ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

খাবারের দাম কমানোর দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি

  • আপডেট সময় : ১০:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার প্রতিবেদন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানো এবং মান বৃদ্ধির দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’।
গত ২৯ মার্চ দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে হলে খাবারের দাম কমানো ও মান বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুর রনির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব হাসান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমুন নাহার কর্ষী, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরমানুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী। সিন্ডিকেটের কারণে সারা দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও খাবারের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যে খাবার রাতে ৪০ টাকায় বিক্রি হয় সে খাবার সেহেরিতে বিক্রয় হয় ৭০ টাকায়। একইসঙ্গে খাবারের মানও নি¤œমুখী। হলে ও ক্যান্টিনে যে খাবার সরবরাহ করা হয় তাতে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান নিশ্চিত হয় না। আমরা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খাবারের দাম কমানো এবং মান বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। স্মারকলিপি পেশ করে বের হয়ে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র সংগঠক সাকিবুর রনি বলেন, ‘আমরা তিন দফা দাবিতে সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি দিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই। তার কাছে আমরা হলে খাবারের দাম কমানো, খাবারের মান বৃদ্ধির দাবি জানাই। তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে কমদামে একটি প্যাকেজ চালু করবেন, যাতে কোনও আমিষ থাকবে না। আমরা তাকে খাবারে পুষ্টিগণ নিশ্চিত করতে বললে তিনি জানান, পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হলে টাকা খরচ করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তার এ ধরনের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রদের স্বার্থের পক্ষের সংগঠনগুলোকে খাবারের দাম কমানো এবং খাবারের মানবৃদ্ধির দাবিতে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

খাবারের দাম কমানোর দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ১০:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার প্রতিবেদন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানো এবং মান বৃদ্ধির দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’।
গত ২৯ মার্চ দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে হলে খাবারের দাম কমানো ও মান বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুর রনির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব হাসান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমুন নাহার কর্ষী, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরমানুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী। সিন্ডিকেটের কারণে সারা দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও খাবারের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যে খাবার রাতে ৪০ টাকায় বিক্রি হয় সে খাবার সেহেরিতে বিক্রয় হয় ৭০ টাকায়। একইসঙ্গে খাবারের মানও নি¤œমুখী। হলে ও ক্যান্টিনে যে খাবার সরবরাহ করা হয় তাতে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান নিশ্চিত হয় না। আমরা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খাবারের দাম কমানো এবং মান বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। স্মারকলিপি পেশ করে বের হয়ে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র সংগঠক সাকিবুর রনি বলেন, ‘আমরা তিন দফা দাবিতে সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি দিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই। তার কাছে আমরা হলে খাবারের দাম কমানো, খাবারের মান বৃদ্ধির দাবি জানাই। তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে কমদামে একটি প্যাকেজ চালু করবেন, যাতে কোনও আমিষ থাকবে না। আমরা তাকে খাবারে পুষ্টিগণ নিশ্চিত করতে বললে তিনি জানান, পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হলে টাকা খরচ করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তার এ ধরনের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রদের স্বার্থের পক্ষের সংগঠনগুলোকে খাবারের দাম কমানো এবং খাবারের মানবৃদ্ধির দাবিতে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।’