতিথি চলে যাওয়ার সময় সাধারণত পরিবারের শিশু সদস্যটির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময়টাতে অতিথিকে আবারও আসতে বলার অভ্যাস তৈরি করান আপনার শিশুকে। শিশুর এই আচরণে আপনার অতিথি হবে মুগ্ধ।