ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

রোজাদার গর্ভবতী মায়েদের জন্য পরামর্শ

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : পূর্ণবয়স্ক নারী পুরুষের উপর রমজানের রোজা ফরজ হলেও গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের বিষয়ে একটু বেশি সতর্কতার দরকার রয়েছে।
গর্ভবতী মায়ের সেহেরির খাবার যেমন হবে
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখতে চাইলে সেহেরিতে তাকে একজন স্বাভাবিক মানুষের খাদ্যতালিকার ন্যায় সুষম খাবার খেতে হবে। তাকে ক্যালরি ও আঁশযুক্ত খাবারের দিকে বেশি খেয়াল করা দরকার। গরমের সময় রোজা বলে পানিশূন্যতা ও শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে; এজন্য এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই ইফতার ও সেহেরির সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাছাড়া যেসব খাবারে গ্যাস হয় বা বুক জ্বালা করে সেহেরির সময় সেসব খাবারগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের মেন্যুতে আমিষ, শর্করা, সবুজ ও রঙিন শাক সব্জির সঙ্গে ডাল ও বাদাম জাতীয় খাবার এবং একটি দেশীয় ফল যেমন: কলা, পেঁয়াড়া ইত্যাদি রাখা উচিত।
গর্ভবতী মায়ের ইফতারের খাবার যেমন হবে
গর্ভবতী মায়েরা খেজুর, ফলের জুস খেয়ে ইফতার শুরু করতে পারেন। এতে তাদের রক্তের সুগার লেভেল ঠিক থাকবে। ইফতারির মেন্যুতে দুধও রাখা যায়। এছাড়া খাবারের তালিকায় সবজি, স্যুপ, সালাদ, মাছ, মাংস, প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন: ডাল, বাদামি চালের ভাত এবং গমের রুটি ইত্যাদি রাখতে পারেন।
রোজাদার গর্ভবতী মায়েদের জন্য কিছু সতর্কতামুলক পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় গুরুপাক, ভারি, ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও বাসি খাবার ইত্যাদি পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। ইফতার ও সেহেরিতে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। কোনো অবস্থাতেই সেহেরি না খেয়ে রোজা রাখার চেষ্টা করবেন না; তাতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি আঁশযুক্ত, প্রোটিনযুক্ত ও ফ্যাটসম্পন্ন খাবার গ্রহণ করুন। কারণ এসব উপাদান ধীরগতিতে পরিপাক হয় বিধায় ক্ষুধা কম লাগবে। রোজার সময় বেশি বিশ্রাম নিন ও দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলুন। এ সময় অনেকক্ষণ রোদে বা গরমে অবস্থান না করে বাতাস আছে এমন খোলামেলা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। পারলে রাতে খাবারের পর বিশ্রাম নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। ভালো থাকুন সবাই। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত হোক সব গর্ভবতী মায়ের!!

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রোজাদার গর্ভবতী মায়েদের জন্য পরামর্শ

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : পূর্ণবয়স্ক নারী পুরুষের উপর রমজানের রোজা ফরজ হলেও গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের বিষয়ে একটু বেশি সতর্কতার দরকার রয়েছে।
গর্ভবতী মায়ের সেহেরির খাবার যেমন হবে
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখতে চাইলে সেহেরিতে তাকে একজন স্বাভাবিক মানুষের খাদ্যতালিকার ন্যায় সুষম খাবার খেতে হবে। তাকে ক্যালরি ও আঁশযুক্ত খাবারের দিকে বেশি খেয়াল করা দরকার। গরমের সময় রোজা বলে পানিশূন্যতা ও শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে; এজন্য এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই ইফতার ও সেহেরির সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাছাড়া যেসব খাবারে গ্যাস হয় বা বুক জ্বালা করে সেহেরির সময় সেসব খাবারগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের মেন্যুতে আমিষ, শর্করা, সবুজ ও রঙিন শাক সব্জির সঙ্গে ডাল ও বাদাম জাতীয় খাবার এবং একটি দেশীয় ফল যেমন: কলা, পেঁয়াড়া ইত্যাদি রাখা উচিত।
গর্ভবতী মায়ের ইফতারের খাবার যেমন হবে
গর্ভবতী মায়েরা খেজুর, ফলের জুস খেয়ে ইফতার শুরু করতে পারেন। এতে তাদের রক্তের সুগার লেভেল ঠিক থাকবে। ইফতারির মেন্যুতে দুধও রাখা যায়। এছাড়া খাবারের তালিকায় সবজি, স্যুপ, সালাদ, মাছ, মাংস, প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন: ডাল, বাদামি চালের ভাত এবং গমের রুটি ইত্যাদি রাখতে পারেন।
রোজাদার গর্ভবতী মায়েদের জন্য কিছু সতর্কতামুলক পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় গুরুপাক, ভারি, ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও বাসি খাবার ইত্যাদি পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। ইফতার ও সেহেরিতে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। কোনো অবস্থাতেই সেহেরি না খেয়ে রোজা রাখার চেষ্টা করবেন না; তাতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি আঁশযুক্ত, প্রোটিনযুক্ত ও ফ্যাটসম্পন্ন খাবার গ্রহণ করুন। কারণ এসব উপাদান ধীরগতিতে পরিপাক হয় বিধায় ক্ষুধা কম লাগবে। রোজার সময় বেশি বিশ্রাম নিন ও দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলুন। এ সময় অনেকক্ষণ রোদে বা গরমে অবস্থান না করে বাতাস আছে এমন খোলামেলা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। পারলে রাতে খাবারের পর বিশ্রাম নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। ভালো থাকুন সবাই। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত হোক সব গর্ভবতী মায়ের!!