ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

শরীর ঠা-া রাখে দই

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ভাজাপোড়া খাবারের চাইতে গরমে দই খাওয়া উপকারী। গরমে পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে শরীর আর্দ্র ও ঠা-া রাখা প্রয়োজন। দই শরীর ঠা-া রাখতে সহায়তা করে। ‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’ অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম দই থেকে মিলবে ৬১ কিলোক্যালরি, ৪.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি। এছাড়া দইয়ের শতকরা ৮১ শতাংশ পানি। দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস। ঠা-া রাখার পাশাপাশি দই শরীর সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে।
দইয়ের উপকারতা সম্পর্কে বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ মাসুদা বলেন, “দই শরীর ঠা-া রাখে। পেটের সুস্থতা এমনকি হাড় ও দাঁতের সুস্থতা রক্ষা করতেও সহায়তা করে।”
তিনি আরও জানান-
১। দইতে আছে ভালো ব্যাক্টেরিয়া যা হজমে সহায়তা করে, অন্ত্র ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
২। দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদপি- সুস্থ রাখা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩। দই শরীরের বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপি-কে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।
৪। গরমে শরীরে বেশি ঘাম হয়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরীর হয়ে পড়ে ক্লান্ত ও নিস্তেজ। দইয়ে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটা শরীরকে সতেজ অনুভূতি দেয়।
৫। দইয়ের সঙ্গে রসালো মিষ্টি ফল খাওয়া শরীর ও মন- ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৬। দই কেবল খেতে সুস্বাদু নয়, এটা পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
৭। দইতে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা ত্বক, দাঁত এবং হাঁড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দই হৃদযন্ত্র ও স্নায়ূ তন্ত্রের জন্য উপকারী।
৮। ‘আমেরিকান ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ’ অনুযায়ী এক কাপ দই দৈনিক চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করতে সহায়তা করে। শরীর ও ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন বি ১২ উপকারী।
৯। দইতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও বয়সের ছাপ কমাতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শরীর ঠা-া রাখে দই

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ভাজাপোড়া খাবারের চাইতে গরমে দই খাওয়া উপকারী। গরমে পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে শরীর আর্দ্র ও ঠা-া রাখা প্রয়োজন। দই শরীর ঠা-া রাখতে সহায়তা করে। ‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’ অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম দই থেকে মিলবে ৬১ কিলোক্যালরি, ৪.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি। এছাড়া দইয়ের শতকরা ৮১ শতাংশ পানি। দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস। ঠা-া রাখার পাশাপাশি দই শরীর সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে।
দইয়ের উপকারতা সম্পর্কে বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ মাসুদা বলেন, “দই শরীর ঠা-া রাখে। পেটের সুস্থতা এমনকি হাড় ও দাঁতের সুস্থতা রক্ষা করতেও সহায়তা করে।”
তিনি আরও জানান-
১। দইতে আছে ভালো ব্যাক্টেরিয়া যা হজমে সহায়তা করে, অন্ত্র ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
২। দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদপি- সুস্থ রাখা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩। দই শরীরের বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপি-কে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।
৪। গরমে শরীরে বেশি ঘাম হয়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরীর হয়ে পড়ে ক্লান্ত ও নিস্তেজ। দইয়ে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটা শরীরকে সতেজ অনুভূতি দেয়।
৫। দইয়ের সঙ্গে রসালো মিষ্টি ফল খাওয়া শরীর ও মন- ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৬। দই কেবল খেতে সুস্বাদু নয়, এটা পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
৭। দইতে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা ত্বক, দাঁত এবং হাঁড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দই হৃদযন্ত্র ও স্নায়ূ তন্ত্রের জন্য উপকারী।
৮। ‘আমেরিকান ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ’ অনুযায়ী এক কাপ দই দৈনিক চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করতে সহায়তা করে। শরীর ও ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন বি ১২ উপকারী।
৯। দইতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও বয়সের ছাপ কমাতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।