ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি

  • আপডেট সময় : ১০:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে মাহাদী হাসান নামে এক আবাসিক ছাত্রকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে হল প্রশাসন। গত রোববার (২ এপ্রিল) তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. হেলাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক ড. পার্থ সারথি লস্কর ও সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল।
একই সঙ্গে ভুক্তভোগী মাহাদী হাসানকে ওই সিটেই তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম। এ বিষয়ে মাহাদি হাসান বলেন, প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে আমার সিটে তুলে দেবেন বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগ যদি আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাহলে আমি ক্যাম্পাসে যাবো। আমি আমার নিরাপত্তা শঙ্কার কথা স্যারকেও জানিয়েছি। হল প্রভোস্ট ড. ওবাইদুল ইসলাম বলেন, সোমবার আমরা তাকে ডেকেছিলাম। ওই শিক্ষার্থী আসতে চেয়েছে। হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাকে তার সিটে (৪২৮ নং কক্ষে) তুলে দেওয়া হবে। ওই রুমে যারা থাকে এবং যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। হলের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। তা ছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ইবির লালন শাহ হলে সিট থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তার কক্ষে ঢুকে বইখাতা ও আসবাবপত্র বারান্দায় ফেলে তাকে চলে যেতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচার চেয়ে শনিবার সকালে ভুক্তভোগী মাহাদী হাসান হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিনি ছাত্রলীগের তিন কর্মীর নাম উল্লেখ করেন। অভিযুক্ত তিনজন হলেন বাংলা বিভাগের তরিকুল ইসলাম তরুণ, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ফাহিম ফয়সাল ও বাংলা বিভাগের আতাউর রহমান রাজু। তারা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি

আপডেট সময় : ১০:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে মাহাদী হাসান নামে এক আবাসিক ছাত্রকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে হল প্রশাসন। গত রোববার (২ এপ্রিল) তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. হেলাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক ড. পার্থ সারথি লস্কর ও সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল।
একই সঙ্গে ভুক্তভোগী মাহাদী হাসানকে ওই সিটেই তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম। এ বিষয়ে মাহাদি হাসান বলেন, প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে আমার সিটে তুলে দেবেন বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগ যদি আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাহলে আমি ক্যাম্পাসে যাবো। আমি আমার নিরাপত্তা শঙ্কার কথা স্যারকেও জানিয়েছি। হল প্রভোস্ট ড. ওবাইদুল ইসলাম বলেন, সোমবার আমরা তাকে ডেকেছিলাম। ওই শিক্ষার্থী আসতে চেয়েছে। হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাকে তার সিটে (৪২৮ নং কক্ষে) তুলে দেওয়া হবে। ওই রুমে যারা থাকে এবং যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। হলের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। তা ছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ইবির লালন শাহ হলে সিট থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তার কক্ষে ঢুকে বইখাতা ও আসবাবপত্র বারান্দায় ফেলে তাকে চলে যেতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচার চেয়ে শনিবার সকালে ভুক্তভোগী মাহাদী হাসান হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিনি ছাত্রলীগের তিন কর্মীর নাম উল্লেখ করেন। অভিযুক্ত তিনজন হলেন বাংলা বিভাগের তরিকুল ইসলাম তরুণ, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ফাহিম ফয়সাল ও বাংলা বিভাগের আতাউর রহমান রাজু। তারা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।