ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

হরমোন থেরাপিতে কমবে নারীর ডিমেনশিয়া ঝুঁকি

  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : রজঃনিবৃত্তির স্বাভাবিক বয়সসীমার আগেই মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ দেখা দিতে পারে। তবে দ্রুত হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি নিলে এই ঝুঁকি কমে আসার সম্ভাবনা দেখা গেছে এক গবেষণায়। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের বরাতে গার্ডিয়ান লিখেছে, যদিও এ গবেষণার ফলাফল এখনও পরীক্ষাধীন, আরও বড় আকারে গবেষণা চালালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব। গবেষণায় প্রাথমিক পরামর্শ হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ামাত্র হরমোন থেরাপি শুরু হলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেই সঙ্গে মেনোপজের কারণে হৃদরোগ ও অন্যান্য শরীরিক জটিলতার উপশমেও কার্যকর হতে পারে এই হরমোন থেরাপি। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে বস্টন শহরে ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেনস হসপিটাল থেকে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণাপত্রের জ্যেষ্ঠ লেখক জোয়ান ম্যানসন বলেন, ”হরমোন থেরাপির বেলায় সময়টাই হচ্ছে আসল।”
কোনো নারীর ডিম্বাশয় হরমোন উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে চল্লিশের আগেই যদি মাসিক চক্র থেমে যায়, তাকে বলে অকাল রজঃনিবৃত্তি। কারো এমন হলে বুঝতে হবে স্বাভাবিক সময়ের অনেক আগেই তার মেনোপজ ঘটছে। গার্ডিয়ান লিখেছে, ১০ শতাংশ নারীর বেলায় অকাল মেনোপজ ঘটে থাকে। আর এই সময়ে আলঝেইমার্স দেখা দেওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকিও রয়েছে। তবে যৌন হরমোনগুলো কতটা এর জন্য দায়ী তা এখনও স্পষ্ট নয় গবেষকদের কাছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস অফিস অন উইমেন হেলথের তথ্য অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের স্বাভাবিক রজঃনিবৃত্তির বয়স গড়ে ৫২ বছর। আর বাংলাদেশে তা ৫১ বছর বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটি। মেয়েদের ওভারি বা ডিম্বাশয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিম্বাণু থাকে এবং ঋতুমতি হওয়ার পর প্রতি মাসে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়। বয়স ৫০ পার হলে ডিম্বাণু শেষ হয়ে যায়। তখন মেনস্ট্রুয়েশন বা মাসিক বন্ধ হয়ে যায়; এটাই হল মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি। হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি বা এইচআরটি অনেক ধরনের মেনোপজ উপসর্গ থেকে রেহাই দিতে পারে। হট ফ্ল্যাশ থেকে রাতে ঘাম এবং মুড সুইংয়ের প্রকোপ কমিয়ে আনা যায় এই থেরাপি নিলে। গবেষকরা অবশ্য এখনই মস্তিষ্কে হরমোন থেরাপির কার্যকারিতা নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না। আবার দেরি করে হরমোন থেরাপি শুরু করা হলে তা মস্তিস্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও তারা মনে করছেন। এ গবেষণায় ১৯৩ জন নারী ও ৯৯ জন পুরুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে বেটা-অ্যামিলয়েড ও টাউ নামের দুই প্রোটিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখা হয়। মূলত এই দুই প্রোটিনই অ্যালঝেইমার হওয়ার কারণ হয়ে ওঠে। পুরুষের চেয়ে নারীর অ্যালঝেইমার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানাচ্ছে দ্য গার্ডিয়ান।
গবেষকরা পরীক্ষায় দেখেছেন, সমবয়সী পুরুষের চেয়ে নারীর মস্তিষ্কে টাউ প্রোটিনের মাত্রা বেশি; বিশেষ করে যদি অ্যামিলয়েডের উপস্থিতি উচ্চ মাত্রায় থাকে। অকাল মেনোপজ ঘটেছে এমন নারীদের বেলায় তাদের মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড ও টাউ পাওয়া গেছে অস্বাভাবিক মাত্রায়। আরেকটু গভীরে গিয়ে গবেষণা করে হরমোন থেরাপির সঙ্গে অতিমাত্রায় প্রোটিন তৈরির যোগসূত্র খুঁজে দেখার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা।

মেনোপজের পাঁচ বছর বা আরও পরে যারা হরমোন থেরাপি নিতে শুরু করেছেন তাদের বেলার এর সত্যতাও মিলেছে।
“মানসিক দশার উপর হরমোন থেরাপির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যদিও এমনটা তখনই ঘটে যদি মেনোপজ হওয়া কয়েক বছর পর এই থেরাপি শুরু হয়”, বললেন এই গবেষণাপত্রের আরেক লেখক জিলিয়ান কফলান। গবেষণার লেখকরা বলছেন, তাদের হাতে থাকা তথ্যের সাথে মেডিকেল নির্দেশনার সামঞ্জস্য আছে। তাই বলা যায়, এইচআরটি উপকারী যদি মেনোপজের সময়ই তা প্রয়োগ করা হয়। যদি মেনোপজ হওয়া নারী দেরি করে এইচআরটি নেন, তবেই ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। আলঝেইমারস রিসার্চ ইউকে সংস্থার গবেষণা প্রধান সারা ইমারিসিও বলেন, ”গবেষণার তথ্য ভাবনার খোরাক জোগালেও হরমোন থেরাপির কারণে আলঝেইমার হয় এমন কোনো যোগসূত্র মেলেনি। ”যারা গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ওই সময় ডিমেনশিয়ার কোনো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না তা আমলে নেননি গবেষকরা। সেক্ষেত্রে এ ধরনের গবেষণা থেকে কারণ ও প্রভাব নিয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।” মেনোপজ এবং এইচআরটি কী করে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে এ নিয়ে বিস্তর জানার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ”আমাদের আরও বড় পরিসরে গবেষণায় যেতে হবে। বিধি মেনে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা যেতে হবে গবেষণার দুর্বোধ্য জায়গাগুলো খোলাসা করতে, যেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাওয়া অনিশ্চিত তথ্যগুলোর একটি অর্থবহ পরিণাম দেওয়া যায়।”
সারা ইমারিসিও বলেন, ”বুদ্ধিশক্তির উপর হরমোন থেরাপির সফলতা নিয়ে আগের কিছু গবেষণা রয়েছে। আবার কিছু গবেষণা স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানাচ্ছে। ”নতুন এই গবেষণাটি আলোচনায় ভিন্ন মাত্রা আনলেও, আমরা এখনও হরমোন থেরাপি ও আলঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে পারিনি।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হরমোন থেরাপিতে কমবে নারীর ডিমেনশিয়া ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১১:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : রজঃনিবৃত্তির স্বাভাবিক বয়সসীমার আগেই মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ দেখা দিতে পারে। তবে দ্রুত হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি নিলে এই ঝুঁকি কমে আসার সম্ভাবনা দেখা গেছে এক গবেষণায়। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের বরাতে গার্ডিয়ান লিখেছে, যদিও এ গবেষণার ফলাফল এখনও পরীক্ষাধীন, আরও বড় আকারে গবেষণা চালালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব। গবেষণায় প্রাথমিক পরামর্শ হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ামাত্র হরমোন থেরাপি শুরু হলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেই সঙ্গে মেনোপজের কারণে হৃদরোগ ও অন্যান্য শরীরিক জটিলতার উপশমেও কার্যকর হতে পারে এই হরমোন থেরাপি। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে বস্টন শহরে ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেনস হসপিটাল থেকে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণাপত্রের জ্যেষ্ঠ লেখক জোয়ান ম্যানসন বলেন, ”হরমোন থেরাপির বেলায় সময়টাই হচ্ছে আসল।”
কোনো নারীর ডিম্বাশয় হরমোন উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে চল্লিশের আগেই যদি মাসিক চক্র থেমে যায়, তাকে বলে অকাল রজঃনিবৃত্তি। কারো এমন হলে বুঝতে হবে স্বাভাবিক সময়ের অনেক আগেই তার মেনোপজ ঘটছে। গার্ডিয়ান লিখেছে, ১০ শতাংশ নারীর বেলায় অকাল মেনোপজ ঘটে থাকে। আর এই সময়ে আলঝেইমার্স দেখা দেওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকিও রয়েছে। তবে যৌন হরমোনগুলো কতটা এর জন্য দায়ী তা এখনও স্পষ্ট নয় গবেষকদের কাছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস অফিস অন উইমেন হেলথের তথ্য অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের স্বাভাবিক রজঃনিবৃত্তির বয়স গড়ে ৫২ বছর। আর বাংলাদেশে তা ৫১ বছর বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটি। মেয়েদের ওভারি বা ডিম্বাশয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিম্বাণু থাকে এবং ঋতুমতি হওয়ার পর প্রতি মাসে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়। বয়স ৫০ পার হলে ডিম্বাণু শেষ হয়ে যায়। তখন মেনস্ট্রুয়েশন বা মাসিক বন্ধ হয়ে যায়; এটাই হল মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি। হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি বা এইচআরটি অনেক ধরনের মেনোপজ উপসর্গ থেকে রেহাই দিতে পারে। হট ফ্ল্যাশ থেকে রাতে ঘাম এবং মুড সুইংয়ের প্রকোপ কমিয়ে আনা যায় এই থেরাপি নিলে। গবেষকরা অবশ্য এখনই মস্তিষ্কে হরমোন থেরাপির কার্যকারিতা নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না। আবার দেরি করে হরমোন থেরাপি শুরু করা হলে তা মস্তিস্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও তারা মনে করছেন। এ গবেষণায় ১৯৩ জন নারী ও ৯৯ জন পুরুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে বেটা-অ্যামিলয়েড ও টাউ নামের দুই প্রোটিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখা হয়। মূলত এই দুই প্রোটিনই অ্যালঝেইমার হওয়ার কারণ হয়ে ওঠে। পুরুষের চেয়ে নারীর অ্যালঝেইমার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানাচ্ছে দ্য গার্ডিয়ান।
গবেষকরা পরীক্ষায় দেখেছেন, সমবয়সী পুরুষের চেয়ে নারীর মস্তিষ্কে টাউ প্রোটিনের মাত্রা বেশি; বিশেষ করে যদি অ্যামিলয়েডের উপস্থিতি উচ্চ মাত্রায় থাকে। অকাল মেনোপজ ঘটেছে এমন নারীদের বেলায় তাদের মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড ও টাউ পাওয়া গেছে অস্বাভাবিক মাত্রায়। আরেকটু গভীরে গিয়ে গবেষণা করে হরমোন থেরাপির সঙ্গে অতিমাত্রায় প্রোটিন তৈরির যোগসূত্র খুঁজে দেখার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা।

মেনোপজের পাঁচ বছর বা আরও পরে যারা হরমোন থেরাপি নিতে শুরু করেছেন তাদের বেলার এর সত্যতাও মিলেছে।
“মানসিক দশার উপর হরমোন থেরাপির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যদিও এমনটা তখনই ঘটে যদি মেনোপজ হওয়া কয়েক বছর পর এই থেরাপি শুরু হয়”, বললেন এই গবেষণাপত্রের আরেক লেখক জিলিয়ান কফলান। গবেষণার লেখকরা বলছেন, তাদের হাতে থাকা তথ্যের সাথে মেডিকেল নির্দেশনার সামঞ্জস্য আছে। তাই বলা যায়, এইচআরটি উপকারী যদি মেনোপজের সময়ই তা প্রয়োগ করা হয়। যদি মেনোপজ হওয়া নারী দেরি করে এইচআরটি নেন, তবেই ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। আলঝেইমারস রিসার্চ ইউকে সংস্থার গবেষণা প্রধান সারা ইমারিসিও বলেন, ”গবেষণার তথ্য ভাবনার খোরাক জোগালেও হরমোন থেরাপির কারণে আলঝেইমার হয় এমন কোনো যোগসূত্র মেলেনি। ”যারা গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ওই সময় ডিমেনশিয়ার কোনো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না তা আমলে নেননি গবেষকরা। সেক্ষেত্রে এ ধরনের গবেষণা থেকে কারণ ও প্রভাব নিয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।” মেনোপজ এবং এইচআরটি কী করে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে এ নিয়ে বিস্তর জানার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ”আমাদের আরও বড় পরিসরে গবেষণায় যেতে হবে। বিধি মেনে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা যেতে হবে গবেষণার দুর্বোধ্য জায়গাগুলো খোলাসা করতে, যেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাওয়া অনিশ্চিত তথ্যগুলোর একটি অর্থবহ পরিণাম দেওয়া যায়।”
সারা ইমারিসিও বলেন, ”বুদ্ধিশক্তির উপর হরমোন থেরাপির সফলতা নিয়ে আগের কিছু গবেষণা রয়েছে। আবার কিছু গবেষণা স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানাচ্ছে। ”নতুন এই গবেষণাটি আলোচনায় ভিন্ন মাত্রা আনলেও, আমরা এখনও হরমোন থেরাপি ও আলঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে পারিনি।”