ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক পিসি সরবরাহে পতন এক তৃতীয়াংশ

  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বেশ কয়েক মাস ধরেই নড়বড়ে অবস্থায় চলছে পিসি’র বাজার। তবে সম্প্রতি এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গিয়েছে– এমনই অনুমান প্রকাশ করেছে নির্ভরযোগ্য দুই বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি।
‘ক্যানালিস’ ও ‘আইডিসি’র অনুমান বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক কম্পিউটারের সরবরাহ কমেছে ২৯ থেকে ৩৩ শতাংশ। বড়দিনের প্রান্তিক হিসাবে এটি বিশাল এক পতন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এবার কোনো শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডই এই মন্দার বাজে প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
বৈশ্বিক পিসি বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এইচপি এই মন্দার প্রভাব থেকে তুলনামূলক কম ক্ষতির মুখ দেখলেও তাদের সরবরাহ কমেছে ২৪ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বাজে ফলাফল দেখেছে অ্যাপল। তাদের সরবরাহ কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। আসুস, ডেল ও লেনোভো’র সরবরাহও কমেছে ৩০ শতাংশ করে। এই পতনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা হয়ত অনেকের কাছে পরিচিত মনে হতে পারে। গ্রাহকরা এমন এক অশান্ত অর্থনীতিতে পিসি কিনতে অনিচ্ছুক, যেখানে মুদ্রাস্ফীতি লাগামহীনভাবে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ও বাসা-থেকে-কাজের ফলে মহামারীতে ফুলে ফেঁপে ওঠা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের হয় নতুন পিসি কেনার সামর্থ্য নেই অথবা তাদের কাছে যা আছে, তাতেই কাজ চলছে। তবে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অ্যাপল কীভাবে এতোটা বাজে ফলাফল দেখালো, সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে কোম্পানিটি সাধারণত উচ্চ পর্যায়ের বাজারকে লক্ষ্য করে বাজারে পণ্য ছাড়ে। আর এটি কোনো দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট। টেকক্রাঞ্চ বলছে, অ্যাপল ‘ইন-হাউজ চিপ’ ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ায় এটি তাদের বিভিন্ন এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়াতে সহায়তা করতো, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেটির সম্মুখীন হয়েছেন উইন্ডোজের সরবরাহকরা। তবে, কোম্পানির জন্য হয়তো ওই মধুচন্দ্রিমার মুহুর্তও সমাপ্তির পথে। বিশ্লেষক কোম্পানিগুলো এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাবও প্রকাশ করেছে। ক্যানালিসের অনুমান বলছে, এটি ২০২৩ সালে পিসি’র বাজারের সবচেয়ে বাজে পতন। তবে, বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যেই এই পরিস্থিতি বদলে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কোম্পানি দুটি। সে সময় বিভিন্ন পুরনো কম্পিউটারের আপগ্রেডের জন্য বিবেচিত, যেখানে স্কুলগুলোতে ক্রোমবুক ও বিভিন্ন ব্যবসার উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট আসবে। এই গতি কমে যাওয়াকে ‘বিভিন্ন উৎপাদকের কারখানা চীনের বাইরে সরানোর সুযোগ’ হিসেবে দেখছে আইডিসি। তবে এখনও কিছু সতর্কবার্তা রয়েছে। আইডিসি’র সতর্ক করেছে, ২০২৪ সালে এই মন্দা অব্যাহত থাকলে পিসি শিল্প ‘অস্থিরতার’ দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এই শিল্পের বাজারের সবচেয়ে বাজে দিনগুলো শেষ হলেও আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগতে পারে। কোনো ব্র্যান্ড নিজেদের তুলনামূলক সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন ‘অস্বাভাবিক নকশা’ নিয়ে নিরীক্ষা না চালিয়ে যদি তাদের প্রচলিত পণ্য বিক্রি করতে থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক পিসি সরবরাহে পতন এক তৃতীয়াংশ

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : বেশ কয়েক মাস ধরেই নড়বড়ে অবস্থায় চলছে পিসি’র বাজার। তবে সম্প্রতি এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গিয়েছে– এমনই অনুমান প্রকাশ করেছে নির্ভরযোগ্য দুই বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি।
‘ক্যানালিস’ ও ‘আইডিসি’র অনুমান বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক কম্পিউটারের সরবরাহ কমেছে ২৯ থেকে ৩৩ শতাংশ। বড়দিনের প্রান্তিক হিসাবে এটি বিশাল এক পতন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এবার কোনো শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডই এই মন্দার বাজে প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
বৈশ্বিক পিসি বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এইচপি এই মন্দার প্রভাব থেকে তুলনামূলক কম ক্ষতির মুখ দেখলেও তাদের সরবরাহ কমেছে ২৪ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বাজে ফলাফল দেখেছে অ্যাপল। তাদের সরবরাহ কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। আসুস, ডেল ও লেনোভো’র সরবরাহও কমেছে ৩০ শতাংশ করে। এই পতনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা হয়ত অনেকের কাছে পরিচিত মনে হতে পারে। গ্রাহকরা এমন এক অশান্ত অর্থনীতিতে পিসি কিনতে অনিচ্ছুক, যেখানে মুদ্রাস্ফীতি লাগামহীনভাবে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ও বাসা-থেকে-কাজের ফলে মহামারীতে ফুলে ফেঁপে ওঠা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের হয় নতুন পিসি কেনার সামর্থ্য নেই অথবা তাদের কাছে যা আছে, তাতেই কাজ চলছে। তবে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অ্যাপল কীভাবে এতোটা বাজে ফলাফল দেখালো, সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে কোম্পানিটি সাধারণত উচ্চ পর্যায়ের বাজারকে লক্ষ্য করে বাজারে পণ্য ছাড়ে। আর এটি কোনো দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট। টেকক্রাঞ্চ বলছে, অ্যাপল ‘ইন-হাউজ চিপ’ ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ায় এটি তাদের বিভিন্ন এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়াতে সহায়তা করতো, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেটির সম্মুখীন হয়েছেন উইন্ডোজের সরবরাহকরা। তবে, কোম্পানির জন্য হয়তো ওই মধুচন্দ্রিমার মুহুর্তও সমাপ্তির পথে। বিশ্লেষক কোম্পানিগুলো এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাবও প্রকাশ করেছে। ক্যানালিসের অনুমান বলছে, এটি ২০২৩ সালে পিসি’র বাজারের সবচেয়ে বাজে পতন। তবে, বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যেই এই পরিস্থিতি বদলে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কোম্পানি দুটি। সে সময় বিভিন্ন পুরনো কম্পিউটারের আপগ্রেডের জন্য বিবেচিত, যেখানে স্কুলগুলোতে ক্রোমবুক ও বিভিন্ন ব্যবসার উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট আসবে। এই গতি কমে যাওয়াকে ‘বিভিন্ন উৎপাদকের কারখানা চীনের বাইরে সরানোর সুযোগ’ হিসেবে দেখছে আইডিসি। তবে এখনও কিছু সতর্কবার্তা রয়েছে। আইডিসি’র সতর্ক করেছে, ২০২৪ সালে এই মন্দা অব্যাহত থাকলে পিসি শিল্প ‘অস্থিরতার’ দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এই শিল্পের বাজারের সবচেয়ে বাজে দিনগুলো শেষ হলেও আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগতে পারে। কোনো ব্র্যান্ড নিজেদের তুলনামূলক সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন ‘অস্বাভাবিক নকশা’ নিয়ে নিরীক্ষা না চালিয়ে যদি তাদের প্রচলিত পণ্য বিক্রি করতে থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।